টাঙ্গাইলে বিলুপ্ত প্রায় মাটির ঘর
মোঃ সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল : কালের পরিক্রমায় আধুনিক যুগে মাটির ঘর খুবই বেমানান বা চোখ ঝলসানো আলিসান আধুনিক বাড়ি নাকি মাটির ঘর তৈরির কারিগরের অভাব- ঠিক কি কারনে মাটি দিয়ে তৈরি ঘর আজ বিলুপ্ত ? এখন আর টাঙ্গাইলের পাহাড়ি অঞ্চলেও মাটির ঘর খুব একটা চোখে পরে না। অথচ যারা একটু উচ্চ বিত্ত শ্র্রেণির তাদের বাড়িতে দেখা যেত মাটির দোতলা ঘর। এক সময় টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর, মির্জাপুর, ঘাটাইল ও মধুপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে এই মাটির ঘরই ছিলো নিরাপদ ও আরামদায়ক আবাসস্থল। নাকি পাহাড়ী মানুষের জীবন যাপন উন্নত হওয়াই- গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর বিলুপ্তির জন্য দায়ী ?
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর টাঙ্গাইলের পাহাড়ি অঞ্চল বিশেষ করে সখিপুর উপজেলার র্কীত্তন খোলা, কালিয়ান পাড়া, পাথারপুর, ইছাদিঘী,কচুয়া, কালমেঘা এলাকায় বেশ দর্শনীয় ছিল দোতলা বা তিনতলা মাটির ঘর। এখনো কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এমন কিছু মাটির ঘর। শুধু মাটির বসতবাড়িই নয়, ছিল ধান-চাল রাখার জন্য মাটির তৈরি গোলা ঘর ও কুঠি। এসব আজ অতীত। পাহাড়ি পথে যেতে যেতে দু একটা মাটির ঘর চোখে পরলেও তার বেশির ভাগই এখন পরিত্যক্ত।
গরমের দিনে ঠান্ডা থাকায় এক সময় মাটির ঘরকে গরীবের এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত) ঘরও বলা হতো। কারন মাটির ঘর গরম ও শীতের সময় বসবাসের জন্য বেশ আরামদায়ক। তাই অনেক গ্রামেই বিত্তশালীদেরর দোতলা মাটির ঘর ছিল। এখনও এ অঞ্চলের অনেক বাড়িতে মাটির ঘর দেখতে পাওয়া যায়। মাটির সহজলভ্যতা,ঘর তৈরীর প্রয়োজনীয় উপকরণ আর শ্রমিক খরচ কম হওয়ায় আগের দিনে মানুষ মাটির ঘর বানাতে বেশী আগ্রহী ছিল। মাটির ঘর যাদের আছে তারা প্রতিবছরই মাটির প্রলেপ দিয়ে চুনকামসহ বিভিন্ন রং মেখে আলপনা আঁকতেন।
বাঁশতৈল এলাকার মাটির ঘর তৈরির কারিগর হাবিবুর,মণা ও আমিনুর জানালেন, সাধারণত এটেল বা আঠালো মাটি দিয়ে পানির সঙ্গে মিশিয়ে কাদায় পরিণত করা হয়। এরপর ২০/৩০ইঞ্চি চওড়া দেয়াল তৈরী করা হয়। প্রতিটি ঘর তৈরী করতেও মাসখানেক সময় লেগে যায়। কারণ একেবারে দেয়াল তোলা যায় না। কিছু দেয়াল তোলার পর শুকাতে হয়। ১০/১৫ ফুট উচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরী করে তার উপর খড় বা টিনের ছাউনি দেয়া হয়। একটি ঘর তুলতে সময় গুনতে হয় কমপক্ষে তিন চার মাস। খরচও কম নয়। মাটির ঘর নির্মাণে গুনতে হয় প্রায় এক থেকে দুই লাখ টাকা। একটি ঘর নির্মাণ করার যথেষ্ট কষ্টের কাজ।
দ্বিতল মাটির ঘরের মালিক রাসেল মিয়া জানান, এ গ্রামে অনেকের এই মাটির ঘর ছিলো। অনেকে বাঁশ, মাটি, টিন সংগ্রহ করে নিজেরাই মাটির ঘর তৈরী করেন। এক্ষেত্রে সময় বেশী লাগে। তবে খরচ কম পড়ে। শ্রমিক না নিলে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। শ্রমিক সংকটের কারণে যারা নিজেরাই মাটির ঘর তৈরী করতে পারেন এ অঞ্চলের গ্রামগুলোতে এখনও তাদেও কিছু মাটির বাড়ি-ঘর রয়েছে। এই মাটির ঘর ভুমিকম্প বা বন্যা না হলে এর স্থায়িত্ব শতবছরও হতে পারে বলে জানালেন মাটির ঘর ব্যবহারকারীরা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। এলাকার প্রায় সকল গ্রামে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। জেলা সদর এবং উপজেলা নিকটে হওয়াতে এবং সদরের সাথে যোগাযোগের সুব্যবস্থা, বিভিন্ন এনজিও কর্তৃক ঘর তৈরির জন্য ঋণ প্রদানের কারণে গ্রামীণ অর্থনীতির গতি সচল হওয়ায় মাটির ঘরের পরিবর্তে তৈরি হচ্ছে পাকা ঘর। তাছাড়াও ইদুঁরের উপদ্রব একটি মূখ্য কারণ। চার থেকে পাঁচ বছর পর পর মাটির ঘর সংস্কারের ঝামেলা ও ব্যয়বহুল দিক পর্যবেক্ষণ করে মাটির ঘরের পরিবর্তে দালান-কোঠা বানাতে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন এই অঞ্চলের মানুষ। তাছাড়া বর্তমানে একটি মাটি ঘর ভালোভাবে বানাতে গেলে সমপর্যায়ের পাকা ঘরের দেড়গুণ পয়সা খরচ হয়। জায়গাও লাগে বেশি। তাই এখন মাটির ঘর তেমন একটা চোখে পড়ে না। তবে এখনো গ্রামের অনেকেই বসবাসের জন্য মাটির ঘরই পছন্দ করেন। অনেকে পূর্বপুরুষের রীতির প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভাঙ্গেননি মাটির ঘর। তারা স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে চায়, ভাঙতে চায় না কেউ কেউ। এক সময় মাটির ঘরের কথা ইতিহাস হয়ে থাকবে। স্মৃতি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে। হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারক বাহক মাটির ঘর টিকিয়ে রাখবে কি আমাদের নতুন প্রজন্ম?
