E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আজ দুর্গাপুর হানাদার মুক্ত দিবস

২০১৫ ডিসেম্বর ০৬ ১২:৪১:৩৬
আজ দুর্গাপুর হানাদার মুক্ত দিবস

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : আজ ৬ ডিসেম্বর দুর্গাপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় সশস্র রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুরকে মুক্ত করে। পাক হানাদার বাহিনীর মেজর সুলতানের নেতৃত্বে দুর্গাপুরের মিশনারীজ এলাকা বিরিশিরিতে একটি শক্তিশালী পাকসেনা ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল ,আর এখানে বসেই পাকসেনারা বাংলার কুখ্যাত দালাল, আলবদর, রাজাকারদের সহযোগিতায় নিয়ন্ত্রন করত দুর্গাপুর সদর সহ কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকা লেংগুড়া,নাজিরপুর এবং দুর্গাপুরের বিজয়পুর। সেইসাথে রাতের আধাঁরে বিরিশিরির বধ্যভূমিতে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হতো মুক্তিকামী মানুষদের।

যাদের সর্বপ্রথম হত্যা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে রয়েছে নেত্রকোণা কলেজের অধ্যাপক আরজ আলী, এম,কে,সি,এম পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আশুতোষ সান্যাল, অতুলেশ্বর সান্যাল এম,কে,সি,এম পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউল আওয়াল, দুর্গাপুরের তদানিন্তন এম,এন,এ পুড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহা, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী হোসেন, সুসং ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র দিলদার হোসেন, বিল্লাল হোসেন , ধীরেন্দ্র পত্রনবিশ কৃষক ইমাম হোসেন, ছোট্রুনী উল্লেখযোগ্য।

সীমান্তবর্তী বিজয়পুর সংলগ্ন স্থানে আমাদের সোনার ছেলেরা মুক্তিবাহিনীর ব্রাশ ফায়ারে ১০জন পাক সেনাকে হত্যা করে আনন্দ উল্লাসে জয় বাংলা ধ্বনি উচ্চারন করে এগিয়ে আসতে থাকলে ওৎ পেতে থাকা পাক হায়নাদের গুলি এসে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সন্তোষ বিশ্বাসের মাথায় আঘাত করলে তৎক্ষনাৎ তিনি শহীদ হন। তারই নামানুসারে দুর্গাপুর সদরে নির্মিত হয় শহীদ সন্তোষ পার্ক। দুর্গাপুরে মুক্তিযুদ্ধে আরো ২জন শহীদ হয়েছিলেন তারা হলেন মুক্তিযোদ্ধা সুধীর হাজং ও আব্দুল জব্বার।


১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর বিকাল থেকেই বীর মুক্তিযোদ্ধারা দুর্গাপুর উপজেলার চারদিক ঘিরে ফেলে এবং ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহায়তায় রাতভর যুদ্ধ করে হানাদার বাহিনীর বিরিশিরি শক্তিশালী ঘাঁটির পতন ঘটায়। ভোর হওয়ার পূর্বেই এই হানাদার বাহিনী রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। সকাল হওয়ার (৬ ডিসেম্বর) সাথে সাথেই জয় বাংলা ধ্বনিতে আকাশ বাতাস প্রকম্মিত হয়। ঝাঁকে ঝাঁকে ঘড় থেকে বেড়িয়ে আসে মুক্তিপাগল জনতা। হানাদারদের ঘাঁটিতে উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

(এনএস/এইচআর/ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test