মা ও বাবা
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ১৯৮৪ সালে পেইচিং সন্ধ্যায়, পেইচিং মিউনিসিপ্যালিতির মহিলা ফেডারেশন ও শিক্ষা ব্যুরো ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান পেইচিং শহরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য "আমার মা" এবং "আমার বাবা" শিরোনামের এক প্রবন্ধ রচনার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। এতে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৮০ হাজার প্রবন্ধ পাওয়া গিয়েছিল।
শিশু ও কিশোররা তাদের নিষ্পাপ, ছলনাবিহীন ও অকৃত্রিম শিশুসুলভ মন দিয়ে নিজের জগৎ পর্যবেক্ষণ করতে চেষ্টা করে। তারা নিজের নিজের মা ও বাবাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং হুবহু তাদের নকল করে।
ফিনিক্স সাহিত্যের ব্যানারে 'মা ও বাবা' নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়। সেখানে ২৯টি প্রবন্ধ বাছাই করে তা বিদেশী পাঠক-পাঠিকাদের জন্য বিদেশী ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের এর পাঠক-পাঠিকাদের জন্য ধারাবাহিকভাবে প্রবন্ধগুলো প্রকাশ করা হবে। এতে করে বাংলাদেশের পাঠক-পাঠিকারা আধুনিক চীন সমাজের শিশু ও কিশোরদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন।
মা-র ছেলেকে বড় করে দেখা ও মেয়েকে ছোট করে দেখার মনোভাব পরিবর্তন
লেখক : উ শুয়াং (ষষ্ঠ শ্রেণি)
দাদার প্রতি আমার মা-র বরাবরই ছিল একচোখেমি, সবতাতে দাদার কথাই তিনি ভাবতেন। আমার জন্য কখনো মাথা ঘামাতেন না।
খেতে বসলে, মা বারবার দাদার বাটিতেই খাবার তুলে দিতেন। কখনো আমার বাটিতে দিতেন না, যেন আমি তাঁর নিজের সন্তান নই। এরকম দেখলেই আমার খুব রাগ হত। আমি ভাবতাম দাদা এমন কি অসাধারণ ব্যক্তি। ব্যাটা ছেলে ছাড়াতো আর কিছুই নয়! সবাই বলেঃ "আকাশটা ধরে আছে অর্ধেক পুরুষ আর অর্ধেক নারী।" আমি সর্বদাই বিশ্বাস করতাম, বড় হলে আমার ক্ষমতাও দাদার চাইতে কোন অংশে কম হবে না। মা-ও একদিন না একদিন একথা বুঝতে পারবেন।
একদিন, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে এসে খবরের কাগজ খুলতেই একটা কার্টুন আমার চোখে পড়লো। তাতে দেখানো হয়েছে, একটা দাড়িপাল্লার বাম দিকে একটি ছেলে হাতে অনেক রকম ফল ও পুষ্টিকর খাবার নিয়ে গ্যাট হয়ে বসে আছে। আর দাড়িপাল্লার ডান দিকে একটি মেয়ে খুব মনমরা হয়ে বসে আছে, তার মা-বাবা তার দিকে গালিবর্ষণ ও মারধরের অঙ্গভঙ্গি করছে। কার্টুনটির নিচে লেখা রয়েছেঃ "কদাপি পুত্রকে অমূল্য মনে করে কন্যাকে অবজ্ঞা করবেন না।" কার্টুনটি দেখেই আমার নিজের অবস্থার কথা মনে এল। মনে হল, আমি যেন দাড়িপাল্লার ডান দিকের ওই মেয়ে। একথ ভেবে আমি খবরের কাগজ থেকে কার্টুনটি কেটে দেয়ালে লাগিয়ে দিলাম যাতে সেটি সহজেই মা-র চোখে পড়ে।
সেদিন লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে আমি অনেক্ষণ কার্টুনটির দিকে তাকিয়ে রইলাম। রাত গভীর হয়ে এলো তবু চোখে ঘুম নেই। হঠাৎ দরজা খুলে গেলো, মা সন্ধ্যার শিফটের কাজ সেরে কারখানা থেকে বাড়ি ফিরলেন। তিনি খেতে বসবেন এমন সময় দেয়ালে লাগানো কার্টুনটি তাঁর নজরে পড়ল। অমনি তিনি রেগে গিয়ে একটানে কার্টুনটি খুলে নিয়ে মাটিতে ছুঁড়ে ফেললেন। আমি ভয়ে আমার মাথাটা লেপের তলায় টেনে নিলাম। ঘরে আর টুঁ শব্দটি নেই, চারদিকে নিস্তব্ধ।
কিছুক্ষণ পর আমি লেপটা একটু ফাঁক করে তাকালাম। মা যে কখন মাটি থেকে কার্টুনটি কুড়িয়ে নিয়েছেন তা টের পাইনি, দেখলাম তিনি তা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছেন। আমার ভয় হলো এবার মা নিশ্চয় আমাকে দারুণ পিটুনি দেবেন। কার্টুনটি দেয়ালে না লাগালেই বোধ ভালো হত। আমার আফসোস হতে লাগল। আমি একদৃষ্টিতে মা-র দিকে তাকিয়ে রইলাম। দেখলাম, মা-র মুখে হাসি ফুটেছে আর তাঁর কুচকে থাকা ভ্রুটিও আবার টানটান হয়েছে। একটু পর তিনি কার্টুনটি টেবিলের উপরে রেখে হাতের চাপ দিয়ে তার ভাঁজগুলো সমান করে দিলেন এবং তাতে আঠা লাগিয়ে আবার দেয়ালে আটকে দিলেন। তখন আমি এক দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়লাম, যেন আমার বুক থেকে একটা বিড়াট পাঠর নেমে গেল।
আমি যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই হল। সত্যি মা-র মনে ভাবের পরিবর্তন দেখা দিল। পরের দিন, আমি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে এসে ঘরে ঢুকতেই দেখলাম, টেবিলের উপরে বড় এক বাটি গরম ভাত আর তার ওপর ছড়ানো রয়েছে অনেকটা তরকারি। মা হাসিমুখে আমাকে বললেনঃ "উ সুয়াং, এখনি খেতে বস, নইলে খাবার ঠান্ডা হয়ে যাবে।" খাওয়া শেষ হলে আমি বাটি ধুতে গেলে মা আমাকে স্নেহের সঙ্গে বললেনঃ "তোমাকে বাটি ধুতে হবে না। তাড়াতাড়ি হোমওয়ার্ক শেষ কর। পরে ঘরের সব কাজ তুমি আর দাদা মিলে ভাগাভাগি করে নিও।" মা-র কথা শুনে আমার প্রাণ জুড়িয়ে গেল।
আমি হাতে কলমটা নিয়ে লিখতে বসতেই দাদাও হোমওয়ার্ক করতে এলো আর একলাই টেবিলের অর্ধেকটার বেশি জায়গা দখল করে নিল। ঠেলাঠেলিতে আমার আর বই খাতা রাখার জায়গা রইলো না। রেগে আর অধৈর্য হয়ে আমি দাদার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে দিলাম। ঝগড়া যখন বেশ তুঙ্গে, তখন মা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এলেন। ঝগড়ার কারণটা শুনে তিনি বেশ কড়াভাবে দাদাকে বললেনঃ "তুমি হলে ওর দাদা, বোনের কথা তোমার শোনা উচিত।" তিনি আরো বললেন আমার হোমওয়ার্ক শেষ করার জন্য দাদা যেন আমাকে জায়গা ছেড়ে দেয়।
এই প্রথমবার মা ন্যায্য কথা বললেন। খুশিতে আমার মুখ থেকে কোন কথা বেরুলো না। আমি ভালোভাবেই বুঝলাম মা-র মধ্যে পরিবর্তন এসেছে। এর পরে অনেক ব্যাপারে আমি দেখেছি মা-র আর আগের মতো সেই একচোখেমি মনোভাব নেই। (প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত)
সম্পাদনা : পরিতোষ বড়ুয়া
পাঠকের মতামত:
- ডুমাইনের ঘটনার দোষীদের বিচারের দাবিতে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের শান্তি মিছিল
- ‘লাল কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে বেইমানদের শিক্ষা দেবে জনগণ’
- ৩ দিনব্যাপী জালাল মেলার উদ্বোধন, দর্শক ও ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়
- নড়াইলে মাদক মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা
- ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
- ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল আলম রকেট আর নেই
- বাগেরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ, স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু
- নড়াইলে নবগঙ্গা নদী থেকে প্রতিবন্ধী যুবকের মরদেহ উদ্ধার
- গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাব স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড
- টাঙ্গাইলে পচা মাংস বিক্রি করায় জরিমানা
- ‘এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয়’
- টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়
- ‘মানবাধিকার নিয়ে বাংলাদেশের অর্জন স্বীকার করেনি যুক্তরাষ্ট্র’
- টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন
- বাগেরহাটে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- মহম্মদপুরে সড়কে দুর্ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু
- বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে অঝোরে কাঁদলেন মুসুল্লীরা
- সার্বজনীন পেনশন স্কিমের রেজিস্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন গৌরনদীতে
- মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজান সহ ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে
- সাজেকে নিহত ঈশ্বরগঞ্জের ৫ শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম
- গৌরীপুরে ৩ দফা দাবীতে কৃষক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান
- গাইবান্ধায় বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের নামাজ আদায়
- দিনাজপুরে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে পরিকল্পনা কর্মশালা
- কুষ্টিয়ায় নারী চিকিৎসককে হয়রানি, যুবকের কারাদণ্ড
- ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
- বঙ্গোপসাগরে কার্গো জাহাজডুবি, ভাসছেন ১২ নাবিক
- পার্বত্য জেলার এনজিওর বাজেট জানাতে হবে জেলা পরিষদকে
- মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়ের কারণে জনগণ জিম্মি: রিজভী
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- মাগুরায় বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দোয়া প্রার্থনা
- নড়াইলে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ
- শয্যা সংকটে ফ্লোরসহ এক বেডে থাকছে দুই থেকে তিন শিশু
- বেনজীর ও তার পরিবারের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে বিএফআইইউতে দুদকের চিঠি
- প্রমাণে ব্যর্থ রাষ্ট্রপক্ষ, অস্ত্র মামলায় খালাস ‘গোল্ডেন মনির’
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
- যশোর পৌরসভায় তাপদাহে চাহিদার তুলনায় কমেছে পানি সরবরাহ
- বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন
- নড়াইলে খুনের ঘটনার ৫ মাস পরেও থামছে না বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট, আতঙ্কে গ্রামছাড়া মানুষ
- পাংশায় মাদক ব্যবসায়ীসহ পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার
- সোনার দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা
- চলতি বছর থাইল্যান্ডে হিটস্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
- নিরাপদ সড়কের প্রয়োজনীয়তা
- তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তির আশায় সরিষাবাড়ীতে বিশেষ নামাজ আদায়
- ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- টঙ্গীবাড়িতে ভাই-ভাতিজার হাতে ভাই খুন
- পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ শিশু রিয়ার মৃত্যু
- বড়াইগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ভ্যান চালকের মৃত্যু
- বহিস্কার করেও ভোটমুখী নেতাদের বাগে আনতে পারছে না বিএনপি
- ফুলপুরে ট্রাক চাপায় নিহত ১
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !