E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

১১ আগস্ট, ১৯৭১

মুক্তিবাহিনী হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে টাইম বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়

২০১৬ আগস্ট ১১ ০০:২১:৪৭
মুক্তিবাহিনী হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে টাইম বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : মেজর সালেকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা সড়কে রসুল গ্রামের কাছে একটি রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ২০ জন রাজাকার নিহত হয় ও ৩০ জন বন্দী হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজের অবস্থানে ফিরে আসে।

৭নং সেক্টরের মেহেদিপুর সাব-সেক্টরে সুবেদার মেজর মজিদের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর কলাবাড়ি অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে দেড় ঘন্টা গুলি বিনিময় হয়। অবশেষে পাকসেনারা কলাবাড়ি অবস্থান ত্যাগ করে নদী পেড়িয়ে কনসাটে চলে যেতে বাধ্য হয়। কলাবাড়ি মুক্তিবাহিনীর পূর্ণদখলে চলে আসে।

মেজর এম.এ. মঞ্জুর ৮নং সেক্টরের কমান্ডার পদে মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হন।

মুক্তিবাহিনীর দুঃসাহসী গেরিলা যোদ্ধারা ঢাকার বিলাসবহুল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে টাইম বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আমেরিকার টাইমস্ পত্রিকার সংবাদদাতাসহ ২০ জন খানসেনা গুরুতররূপে আহত হয়।

জামায়াতে ইসলামীর প্রাদেশিক আমীর গোলাম আজম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তথাকথিত বাংলাদেশ আন্দোলনের সমর্থকরা ইসলামের দুশমন। তারা ইতিমধ্যে বহু ঈমানদার ও দেশপ্রেমিককে হত্যা করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দু‘একজন নেতাকে হত্যা করে পূর্ব পাকিস্তানে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না।’

পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর টিক্কা খান ডা.এ.এম. মালিক ও জাতিসংঘের উদ্বাস্তু কমিশনের প্রতিনিধি জন কেলীসহ রংপুর-দিনাজপুর এলাকা সফর করেন। রংপুর শান্তি কমিটির বৈঠকে টিক্কা খান রাজাকারদের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাজাকাররা না থাকলে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হতো না।’

ঢাকার ২৫ মাইল দূরে আড়াই খোলার কাছে পাকবাহিনীর সহযোগী রাজাকাররা এক নৌকা অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদসহ একজন মুক্তিযোদ্ধাকে গ্রেফতার করে।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

(পিএস/এএস/আগস্ট ১১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test