E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

২১ জুন, ১৯৭১

জেনারেল আবদুল হামিদ খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে ঢাকা আসেন

২০১৭ জুন ২১ ১০:৪৩:৪৪
জেনারেল আবদুল হামিদ খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে ঢাকা আসেন

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী এম. এনসুর আলী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রদত্ত ভাষণে বলেন, আমাদের এ সংগ্রাম সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম। বাঙালির এই অর্থনৈতিক মুক্তির দাবিতে প্রণীত হয়েছিল ৬-দফা কর্মসূচি। এই ৬-দফাই আমাদের মুক্তির একমাত্র সনদ।

মুক্তিযোদ্ধারা কুমিল্লার বিজয়পুর ব্রিজের উপর পাসেনাদের দুটি গাড়িকে এ্যামবুশ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড গুলি বিনিময় ঘটে। এ সংঘর্ষে পাকবাহিনীর আটজন সৈন্য নিহত হয় ও গাড়ি দুটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়।

ফেনী-নোয়াখালী সড়কে বোগাদিয়া নামক স্থানে নোয়াখালী গেরিলা হেডকোয়ার্টার-এর একদল যোদ্ধা পাকবাহিনীর দুটি ট্রাককে এ্যামবুশ করে। এ এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ট্রাক দুটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং ১২ জন পাকসেনা নিহত হয়।

নোয়াখালী-ফেনী সড়কে মুক্তিযোদ্ধারা বজরা নামক স্থানে পাক সেনাদের একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। এতে দুইজন পাকসেনা নিহত ও দুইজন আহত হয়।

আখাউড়া-সিলেট রেলপথে তেলিয়াপাড়ার কাছে মুক্তিবাহিনীর মনতলা অবস্থানে পাক হানাদার বাহিনী বেপরোয়া আক্রমণ চালায়। ক্যাপ্টেন নাসিমের অবস্থানের ওপর দুই ব্যাটালিয়ন, ক্যাপ্টেন সুবেদ আলী ভুঁইয়ার অবস্থানের ওপর পশ্চিম দিকে চান্দুরা থেকে এক ব্যাটালিয়ন ও লে. মোরশেদের অবস্থানের ওপর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মুকুন্দপুর থেকে এক ব্যাটালিয়ন পাকসেনা আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণের ফলে মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের অবস্থান ত্যাগ করে পিছু হটে।

‘সানডে টাইমস’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে ঘাতকদের বর্বরতার প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক ম্যাসকারেনহাস বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গণহত্যার নীতি অনুসরণ করে চলছে।’

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী চিপ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে ঢাকা আসেন।

পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম আজম লাহোরে জামায়াত কর্মীদের এক সভায় বলেন, দেশকে খন্ড-বিখন্ডিত হবার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া আর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না। তিনি বলেন, বে-আইনী আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক গোলযোগ ১৮৫৭ সালে সঙ্ঘটিত বাংলার বিদ্রোহ-আন্দোলনের চেয়ে ১০ গুন শক্তিশালী ছিল।

বাংলাদেশে সফররত চার সদস্য বৃটিশ প্রতিনিধি দলের সদস্য জিল নাইট বলেন, ‘বৃটিশ পত্র-পত্রিকায় প্রতিনিয়ত পাকিস্তানের অত্যাচারের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু সেখানে এ ধরণের কোনো ঘটনাই নেই।’

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/এএস/জুন ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test