E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পাখিদের অভয়ারণ্য চুয়াডাঙ্গা

২০২০ ফেব্রুয়ারি ২৬ ১৭:০৬:১৯
পাখিদের অভয়ারণ্য চুয়াডাঙ্গা

তৌহিদ তুহিন : চুয়াডাঙ্গা শহর সংল্গন বেলগাছি গ্রাম। গ্রামে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে বিভিন্ন গাছের ডালে বেধে রাখা আছে অসংখ্য মাটির ভাঁড় বা ছোট কলস। রাস্তার দুই পাশে গাছেল ডালে বেধে রাখা আছে প্রায় দেড় হাজার মাটির কলস আর চারশ' বাঁশের ঝুড়িই। এ গুলো পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়ের বাসস্থান। গ্রামের মাঠে-ঘাটে এখন বিলুপ্ত প্রায় দেশি প্রজাতির বিভিন্ন পাখি ও অতিথি পাখিদের নিরাপদ বিচরণ দেখা মেলে খুব সহজেই চুয়াডাঙ্গা সংগ্লন বেলগাছিতে। এই গ্রামের মানুষের প্রতিদিন ঘুম ভাঙ্গে পাখির কলধ্বনিতে। 

চুয়াডাঙ্গার বেলগাছির হঠাৎপাড়ার স্কুল শিক্ষক বকতিয়ার হামিদ বলেন,ছোট বেলায় দেখতাম গ্রামের পুকুর, বিল ও মাঠ-ঘাট থেকে পাখি শিকারিরা বন্দুক, ফাঁদ পেতে, গাছে আঠা দিয়ে নিরীহ পাখি শিকারের দৃশ্য। সেই থেকে প্রতিজ্ঞা করি একদিন পাখি শিকার বন্ধ করবো। আর পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলবো। সেই একক চেষ্টায় পাখিদের অভয়ারণ্য বেলগাছি গ্রাম। পাশে পেয়েছে বেলগাছি গ্রামের ‘যুব সমাজ’ নামের সংগঠনটি। যাদের একান্ত প্রচেষ্টায় পাখিদের অভয়াশ্রম গড়ে উঠেছে সেই শিক্ষিত যুবকরা হলেন- শাহিন, সাহেল, টুটুল, সাব্বির, সাদ্দাম, মোমিন, সোনা, ফয়সাল, ফিরোজ, সবুজ, আরাফাত, আব্দুলসহ প্রমুখ।

বেলগাছি গ্রামের কৃষক আলী আহম্মেদ বলেন, গ্রামের যুবকরা পাখি সংরক্ষণ করার কারণে ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা-মাকড় খাচ্ছে পাখিরা। কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় কম।

চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জিপু চৌধরী জানান, শিক্ষিত যুবকরা নিজেদের অর্থ ও প্রচেষ্টায় বেলগাছি গ্রাম পাখিদের প্রিয় আবাস ভূমিতে পরিণত করেছে। অবাধে পাখি শিকার বন্ধ হয়েছে। প্রাকৃতিক সোন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার সাবেক ডিসি জিয়াউদ্দীন আহম্মেদ সবার সহযোগীতায় চুয়াডাঙ্গাকে পাখিদের অভয়ারণ্য ঘোষণা করেন।

ফলে পুরো জেলা পাখিদের অভয়ারণ্য হওয়ায় এখন এ জেলায় যে দিকেই তাকানো যায় কোন না কোন পাখি যেমন দেখা যায়। তেমনই সারাক্ষণ পাখিদের কিচির মিচির ডাকও কানে আসে। এমন উদ্যোগ নেয়ায় বাংলাদেশের মানুষ চুয়াডাঙ্গাকে নতুন করে চিনছে পাখিদের অভয়ারণ্য জেলা হিসাবে।

(টিটি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test