E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস পালিত

২০১৫ ডিসেম্বর ০৮ ১৩:০৫:১৩
নানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস পালিত

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি ও আলোচনাসভার মধ্য দিয়ে সোমবার পালিত হয়েছে ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সোমবার সকালে সাতক্ষীরা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমাণ্ডের কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলনের পর সেখান থেকে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে জেলা মুক্তি যোদ্ধা ইউনিট কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি আবু আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ আব্দুল সাদী প্রমুখ।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারন করে বক্তব্য রাখেন, ডেপুটি কমান্ডার আবুবকর সিদ্দিকী, হাসান-উজ-জামান, প্রচার কমান্ডার ড.এম এ বারী, মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, জেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক ইদ্রিস আলী, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হাসনে জাহিদ জজ, হাসান-উজ-জামান প্রমুখ।


বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২ মার্চ সাতক্ষীরা শহরে পাকিস্থান বিরোধী মিছিলে সর্বপ্রথম রাজাকাররা গুলি করে হত্যা করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাককে। আর এখান থেকে শুরু হয় সাতক্ষীরার দামাল ছেলেদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া। ৮ম ও ৯ম সেক্টরের অধীনে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ট্রেনিং শেষে ২৭ মে সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয় । এর পর একে এক ভোমরায়, টাউন শ্রীপুর, বৈকারী, খানজিয়া এলাকায় যুদ্ধ হয় । এ সব যুদ্ধে শহীদ হন কমপক্ষে ৩৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আহত হন আরো বেশ কয়েকজন। এ সময় পাক সেনাদের ২ শতাধিক সৈন্য নিহত হন। এরপর থেমে থেমে চলতে থাকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গুপ্ত হামলা। এরপর ৩০ নভেম্বর টাইম বোমা দিয়ে শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত পাওয়ার হাউস উড়িয়ে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভীত সন্ত্রন্ত করে ফেলে পাকসেনাদের। রাতের আঁধারে বেড়ে যায় গুপ্ত হামলা। পিছু হটতে শুরু করে পাক সেনারা। ৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় টিকতে না পেরে বাঁকাল, কদমতলা ও বেনেরপোতা ব্রীজ উড়িয়ে দিয়ে পাক বাহিনী সাতক্ষীরা থেকে পালিয়ে যায়। ৭ ডিসেম্বর জয়ের উন্মাদনায় জ্বলে ওঠে সাতক্ষীরার দামাল ছেলেরা।

বক্তারা এ সময়, সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ স্মৃতি চিহ্ন গণকবর গুলো সংরক্ষনের জোর দাবী জানান।

এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ আলোনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপত্বি করেন, প্রেসক্লাব সভাপতি আবু আহমেদ। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, নবনির্বাচিত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, আনিসুর রহিম, সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্বল, নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামামান প্রমুখ।

(আরকে/এইচআর/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test