মানুষকে সর্বদাই আপন করে নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করা প্রয়োজন
নজরুল ইসলাম তোফা : মানুষের জীবন সার্থকতা পায় মনুষ্যত্ব অর্জন করে। শিক্ষা বা সাধনার মাধ্যমে বিবেক, বুদ্ধি কিংবা মনন শক্তি জাগ্রত করে মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে। এ পৃথিবীতে তরুলতা, বৃক্ষ, পশুপাখির মতো মানুষও প্রকৃতির সৃষ্টি। সুতরাং,- প্রকৃতির অন্যান্য সৃষ্টির চেয়ে বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে মানুষ একেবারেই আলাদা। একটু ইতিহাসের আলোকেই বলা দরকার হয় যে মানুষ সমাজ গঠন করে অনেক আগে থেকেই, তাদের সভ্যতা কিংবা জাতি গঠনের নানা কাজ শুরু হয়ে ছিল: প্রাচীন, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই।
বন-জঙ্গল কিংবা পাহাড়ের পাদদেশে বা নদী তীর সহ বিভিন্ন গুহায় সেসব মানুষের অবস্থান ছিল। জীবন জীবিকার কারণে, হিংস্র পশুদের সঙ্গেই ছিল মানুষের বসবাস। আত্ম রক্ষার কারণে যেন তাদের হিংস্র পশুদের সঙ্গে যুদ্ধ করে জীবনকে কাটাতে হয়েছিল। সেই সময়েই অস্ত্র ছিল লাঠি ও বড় বড় পাথর আর তাদের ছিল- অনেক "মানবিক বুদ্ধি কিংবা দৈহিক শক্তি" যা আজকের বর্তমান সময়ে তুলনায় এক হিসাবে শক্তিধর বলা যেতেই পারে। তারা নানা স্থানেস্থানেই যেন দলবদ্ধভাবে অনেক ভালবাসার সহিত একত্রেই বসবাস শুরু করেছিল। এই সমাজ বন্ধতার মুল কারণটাই হিংস্র প্রাণী গুলোর "ভয়ানক ছোবলে" যেন কখনোই না পড়ে। তাদের এ চিন্তা-চেতনার সু-গভীর আলাপ আলোচনাটা শুরু হয়েছিল একে অপরের প্রতি গভীর ভালোবাসা বা দলবদ্ধতার কারণটা থেকেই। হঠাৎ বিপদ আসলে একে অন্যের ডাক হাক দিলে একত্র হয়েই- "হিংস্র পশুদেরকে দমন" করতে পারে। এমন ভাবে সেই মানুষ'রা পাহাড়ের গুহায়, বনে-জঙ্গলে, নদীতীরে বসতবাড়ি গুলি কষ্টসাধ্য হলেও গড়ে তুলেছিল। তাদের সেই 'ছোট ছোট আস্তানা' মানে বসবাসের নিজস্ব স্থান অনেক নান্দনিক না হলেও আজকের যুগের এই ঘর বাড়ির চেয়ে 'সুস্থসম্মত' ছিল। আলো, বাতাস বা প্রকৃতির সঙ্গে তাঁরা মিলে মিশেই যেন শক্তিশালী জীবন নিয়ে বসবাস করেছিল। এ জন্যে সেই সামাজিক মানুষদের স্মরণ করেই আজকের যুগের এই মানুষ গুলোকে সেই অতীত সমাজজীবনের শিক্ষা নিয়ে "কে আপন বা পর" বিভেদ সৃষ্টি না করে, দলগত ভাবেই ভালোবাসার সহিত বসবাস করতে হবে।
আসলে এ আলোচনায়, অতীত মানুষের ইতিহাস টানার মুল কারণই হলো বর্তমান সমাজ জীবনের এই মানুষের বহু অসংগতি পরিলিক্ষত হয়। নিজস্ব সংসার আর বিশ্ব সংসারের মানুষ গুলোকে এতোটিই 'পরভাবা' শুরু করা হয়েছে যে, অন্যের জন্য ফিরেও তাকাই না বা অন্যদের প্রতি নিষ্ঠুরতা দেখানো হয়। মানুষ মরণশীল, এই পৃথিবী ছেড়ে আমাদের চলে যেতে হবে। জন্ম যেমন আছে মৃত্যু আছে, এ কথাটি আমরা ভুলে যাই। বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে অনেক গুণীজন বা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা মারা যাচ্ছেন। তাঁদেরকে নিয়ে আমরা মজা করছি বা গীবত করছি। নিজের ছাড়া যেন তাঁদেরকে আপন ভাবতেই পারছিনা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান বা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনদের মতো বহু মানুষকে আমরা 'মজার ছলে হোক বা নির্বুদ্ধিতাতেই হোক', জান্ত থাকা অবস্থায় মেরে ফেলছি। ইনাদের আপন না ভেবেই পর ভেবে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে যেন এমন গুজব ছড়িয়ে অহেতুক মজা নিচ্ছি। তাতে পরোক্ষভাবে সব মানুষদের ক্ষতি হচ্ছে। একটু অতীতের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এবাংলাদেশে অনেক গুজব ছড়িয়ে মানুষকে পিটিয়েও মেরেছে। এই গুলো হয় শুধুমাত্র- 'আপন পর' ভেদাভেদ সৃষ্টি করে।