(এসএম/এসপি/অক্টোবর ১১, ২০২২)
পাঠকের মতামত:
- আমার একটাই প্রতিজ্ঞা, 'দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা'
- পাকিস্তানের হলে চলছে বাংলাদেশের সিনেমা
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল ১ মে, ক্লাস শুরু ১ আগস্ট
- টানা চতুর্থবার কমলো স্বর্ণের দাম
- যমুনা নদীর বামতীরে সমন্বিত পানি সম্পদ সম্ভাব্যতায় মতবিনিময়
- সাবেক এমপি মকবুল হোসেন স্মরণে লোহাগড়ায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
- হাসপাতালের নির্মাণ সামগ্রী বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উম্মনের বিরুদ্ধে
- টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল উপহার পেলো ৪ কিশোর
- স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতন, তিন সন্তান নিয়ে বিপাকে স্ত্রী
- সুবর্ণচরে আ.লীগ নেতার হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
- দাবদাহে ঢাকায় উৎপাদনশীল খাতে বছরে ক্ষতি ২৭০০ কোটি ডলার
- ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা: একজনের দায় স্বীকার, দুজনের রিমান্ড
- ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রউফ উন নবী
- বউ-শাশুড়ির ঝগড়ায় মধ্যস্থতা করতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের
- মস্কো উৎসবে পুরস্কৃত ‘নির্বাণ’
- মাভাবিপ্রবিতে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা
- শৈলকুপায় তীব্র তাপদাহে শরবত বিতরণ
- এজেন্টদের মেরে যমুনায় ফেলার হুমকি, ২ আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
- রানা প্লাজা নিছক দুর্ঘটনা নয়: আইবিসি
- চুয়াডাঙ্গায় তীব্র রোদ ও গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
- গরমে স্বস্তি দিতে ছাত্র অধিকার পরিষদ’র শরবত বিতরণ
- কুমিল্লায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়
- মা-মেয়ের লেবুর শরবতে চলে সংসার
- বরগুনায় তীব্র তাপপ্রবাহে ছাত্রলীগের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
- শরণখোলায় শুকিয়ে গেছে খাবার পানির উৎস, নেই গোসল টয়লেটের পানিও
- দিনাজপুরে শেষ হলো তথ্য ও আদিবাসী মেলা
- ‘দেশ বর্তমানে কঠিন সংকটে পড়েছে’
- নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
- ‘লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি’
- ‘প্লিজ কেউ বোলারদের বাঁচান’
- ভারতের অর্থনীতি কতটা শক্তিশালী?
- দিনাজপুরে ৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
- ‘আ. লীগের নেতাকর্মীরা এখন পাকিস্তানের প্রশংসায় গদগদ’
- ‘গাছ লাগিয়ে গিনেজ বুকে নাম লেখাবে ছাত্রলীগ’
- শনিবার সাপ্তাহিক ‘ছুটিই থাকছে’ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
- ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে কে এই সর্বভুক আমিনুল ইসলাম জাহাঙ্গীর
- বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে ডেমরায় বাসে আগুন
- কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সম্পত্তি দখলমুক্ত করার দাবিতে মাদারগঞ্জে মানববন্ধন
- নড়াইলে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ
- হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার না থাকায় অনেককে শোকজ, নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা
- কক্সবাজার সৈকতে হিটস্ট্রোকে পর্যটকের মৃত্যু
- তীব্র তাপপ্রবাহে বেঁকে হয়ে যাচ্ছে রেললাইন, দুর্ঘটনার আশংকা
- পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হলো ইসতিসকা নামাজ ও বিশেষ দোয়া
- যোগারদিয়া বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হলেন সোহেল রানা ফরহাদ
- বাগেরহাটে ট্রাক চাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত
- ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের পদ পেলেন সুবর্ণ সন্তান জাহিদ
- দিনাজপুরে ইকো ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আঞ্চলিক কর্মশালা
- বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মহা সম্মেলনে সভাপতি দিপ্তীময় তালুকদার সম্পাদক মৃনাল তঞ্চঙ্গ্যাঁ
- ফরিদপুর ডুমাইনের ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা জেলা প্রশাসকের
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !