E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গাইবান্ধায় কৃষিকাজে বাড়ছে নারী শ্রমিকদের চাহিদা

২০১৭ মে ০৫ ১৩:৪৮:০৪
গাইবান্ধায় কৃষিকাজে বাড়ছে নারী শ্রমিকদের চাহিদা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাত উপজেলায় কৃষিকাজে নারী শ্রমিকের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বল্প মজুরিতে অধিক শ্রম পাওয়ায় গেহস্থরা নারী শ্রমিকদেরই বেচে নিচ্ছেন। তাই নারী শ্রমিকদের কদর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে রয়েগেছে মজুরি বৈষম্য। পুরুষদের তুলনায় নারী শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে নগণ্য।

এলাকার নারীরা ঘর কন্যার পাশাপাশি কৃষিকাজে পুরুষের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছেন। তারা পুরুষদের তাল মিলিয়ে জমিতে বীজ রোপণ, সার-কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা বাছাই, ধান কাটা-মাড়াইসহ ফসল উৎপাদনে সব ধরনের কাজে মূখ্য ভূমিকা রাখছেন। শুধুই ধান উৎপাদনে নয় বাড়ির আশপাশে শাক-সবজি চাষ, গবাদি পশু গরু-ছাগল, হাস-মুরগি পালনেও তাদের ভূমিকা অতুলনীয়।

কৃষিকাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এখানকার নারী কৃষি শ্রমিকদের যেমন নেই ন্যায্য মজুরি, তেমনি নেই প্রান্তিক সুবিধাসহ সামাজিক নিরাপত্তা।

কিছুদিন আগেই কৃষকের মাঠ জুড়ে রোপণ করা হয়েছে ধানের চারা। বর্তমানে ধান গাছের চারপাশে গড়ে উঠেছে আগাছা। আর বর্তমানে সবুজ মাঠে ধান গাছের আগাছা বাছাইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন দারিয়াপুরের নারী শ্রমিকরা।

খোলাহাটী ইউনিয়নের রোকসানা নামের এক নারী শ্রমিক প্রতিবেদককে বলেন, আগাছা বাছাই কাজে দৈনিক ১৫০ টাকা করে পেয়ে থাকি। একই কাজে পুরুষরা পায় ২৫০ টাকা। আবার পুরুষরা কাজও করে আমাদের সমান। তারপরও পেটের তাগিদে আমাদের কাজ করতে হয়। মজুরির ব্যাপারে কথা বলতে গেলে আমাদের আর কাজে নেয়না। তাই যা পাই তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকি।

সদর উপজেলার দারিয়াপুরের রাধিকা নামের অপর এক নারী শ্রমিক বলেন, বেশি সময় ধরে সঠিকভাবে কাজ করলেও পুরুষদের চেয়ে কম মজুরি পাই। যা পাই তা দিয়ে আমাদের পোষায় না। সংসারের সব কাজ শেষ করেই কৃষি জমিতে কাজ করতে আসি।

স্থানীয় একাধিক জমির মালিক জানান, কমমূল্যে নারী শ্রমিক পাওয়া যায় তাই আমরা নারী শ্রমিক দিয়ে কাজ করি। তাই দিনদিন নারী শ্রমিকদের কদর বেড়ে যাচ্ছে।

(ওএস/এসপি/মে ০৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test