নিজের দুঃখ বেদনা আসতেই পারে তা ভুলে গেছি, অপরের দুঃখ-কষ্টকে তামাশার পাত্র বানিয়ে যেন চরম বিনোদনে অতিশয়ক্রুদ্ধ হয়ে উঠছি। অন্য মানুষের দুঃখে দুঃখিত হয়ে, অন্যের ব্যথায় সমব্যথী হয়েই মানব- জীবনে স্মরণীয়, বরণীয় হয়ে থাকা যায় তা দিনে দিনেই ভুলে যাচ্ছি। দুইএকটা উদাহরণ না দিলেই নয়, তাহলো: অন্যের জমির ফসল কাটার জন্য কৃষকরা মানুষ পাচ্ছে না কিংবা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতেও মানুষ মানুষদের সচেতন করছে না। "খাদ্য সংকট" একদিকেই যেমন বাড়ছে, অপর দিকে আবার করোনা ভাইরাস সহ নানা রোগের মহামারীও দেখা দিচ্ছে। অপরকে "সাহায্য না করে" বৃথাই নিজে বাঁচতে চাচ্ছি। মানুষের সামাজিক মমত্ব বোধ উঠেই গেছে। এই সমাজ মানুষকে অভিশাপ দিতেই পারে। সুতরাং- মানুষদেরকে সামাজিক অবক্ষয় গুলোকে চিহ্নিত করে একে অপরের প্রতি ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।
অপরের দুঃখ-কষ্ট নিজের জীবনের অংশ মনে করতেই হবে, অসুস্থদের সুচিকিৎসা এবং সেবা করতে হবে, দিন আনে দিন খায় সেসব অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের যদি আমরা খাবার দিতে না পারি ইতিহাস আমাদের কখনো ক্ষমা করবে না। সমাজ জীবনে অনেক অপূর্ণতা নিয়েই আমাদের নানা 'অভিযোগ-ক্ষোভ' থাকতেই পারে। কিন্তু এক 'দল বা গোষ্ঠী' অন্য 'দল বা গোষ্ঠীর' কোনো প্রকার বিভেদ সৃষ্টি না করে। একে অপরের যত টুকুই দুঃখ-কষ্ট থাকুক না কেন! তাকে হৃদয়ঙ্গম করে নিজের অভাব বা দুঃখ-কষ্ট এবং ক্ষোভ ভুলে থাকতে পারলেই এই প্রকৃতি প্রকৃত মানুষ গুলোকে আপন করে নিয়ে আবার হয়তো একটি সুন্দর সমাজ দান করবেন। এমানুষের বেহিসাবি হিসাব দুর করে "কে আপন কে পর",- এমন বিভেদ সৃষ্টি না করে সব মানুষকে আপন করে নেওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে।
মানুষের জীবন সংক্ষিপ্ত, 'আকাঙ্খা'- কিন্তু অনেক। তার এই অনন্ত আশা-আকাঙ্খা, কোনো দিনই পরিতৃপ্ত হবার নয়। এমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও অভাবের শেষ নেই, তেমনি তার ছুটে চলারও শেষ নেই। এপৃথিবীতে প্রতিটি পদে চাওয়া-পাওয়ার লুকোচুরি খেলা চলছে। অর্থ চায়, বিত্ত চায়, প্রতিপত্তি চায়, তাছাড়া চায় যশ-সম্মান-খ্যাতি এইমানুষ। সুতরাং এগুলো যখন মানুষ পেয়ে যায় তখন তার পরি তৃপ্তি হয় না। মানুষকে কখনোই- মানুষ মনে না করে শুরু করে দেয় 'বিভিন্ন ধরনের ক্রাইম'। যা চায়, তা পাওয়া হয়ে গেলে, আরো বহু আকাঙ্ক্ষা এসে ভর করে বসে তাদের জীবনে। তাদের 'আপন পর' ভেদাভেদ সৃষ্টি করে যেন একটি হিংস্র পশুর জীবন হয়ে উঠে। সুতরাং, অনাদি অন্তহীন আকর্ষণে একদিগন্ত থেকে অন্যদিগন্তে ধাবিত হয় এ মানুষ। এতে নৈরাশ্যের এক অন্ধকারে সে নিক্ষিপ্ত হয়।
