E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আজিমের বাহারি স্বাদের আগুন পান!

২০২২ ফেব্রুয়ারি ১১ ১৮:০৫:৩২
আজিমের বাহারি স্বাদের আগুন পান!

নওগাঁ প্রতিনিধি : যদি সুন্দর একটা মন পাইতাম, সদর ঘাটের পানের খিলি আমি তারে খাওয়াইতাম। পান নিয়ে এমন আরও অনেক গান, কবিতা, প্রবাদ আছে যা আমাদের সাহিত্য ভান্ডার কে সমৃদ্ধ করেছে । এক সময় রাজধানী ঢাকার সদর ঘাটের পানের কথা শোনা গেলেও এখন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের বজ্রপুর বাজারে আজিমের মনকাড়া বাহারি স্বাদের আগুন পান দিন দিন উপজেলাবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাহারী রংয়ের মসলাযুক্ত এ পান মানুষের নজর কাড়ছে। প্রায় অর্ধশত পদের উপকরণ দিয়ে তৈরীকৃত মিষ্টিযুক্ত আগুন পানের স্বাদ নিতে তরুণ-তরুণীরা বেশী আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মুখে দেয়ার আগে পানে আগুন জ্বেলে দেয়া হয় বলে এর নামকরণ হয়েছে আগুন পান। 

বাঙ্গালী অতিথি পরায়ন জাতি। খাবারের পর পান দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন বাঙ্গালী জাতির প্রাচীন ঐতিহ্য। সময়ের সঙ্গে নানা রকম নামে নাম করণ হয়েছে পানের। যেমন, বেনারসি পান, শাহি পান, কাশ্মীরি পান, জামাই-বউ পান, প্রেমিক-প্রেমিকা পান, ভালোবাসার পান, হানিমুন পান আরও কত কী।

যে নামেই ডাকা হোকনা কেন পান তো পানই। খেয়ে ঠোট লাল করাই এর উদ্দেশ্য। পানে এখন আর কেবল চুন, সুপারি আর খয়েরই ব্যবহৃত হয়না। মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়, মোরব্বা, খেজুর, কিচমিচ, খোরমা, তানশিন, তেরেঙ্গা, এলাচ, চমন বাহার, তরক, ইমাম, নারকেল, সেমাই, ঝুরা ইত্যাদি।

তবে আত্রাইয়ে আজকাল পরিচিতি পেয়েছে নতুন নামের পান। তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে বয়স্ক লোক সবার কাছেই এ পান হয়ে উঠছে জনপ্রিয়। সেটা ‘আগুন পান’। বজ্রপুরে পাওয়া যায় বলে সবাই বজ্রপুরের আজিম মামার আগুন পান নামেই পরিচিত এটি।

সরেজমিনে আজিম পান স্টলের মালিক আজিম হোসেনের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, প্রতি খিলি পানের দাম ১০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। শাহজাদী ১০, বেনারশ ১৫, আর বোম্বে মাসালা খিলি বিক্রি হয় ৩০ টাকায় এবং পান ভেদে দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত।

পানে কি মসলা ব্যবহার করেন এমন প্রশ্ন করতেই মুচকি হাসেন আজিম মামা। তারপর বলতে থাকেন দম না নিয়েই কয়েক ডজন স্বাদ বৃদ্ধিকারী মসলার নাম এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোরব্বা, খেজুর, খোরমা, তানশিন, তেরেঙ্গা, চমন বাহার, এলাচ, নারিকেল, কিসমিস, সেমাই, ঝুড়া ইত্যাদি।

তিনি বলেন, এসব মসলার সবক’টি দেশে পাওয়া যায় না। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আর এই বাহারি মসলার স্বাদের কারণেই তার দোকানের বিশেষত্ব।

আজিম মামার পান স্টলে পান খেতে আসা বজ্রপুর গ্রামের মা ফার্মেসী মালিক মেহেদী হাসান রুবেল জানালেন, আমি তো আজিম মামার দোকানের পান ছাড়া অন্য কারো দোকানের পান খাইনা। আমি প্রায় ৬-৭ বছর ধরে এই দোকানের পান খেয়ে আসছি। তার বানানো পান আমার মুখে অন্য রকম একটা স্বাদ এনে দেয়।

(বিএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test