E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কে সচেতন না কক্সবাজারের অভিভাবকরা

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১৬:৫৯:৩৩
কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কে সচেতন না কক্সবাজারের অভিভাবকরা

অজিত কুমার দাশ হিমু(কক্সবাজার) :কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কে এখনো সচেতন নয় কক্সবাজারের অভিভাবকরা। ফলে, এ সময়টাতে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে কিশোর-কিশোরীদের। এদিকে, চিকিৎসকরা বলছেন, অভিভাবকরা সচেতন হলেই বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে নিরাপদ থাকবে সন্তানরা।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে ১১-১৮ পর্যন্ত বয়ঃসন্ধির সময় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রাইমারি শিক্ষা অতিক্রম করে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার সময় থেকেই কিশোর কিশোরীদের বয়ঃসন্ধির সময় শুরু হয়। এ অবস্থায় তাদের শরীর ও মনের পরিবর্তন দেখা দেয়। কিন্তু এ পরিবর্তনের সময় অভিভাবকদের পাশে না পেয়ে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে কিশোর-কিশোরীরা।

কক্সবাজার সরকারী বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েকজন কিশোর-কিশোরী শিক্ষার্থী জানান, এসম্পর্কে আগে থেকে তাদের জানা না থাকায় অনেকে বিভিন্ন অসুবিধা, দুশ্চিন্তা ও ভয়ের সম্মুখীন হয়ে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হই এর প্রভাব পড়ে লেখা পাড়ায়।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, শারীরিক এ পরিবর্তনের বিষয় বাবা-মা কিংবা বন্ধু বন্ধাব, শিক্ষক শিক্ষার সাথে শেয়ার করতে পারি না। যার কারণে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে আমরা বিভিন্ন সময় ভূল পথে পরিচালিত হয়ে বিপদগামী হয়ে পড়ি। তাদের পিতা মাতার উচিৎ তাদের খেয়াল রাখা যাতে করে এ পরিবর্তনের ফলে তারা কোন ধরনের ভয় পেয়ে না যায়।
কক্সবাজার সরকারী বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম মোহন সেন জানান, আমার সহকর্মী শিক্ষকদের পাশাপাশি ডাক্তারদের আহবান করেছি যেন নির্দিষ্ট একটি সময় আমার বিদ্যালয়ে এসে বয়ঃসন্ধির বিষয়ে ছাত্রদের আরো বেশী উদ্ভুদ্ধ করার জন্য।

কক্সবাজার সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাশ জানান, গত এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে ট্রেনিং করে এসেছি এ বিষয়ে। ট্রেনিং এর বিষয় বস্তু গুলো আমাদের ছাত্রীদের মাঝে আমরা ভবিষ্যতে কাজে লাগাব। যাতে করে মেয়েদের সমস্যা গুলো আমরা সমাধান দিতে পারি।

বয়ঃসন্ধিকালীন অবস্থায় কিশোর-কিশোরীদের বেশীরভাগ সময় কাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাই এই বিষয় গুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে শ্রেণী কক্ষে আলোচনার চেষ্টা চলছে বলে জানালেন এই দুই প্রধান শিক্ষক।

এ দিকে বয়ঃসন্ধিকালে সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, মা-বাবা যদি সন্তানদের সাথে এ বিষয়ে স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তা বলেন, তাহলে কিশোর-কিশোরীদের সমস্যাটি অনেকাংশে লাঘব হবে বলে মনে করেন তিনি। একমাত্র অভিভাবকই পারে তাদের এ সমস্যা সমাধান করতে।

বয়ঃসন্ধিকাল কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ সময় অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
(এমএইচএম/এস/ফেব্রুয়ারি০৭,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test