এই দুঃখবোধ তাঁকে কখনো মুক্তি দেয় না। তাই আমরা যদি শুধুমাত্র নিজের দুঃখের কথা না ভেবে অন্যমানুষের দুঃখ-কষ্টের কথাগুলি চিন্তা করি তা হলেই এই দুঃখবোধ থেকে মুক্তি পেতে পারি। নিজের দশ তলা 'ভবন বা বাসা' না থাকায় আমাদের খুবই ক্ষোভ জমতে পারে। কিন্তু এই দেশে দরিদ্র-ক্লিষ্ট মানুষের একটি কুড়ো ঘর নেই, তা কি ভাবছি। তারও তো দুঃখ আরো গভীর। এরপরেও যদি নিজের কেন হলো না দশ তলা ভবন, তা যদি মুখ্য করে দেখে অকল্পনীয় ব্যাপারটাকে বড় করেই দেখি, তাহলে একেবারে ব্যক্তিকেন্দ্রিক কিংবা ভিত্তিহীন চিন্তা। ব্যক্তিগত চিন্তা কখনোই মানুষকে 'সুখী' হতে দেয় না। সুতরাং, অপরের প্রতি সু-গভীর ভালোবাসা দেখান, তাতে করে পরোক্ষভাবে আপনার সুখও আসতে পারে।
ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি দিলে অবশ্যই ধারনা পাওয়া যাবে পৃথিবীর সৃষ্টির সময় তাদের বসবাস ছিল বহু দুরে দুরে। কিযে কষ্ট ছিল তাদের অনেকদূরের পথ অতিক্রম করে একজন পথচারীর সাথেই আরেক জন পথচারীর হঠাৎ করে দেখা হতো। স্বভাবগত আর স্বাভাবিক ভাবেই যেন একজন পথচারী আরেকজন পথচারীকে খুব আনন্দের সঙ্গেই কুশল জিজ্ঞাসা করতো বা ভাব বিনিময় করতো। তখন ছিল না, কে- আপন, কে বা পর। বর্তমানে আমরা যদি কাউকে চিনি-জানি, পথ চলতে তাদের সাথে দেখা হলেই হয়তোবা আলাপ করি, অন্যথায় করি না। বাজার -হাটে, মিটিং-সভায় কিংবা কোনো অনুষ্ঠানেই, এ কথায় যেখানেই হোক না কেন, পরিচয় বা পরিচিতি থাকলেই- যেন কুশল বিনিময় করি বা কথাবার্তা বলে থাকি। কিন্তু অতীত ইতিহাসে এই মানুষই যেন সামাজিক ও আত্মীক বন্ধন মনে করে একে অপরের প্রতি গভীর ভালোবাসায় জীবনযাপন করেছিল, তাকে আমাদেরকে স্মরণে রাখা খুবই দরকার।
আপন কিংবা পর শব্দটি সমাজ, জাতি- গোষ্ঠীতে শ্রেণি বিভাজন থেকেই যেন সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করি। তবে আসল কথাটি হচ্ছে নিজের দেশে ও সমাজে জনসংখ্যা ক্রমধাবমান গতিটাই এরজন্য দায়ী। আর হিংসা, নিন্দা, প্রতিহিংসা, শত্রুতা, হানাহানি, হত্যাকান্ড ইত্যাদি বর্তমান সমাজকে গ্রাস করে ফেলেছে। আপন বা পর সম্পর্কের ভেদাভেদ রক্ষিত হচ্ছেনা। শুধুই লোভ, স্বার্থ, অহংকার, স্বার্থপরতা, প্রতিনিয়তই যেন মর্মভেদী ঘটনাবলীর জন্ম দিচ্ছে। যাকে বলি 'আপন', সে আপনজনরাই পর হচ্ছে, পরও ঘটনাচক্রে আপনের ভূমিকা পালন করছে। এমন উদাহরণটা এই দেশ কিংবা সমাজে খুব বিরল।
বর্তমান সমাজে আমরা সবাই শুধুই নিজস্ব বাঁধনে, আত্মীয়তায় সমাজবদ্ধ ভাবেই আপনজনদের নিয়ে আত্মীয়তা গড়ে তুলছি। এ দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও আত্মীয়তার মতো এক বন্ধনে আবদ্ধ। তা ছাড়াও তো বিবাহ বন্ধনেই আত্মীয়তার পরিধির বিস্তার লাভ করছে। এভাবেই যেন আপন বা পরকে চিহ্নিত করছি। সুতরাং আন্তরিকভাবে বা সত্যিকার অর্থেই সবাই আমরা আপন। কেউ পর নই ইতিহাস তো তাই বলে। করোনার এই সংকট কালে "পর ও আপন" ভেদাভেদ সৃষ্টি না করে। সকল মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল ও ভালোবাসার সম্প্রসারণে- "বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্ব" থেকে একরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দূর করা সম্ভব।
কবি বলেছেনও “আপনাকে নিয়ে বিব্রত থাকিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে/...... সকলের তরে সকলি আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।” এ মানুষরা তার জীবনকে তিনটি পর্যায়ে জড়িয়ে রাখতে বাধ্য। অন্যথায় জীবনের স্বাদ যেন স্বার্থকতার প্রতিফলন ঘটে না। সে পর্যায়গুলি হচ্ছে ''সাংসারিক, সামাজিক কিংবা ধর্মীয়'' পর্যায়। তাই প্রতিটি পর্যায়েই রয়েছে আত্মীক এবং মানসিক প্রবৃত্তির ঘনিষ্ঠতা। যতসামান্য বিশ্লেষণের দিকে যদি যাই, তাহলে সাংসারিক পর্যায়েই রয়েছে- "আত্মীক কিংবা মানসিক" প্রবৃত্তির ঘনিষ্ঠ বন্ধন। সামাজিক পর্যায়ে আছে আত্মীক ও আনুষ্ঠানিকতার বন্ধন। যাকে কোনো ক্ষেত্রে মানসিক বিচ্ছিন্নতাকে অনুমোদন দেয়া যায় না।
