E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রুম ৩৯ : অবৈধ কাজকর্মের কেন্দ্র

২০১৭ আগস্ট ২০ ১৩:৪৪:১৬
রুম ৩৯ : অবৈধ কাজকর্মের কেন্দ্র

ফিচার ডেস্ক : রুম ৩৯ নামটা শুনেই কেমন খটকা লাগছে? লাগারই কথা। তবে এটুকু বোঝা যায় যে, কোনো এক ভবনের কক্ষ হবে নিশ্চয়ই। তবে অফিসিয়ালি এটি কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টির ‘সেন্ট্রাল কমিটি ব্যুরো ৩৯’ নামে পরিচিত। এছাড়া এই কক্ষটি সব অবৈধ কাজকর্মের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

এছাড়াও রুম ৩৯-কে ‘কোর্ট অব ইকনমি’ বলেও আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। এই স্থাপনাটি তৈরি হয় ১৯৭০ সালে। বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের জন্য সব বিদেশি মুদ্রা কেনাকাটা এখানেই করা হয়ে থাকে।

এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, অনেকের পক্ষে কখনো এই ‘রুম ৩৯’ এ প্রবেশ করা সম্ভব নয়। কারণ এটি যে দেশে অবস্থিত; সেই উত্তর কোরিয়ায় স্বাধীনভাবে ওয়েবসাইট ব্যবহার করাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এর চেয়েও আশ্চর্যজনক সত্য হলো- খোদ উত্তর কোরিয়ারও খুব কম লোকই এখানে প্রবেশ করতে পেরেছেন। কেননা রুম ৩৯-কে সেই দেশের সব অবৈধ কাজকর্মের কেন্দ্র বলা হয়।

অনেকের মতে, যে সংস্থা এটি পরিচালনা করে তারা জাল টাকা, ইন্স্যুরেন্স জালিয়াতি এবং বিশ্বব্যাপী মাদকদ্রব্য বিক্রি করে ৫শ’ মিলিয়ন থেকে ১ হাজার মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে। এই উপার্জিত অর্থ তারা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক মহলে ঘুষ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করে থাকে।

তবে সে যা-ই হোক না কেন, কক্ষটি কিন্তু ওই দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে যা কিছুই ঘটুক না কেন, রুম ঊনচল্লিশকে উত্তর কোরিয়া সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাই শুধু যারা সরাসরি এর সঙ্গে জড়িত; তারা ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার নেই সেখানে।


ফলে এখানে কি ঘটে এটা বোঝা যেমন দুঃসাধ্য, তেমনই তা প্রমাণ করা আরও বেশি দুঃসাধ্য। তাই যা-ই ঘটুক না কেন, আমরা আপাতত এটুকু জেনেই নিরস্ত থাকতে পারি।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test