E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

৩ এপ্রিল, ১৯৭১

শমসেরনগরে মুক্তিবাহিনী বীরত্বের সাথে পাকিস্তান বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করে

২০১৫ এপ্রিল ০৩ ০৮:১১:৪৩
শমসেরনগরে মুক্তিবাহিনী বীরত্বের সাথে পাকিস্তান বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করে

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : সিলেটের শমসেরনগরে মুক্তিবাহিনী বীরত্বের সাথে পাকিস্তান বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করে।

ফরাসি টেলিভিশন কর্পোরেশনের একটি ভ্র্রাম্যমাণ দল মুক্তিবাহিনীর চুয়াডাঙ্গাস্থ সদর দফতরে আসে। তারা দৃঢ় মনোবলে উদীপ্ত যুদ্ধরত মুক্তিসেনা ও আহত পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দী লে. আতাউল্লাহ শাহসহ পাকিস্তানিদের কাছ থেকে দখলকৃত যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র ও গাড়ির ছবি টেলিভিশন ক্যামেরায় ধারণ করেন এবং মেজর এম.এ ওসমান চৌধুরীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।

চুয়াডাঙ্গায় পাকবাহিনী মেশিনগানের গুলি ছাড়াও নাপাম বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে আক্রমণ করে। এ হামলায় বেশকিছু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয় ও বহু লোক গুরুতরভাবে আহত হয়।

চুয়াডাঙ্গাতে আওয়ামী লীগের নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটির জন্ম হয়। জন্মলগ্নে সোসাইটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এমপি ড. আসহাবুল হক জোয়ার্দার।

পাকসেনাবাহিনী যশোরের মুক্তিবাহিনী অবস্থানরত এলাকাগুলোতে হঠাৎ করে ব্যাপকভাবে কামানের গোলা নিক্ষেপ করতে থাকে। শহরের দক্ষিণে অবাঙালি বসতির বিভিন্ন বাড়িতে পাকসেনারা ডিফেন্স নেয়।

ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর লে. কর্নেল সেন এবং মেজর চক্রবর্তীর সাথে রাজশাহীতে ক্যাপ্টেন গিয়াস সামরিক সাহায্যের বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল ঘেরাও করে এবং ডা. মুরিদ আলী ও সেবক ব্রাদার এনামুল হককে গ্রেফতার করে।

ঢাকাস্থ ইপিআর গেরিলা দল ডেমরা এবং যাত্রাবাড়ির পথে আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তান বাহিনীর বেশ ক্ষতিসাধন করতে সমর্থ হয়।

রংপুর শহরের শ্মশানঘাটে মধ্যরাতে ক’জন নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিকে চোখ বাধা হাত বাধা অবস্থায় নৃশংসভাবে হত্যা করে। এটাই রংপুর শহরে পাকবাহিনী কতৃক প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ড।

রংপুর ইপিআর দশম উইং-এর সহকারী কমান্ডর ক্যাপ্টেন নওয়াজিশ আহমেদকে মুক্তিযোদ্ধা আকতারুজ্জামান মন্ডলের দলের কমান্ডিং-এর দায়িত্ব অর্পন করা হয়।

দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল বাহিনী পাকসেনাদের ব্যবহার উপযোগী রামপুর রেলওয়ে সেতু (পুরানপাড়া রেলওয়ে সেতু) উড়িয়ে দেয়।

গোড়ান-সাটিয়াচরায় পাকিস্তান বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ যুদ্ধে পাকবাহিনী ৭২ এমএম আরআর ও ১২০ এমএম কামানের গোলা ও হেলিকপ্টার থেকে মেশিনগানের গুলি বৃষ্টি করে মুক্তিবাহিনীর ডিফেন্স ভেঙ্গে দেয়। এতে তেইশ-চব্বিশজন ইপিআরসহ তিরিশজন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ বরণ করেন।

সিলেটের দেওড়াছড়া চা বাগানের ৭০ জন শ্রমিককে পাকবাহিনী রেশন দেয়ার কথা বলে বাসে তুলে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

(ওএস/এটিআর/এপ্রিল ০৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test