এই মানুষের যদি আত্মীক রুচিসম্মত ভাব বন্ধনটি না থাকে, তবে,- মানব জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই দেখা যাবে বিপর্যয়, বিশৃঙ্খলা সহ খুন, গুম ও জখমের মতো নিকৃষ্ট কাজ। তা ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় পর্যায়ের মানুষদের বন্ধনের গুরুত্বটা "কম নয়"। সমগ্র পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই অনেক গুলো 'মৌলিক চাহিদা' পূরণ করে থাকে তাতেই যেন ধর্মীয় বন্ধন দৃঢ় হয়। শুধু মাত্র বিশ্বাস নিয়েই সকল মানুষের সংগ্রামের জীবন। ধর্মাবলম্বীরা শাখা-প্রশাখায় ভিন্ন ভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রসারিত হলেও নিজস্ব ধর্মের বন্ধনে আবদ্ধ। কিন্তু এতসব কথার পরও, একথা চরম সত্য যে, "মানুষ মানুষেরাই বন্ধু"।
কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতা মতেই বলতে হয়,- ''বিশ্ব জুড়ে এক জাতি আছে,... সে জাতির নাম মানুষ জাতি/...একই পৃথিবীর স্তন্যে লালিত একই রবি শশী মোদের সাথী।' এ মন কবি জাতি বলতে এই মানব জাতিটাকেই বুঝাতে চেয়েছেন। মানব জাতির প্রতি মহান সৃষ্টি কর্তার অগাধ ভালোবাসা সহিত মানুষের প্রতি মানুষের বন্ধনের কথা বুঝায়েছেন। মানবজাতি সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে আকৃতি, প্রকৃতি এবং স্বভাবে এক হয়ে, একে অন্যের প্রতি ভিন্ন ভিন্ন আচরণে প্রবৃত্ত কেন হবে? তাই বলা হয়েছে মানবজাতি ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠতে বিভক্ত থাকলেও মানুষরা মানুষ হিসেবেই গণ্য-এর কোনো ভিন্নতা থাকতে পারেনা।
আপন কিংবা পর থাকবেনা। মানুষের মনে মানবতা বোধ সদা জাগ্রত হওয়া প্রয়োজন। যে কোনো সময়েই আমাদের মানবতা বোধের পরিচয় দিতে হবে। "কে আপন, কে পর।" এমন ভাবনাটা দূর করে মানবতা বোধে মানবজাতিকে হৃদয়ে আপন করে নেয়া উচিত। সুতরাং সদাসর্বদাই যেকোনো মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা জাগ্রত ও ক্রিয়াশীল হওয়া প্রয়োজন।
পাঠকের মতামত:
- বিশ্ব বাজারে বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম
- টাঙ্গাইলে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছেন মাটি ব্যবসায়ীরা
- বিলেতের বুকে স্বদেশের মুখ উজ্জ্বল করা ৭ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে মৌলভীবাজার পৌরসভার সংবর্ধনা
- জাতির পিতার সমাধিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ-উপাচার্যের শ্রদ্ধা
- দিনাজপুরে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
- গাজীপুরে কভার্ডভ্যান-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৪
- জাতীয় গণসংগীত উৎসব শুরু
- দিনাজপুরে ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড, ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মীসহ আহত ৪
- গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
- ভারী বর্ষণে তানজানিয়ায় ১৫৫ জনের প্রাণহানি
- থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৯
- ৪৬তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষা আজ
- পাকিস্তানকে হারিয়ে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড
- ‘পাকিস্তান যতই অটল থাক, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বাধীন হবেই’
- ডুমাইনের ঘটনার দোষীদের বিচারের দাবিতে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের শান্তি মিছিল
- ‘লাল কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে বেইমানদের শিক্ষা দেবে জনগণ’
- ৩ দিনব্যাপী জালাল মেলার উদ্বোধন, দর্শক ও ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়
- নড়াইলে মাদক মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা
- ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
- ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল আলম রকেট আর নেই
- বাগেরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ, স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু
- নড়াইলে নবগঙ্গা নদী থেকে প্রতিবন্ধী যুবকের মরদেহ উদ্ধার
- গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাব স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড
- টাঙ্গাইলে পচা মাংস বিক্রি করায় জরিমানা
- ‘এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয়’
- টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়
- ‘মানবাধিকার নিয়ে বাংলাদেশের অর্জন স্বীকার করেনি যুক্তরাষ্ট্র’
- টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন
- বাগেরহাটে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- মহম্মদপুরে সড়কে দুর্ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু
- বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে অঝোরে কাঁদলেন মুসুল্লীরা
- সার্বজনীন পেনশন স্কিমের রেজিস্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন গৌরনদীতে
- মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজান সহ ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে
- সাজেকে নিহত ঈশ্বরগঞ্জের ৫ শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম
- গৌরীপুরে ৩ দফা দাবীতে কৃষক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান
- গাইবান্ধায় বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের নামাজ আদায়
- দিনাজপুরে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে পরিকল্পনা কর্মশালা
- কুষ্টিয়ায় নারী চিকিৎসককে হয়রানি, যুবকের কারাদণ্ড
- ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
- বঙ্গোপসাগরে কার্গো জাহাজডুবি, ভাসছেন ১২ নাবিক
- পার্বত্য জেলার এনজিওর বাজেট জানাতে হবে জেলা পরিষদকে
- মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়ের কারণে জনগণ জিম্মি: রিজভী
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- মাগুরায় বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দোয়া প্রার্থনা
- নড়াইলে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ
- শয্যা সংকটে ফ্লোরসহ এক বেডে থাকছে দুই থেকে তিন শিশু
- বেনজীর ও তার পরিবারের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে বিএফআইইউতে দুদকের চিঠি
- প্রমাণে ব্যর্থ রাষ্ট্রপক্ষ, অস্ত্র মামলায় খালাস ‘গোল্ডেন মনির’
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !