E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার জনপ্রিয় খেলা ‘হা-ডু-ডু’

২০১৪ অক্টোবর ২০ ১২:১৬:১০
হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার জনপ্রিয় খেলা ‘হা-ডু-ডু’

উত্তরাধিকার৭১ ফিচার ডেস্ক : হা-ডু-ডু-ডু-ডু কিংবা কাবাডি-কাবাডি-কাবাডি। একদমে এই উচ্চারিত শব্দগুলো এক সময় বেশ জনপ্রিয় ছিল। হা-ডু-ডু বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। কোনো এক সময় গ্রামবাংলায় এই খেলার ধুম ছিল বেশ। উৎসব করে হতো। আন্তর্জাতিকভাবেও পেয়েছে স্বীকৃতি এ খেলা। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এই হা-ডু-ডু। এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে হা-ডু-ডু পাঠ্যপুস্তকের কেবল একটি নাম। এ যুগের ছেলেমেয়েরা তাদের দেশীয় সংস্কৃতির চাইতে বিদেশি বিষয় নিয়েই মাতামাতি করে বেশি। এর ভুক্তভোগী হয়েছে এই খেলাও।

অনেকে মনে করেন, এই খেলার উৎপত্তিস্থল ফরিদপুরে। আবার অনেকেই বলে বরিশালে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ হা-ডু-ডু ফেডারেশন গঠন করা হয়।

১৯৭২ সালে এ খেলার নামকরণ হয় কাবাডি। সে বছরই কাবাডি জাতীয় খেলার মর্যাদা পায়। তবে জাতীয় খেলার মর্যাদা পেলেও এই খেলা তখন কেবল গ্রাম বাংলাতেই হতো।

১৯৭৮ সালে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বার্মার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন গঠন করা হয়। তবে ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কলকাতায় এশিয়ান কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভারত চ্যাম্পিয়ন এবং বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়।

১৯৯০ সালে প্রথমবারের মতো বেইজিং-এ অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে অন্তর্ভুক্ত হয় কাবাডি। এই প্রথম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রৌপ্য পদক গ্রহণ করে বাংলাদেশ।

কাবাডি খেলায় দুটি দল অংশ নিতে পারে। প্রতি দলে ১২ জন করে। তবে মাঠে ৭ জনের বেশি নামতে পারে না। বাকি ৫ জন অতিরিক্ত থাকে। খেলা চলার সময় ৩ জন খেলোয়াড় পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া খেলার সময় বিরতিসহ পুরুষদের জন্য ২৫ মিনিট আর মেয়েদের জন্য ২০ মিনিট।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার পরেও বিদেশি খেলার কাছে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই হা-ডু-ডু খেলা। ক্রিকেট, ফুটবল, বাসকেট বলের কাছে এখন প্রায় বিলিনের পথে জনপ্রিয় এই হা-ডু-ডু অথবা কাবাডি। এখন অনেক বাচ্চারা এই খেলার নিয়মই জানে না। এমনকি অনেকে হয়তো জানে না এর নামও।

(এমএম/এনডি/অক্টোবর ২০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test