E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সোনার তরী(ছড়ার পাতা)

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ২০ ২১:১০:৩৫
সোনার তরী(ছড়ার পাতা)





 

কাজী নজরুল ইসলাম
খুকি ও কাঠবেড়ালি

কাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও?
গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি-নেবু? লাউ?
বেড়াল-বাচ্চা? কুকুর-ছানা? তাও-
ডাইনি তুমি হোঁৎকা পেটুক,
খাও একা পাও যেথায় যেটুক!
বাতাবি-নেবু সকলগুলো
একলা খেলে ডুবিয়ে নুলো!
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস পাটুস চাও?
ছোঁচা তুমি! তোমার সঙ্গে আড়ি আমার! যাও!

কাঠবেড়ালি! বাঁদরীমুখী! মারবো ছুঁড়ে কিল?
দেখবি তবে? রাঙাদাকে ডাকবো? দেবে ঢিল!
পেয়ারা দেবে? যা তুই ওঁচা!
তাই তোর নাকটি বোঁচা!
হুতমো-চোখী! গাপুস গুপুস
একলাই খাও হাপুস হুপুস!
পেটে তোমার পিলে হবে! কুড়ি-কুষ্টি মুখে!
হেই ভগবান! একটা পোকা যাস পেটে ওর ঢুকে!
ইস! খেয়ো না মস্তপানা ঐ সে পাকাটাও!
আমিও খুবই পেয়ারা খাই যে! একটি আমায় দাও!

কাঠবেড়ালি! তুমি আমার ছোড়দি’ হবে? বৌদি হবে? হুঁ!
রাঙা দিদি? তবে একটা পেয়ারা দাও না! উঃ!
এ রাম! তুমি ন্যাংটা পুঁটো?
ফ্রকটা নেবে? জামা দুটো?
আর খেয়ো না পেয়ার তবে,
বাতাবি-নেবুও ছাড়তে হবে!
দাঁত দেখিয়ে দিচ্ছ ছুট? অ’মা দেখে যাও!-
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

আসলাম প্রধান

মানুষ-মশার প্রেমে

মশার সাথে প্রেম করেছে
ঢাকা শহরবাসী !
বোনারপাড়ার মানুষ শুনে
করছে হাসাহাসি |
রক্ত দিলে প্রেমের সাথে
লম্বা চুমু ফ্রি
আজব রকম প্রীতির খবর
শুনতে কী বিচ্ছিরি !

মেয়র সাহেব সব মশাকে
করাবে বিষ পান ?
বন্ধ করে দেবে তাদের
ভালবাসার গান ?
ধ্বংস করে ফেলবে কি সব
মশার অবস্হান?

অালমগীর কবির
ফাগুন এসেছে


অলির দল করছে খেলা
আমের মুকুলে,
সবুজ রং ঢেউ তুলেছে
নদীর দু'কূলে।

রোদটা যেন হলদে পাখি
নাচছে দূরেতে,
কোকিল ডাকে পাতার ফাঁকে
মধুর সুরেতে।

পলাশ ডালে শিমুল ডালে
আগুন হেসেছে,
নতুন কলি দিচ্ছে উঁকি
ফাগুন এসেছে।


জুলফিকার আলী
শিশুদের ভালোবাসা


শিশুদের মন ফুলের মত
সবাই সেটা জানে,
ভ্যালেন্সটাইনেও পথশিশুদের
কেউনা কাছে টানে|

খাওয়া-নাওয়া নেই তো ওদের
ছেঁড়া পোশাক পরে,
এই দিবসে কেউ যে ওদের
নেয়না আপন করে|

পায়না খাবার,পায়না পোশাক
নেই শিক্ষার আলো,
তাইতো ওদের জীবন যেন
রাতের নিষ্কষ কালো|

ওদের ভাবে নর্দমার কীট
সবার অবহেলা,
কত ঠেলা গুতো খেয়ে
পার করে রোজবেলা|

আসুন সবাই এই দিবসে
সবাই শপথ নেই,
ফুলের মত সব শিশুকে
ভালোবাসা দেই|

রব্বানী চৌধুরী
বানান নিয়ে ধাঁধা

বানান নিয়ে ধাঁধা
অভিধানে দুটো আছে -
'সাদা' এবং 'শাদা'।
আমি না হয় নিলাম শাদা
আপনি নিলেন সাদা
মহাভারত কী অশুদ্ধ
বলতে পারেন দাদা?
বানান নিয়ে পণ্ডিতেরা
নিত্য মাথা ঘামান
অভিধানে নতুন শব্দ
হরহামেশা নামান!
এই ত দেখি অভিধানে
যুক্ত হল 'লল'
বাংলাভাষার আভিধানিক
ঝরায় চোখে জল!
এক অভিধান সম্পূরক নয়
সবাই সেটা জানে
যার যে বানান ভাল লাগে
সে বানান সে মানে!
শুদ্ধ বানান না হলে ত
সকল লেখাই মাটি
বানান চর্চা করতে হবে
লেখক হলে খাঁটি ।
বানান বিভ্রাট নিরসনে
সবাই করব কিয়াস
শুদ্ধ বানান কাব্যরসে
মেটায় জ্ঞানের পিয়াস!
এসো সবাই বানান শিখি
বানান করি শিক্ষা
নিত্য নতুন বানান শেখে
নেব জ্ঞানের দীক্ষা ।
বানান শেখা জরুরি গো
ছেলেবুড়ো সবার
একটা শব্দ লিখতে হলে
ভাবতে হবে ন'বার।



মোমিন মেহেদী
শাদা রঙের রত্ন


আসলো এবার শীতের হাওয়া
কোথায় রাখি তাকে
সবাই মিলে লেপের ভেতর
যত্ন করে যাকে
তাকে নিয়ে অনেক কথা
অনেক রকম হাসি
চলতে থাকে সকাল বিকাল
বাজতে থাকে বাঁশি
আমি আঁকি ছন্দ ছবি
তানশা আঁকে ফুল
মিথ্যে কথা বলি না কেউ
করি না কো ভুল

খেজুর রসের মিষ্টি স্বাদে
শিশির ঘেরা রঙিন চাঁদে

দিনের সাথে রাতের সাথে
শিশির ভেজা যত্ন
সবুজ পাতায় ছড়িয়ে থাকে
শাদা রঙের রত্ন
রত্ন ঘুমায় যত্ন করে
শেখায় মানুষ সেবা
এমন করে রোজ সকালে
আদর করে কে বা
শীতের পাখি গীতের পাখি
মানুস সেবা শেখায়
সত্যি কথা আসে উঠে
নতুনধারা’র লেখায়...


ফয়সাল শাহ
হুক্কা হুয়া

হাতির পিঠে পাতিশেয়াল
বিড়াল গায় ঠুমরি খেয়াল
বানর নাচে আপনমনে
বাঘরা থাকে বাদাবনে;
বনবিড়ালে মুরগি খায়
খেঁকশিয়ালে দৌড় লাগায়।
কুমির থাকে ডাঙ্গায়-জলে
মোরগ ডাকে সকাল হলে
হাঁসের ছানার প্যাঁক প্যাঁক;
ব্যাঙ ডাকে ভ্যাক ভ্যাক
বর্ষাকালে ভিজে-ভিজে
কাকের ছানা ঝিমায় শীতে
গভীর রাতে হুক্কাহোয়া
খোকন বলে খাব মোয়া।


পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test