E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শরীরে ক্যান্সার, মনে সাধ বউ সাজার

২০১৭ মে ১২ ১৫:০৬:৩৩
শরীরে ক্যান্সার, মনে সাধ বউ সাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্যান্সারে আক্রান্ত কিউ মে চেন জানেন না তার কী হবে। মাত্র ২৮ বছর বয়সে তার শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার।

স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা মে দমে যাননি। সমবয়সী অন্য তরুণীদের মতো তারও স্বপ্ন ছিল বিয়ে করে সংসার সাজানোর।

সে স্বপ্ন পূরণে ক্যান্সার বাধা হয়ে দাঁড়ালেও স্বপ্ন পূরণের পথে অন্য পথে এগিয়েছেন মে। সত্যিকার বিয়ে না হলেও নিজেই আয়োজন করেছেন বিয়ের ফটোশুটের। সেখানে তিনি বিয়ের কনের পোশাকে ছবি তুলেছেন, মুখে দিয়েছেন হাসি- যেন পছন্দের মানুষটার সঙ্গেই ঘর বাঁধবেন।

তাইওয়ানের এই তরুণী বিবিসিকে বলেছেন, আমি সবসময় অপেক্ষা করেছি, কেউ একজন আসবে, আমাকে সাহায্য করবে আমার স্বপ্ন পূরণে, আমার বিয়ের ছবি তুলবে। এখন আমি নিজেই নিজের স্বপ্ন পূরণ করছি।



মে বলেছেন, কেউ যখন মৃত্যুর জন্য দিন গুনতে শুরু করে, তখন সে খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারে সময় আর খুব বেশি নেই।

মোট চারটি পোশাকে নিজের ফটোশুটের আয়োজন করেন মে। চুল কিভাবে বাঁধবেন সেসব সিদ্ধান্তও তিনি নিজেই নিয়েছেন।

মে-কে প্রথমে বলা হয়েছিল তিনি যেন স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তোলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। মে বলেন, আমি ওদের বলেছি, না। এটা যেন একদম সত্যিকারের একটা বিয়ে হয়।

তাই তিনি একটি গাড়ি ভাড়া করেন, ছবি তোলার জন্য জায়গাও ভাড়া করেন।

মে বলেন, আমি যখন বিয়ের গাউনটা পরলাম, আমার যে কেমন লাগছিল! খুব কাঁদতে ইচ্ছা করছিল। মনে হচ্ছিল, বহুদিনের পুরনো একটা স্বপ্ন বোধ হয় সত্যি হলো।

ইনজেকশন নেয়ার জন্য প্রতিসপ্তাহে তিনদিন করে হাসপাতালে যেতে হয় মেকে। কেমোথেরাপিও চলছে তার।



মে জানিয়েছেন, একটা সময় এমন ছিল তিনি দাঁড়াতে পারতেন না, প্যান্ট পরতে পারতেন না নিজে নিজে। বসতে হতো হুইলচেয়ারে। হাঁটতে পারতেন না। মাথার সব চুল পড়ে গিয়েছিল, পরচুলা লাগাতে হয়েছে।

মে’র গল্প আবেগতাড়িত করেছে বিশ্বের অসংখ্য মানুষকে।

মে বলেছেন, যারা অসুস্থ, আমি চায় তারা আমার গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হোক। তারা বুঝুক জীবনটা এতটাও খারাপ কিছু না। জীবন আর মৃত্যু বাদে সবকিছুই খুব ছোট বিষয়।

মে বলেন, আমার মতো এমন অসুস্থতায় অনেকে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় থাকেন, তারা কতদিন বাঁচবেন, কবে মারা যাবেন অথবা যে চিকিৎসা চলছে তাতে আসলেও কাজ হচ্ছে কি না। কিন্তু আমি বলব, এসব ভাবার দরকার নেই, কারণ আমরা কিছুই জানি না।

যতক্ষণ বেঁচে আছি, ততক্ষণ কেন ভালোভাবে বাঁচব না?

(ওএস/এসপি/মে ১২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test