E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সোনারতরী (শিশু কিশোর সাহিত্য)

২০১৬ সেপ্টেম্বর ০৭ ১২:০৫:৩০
সোনারতরী (শিশু কিশোর সাহিত্য)









 

রব্বানী চৌধুরী

ভাদ্রমাসের আর্দ্র বাতাস
গুমট বাঁধা মেঘ

হাওয়ায় নাচে সাপের তেজ
ঝিঙেলতার বেগ!
তালের তলে খালের জলে
কুল্লা মারে ঢেউ
দেখছো নাকি কেউ?
না দেখলে সব খাট্টা
ভাদ্র নাচায় মাঠটা !
পালের নায়ে ফতফতানি ।


বহুরূপী আসমান
আহাদ আলী মোল্লা

আকাশ তোমার মন বোঝা দায় বড়
এই তো নীরব হয়ে আছো চুপ থির
মনে মনে ফের মেঘের পাহাড় গড়ো
কখনও ভয়াল কখনও বা গম্ভীর।

দাপুটে হাওয়ায় রাগে-তেজে খুব ফোলো
মাতাল মেজাজে নাড়াও ইষাণ কোণ
ক্ষ্যাঁপাটে হাওয়ায় এলোমেলো ঝড় তোলো
আইলা সিডর হারিকেন সাইক্লোন।

মুখ কালো করে ঝাপসা পাকাও আরো
হুঙ্কার দিয়ে ছাড়ো ভয়ানক সুর
বজ্রাঘাতে কত না জীবন কাড়ো
মাঝে মাঝে দাও সোনাঝরা রোদ্দুর

হয়ে যাও হিম সুরে রিমঝিম মাতো
ভরে দাও জলে নদী নালা খাল বিল
মেঘমালা ঘিরে আঁধারের জাল পাতো
রামধনুকের ছবি আঁকো অনাবিল।

চুমকুড়ি দিয়ে নিহার কুয়াশা ঢালো
মায়াবিনী রাতে ডাকো জোছনার বান
আবার কখনও তারাদের দীপ জ্বালো
সত্যিই তুমি বহুরূপী আসমান!



বাপরে বাপ
সুরাজ চৌধুরী

অন্ধকারের মন্দপোলা বাবুল শেঠ
এ্যালশেসিয়ান কুকুর দেখে নামান হ্যাট।
তার মগজে হুক্কাহুয়া শেয়ালটা
গায় সে কেবল টপ্পা টোড়ি খেয়ালটা।
ভালুক টালুক চালায় তাহার নিশান কার
কুচ পরোয়া নেই মনে খুব আছে ধার।
কাবুল গেছে বাবুল শেঠের বেগম সা'ব
সিঙ্গাপুরে নায়েব ট্যুরে দেখছে খাব।
নায়েবতো আর নায়েব সে নয় আচ্ছা সাপ
ছোবল খেলে বলতে হবেই বাপরে বাপ!


সেই বর্ষা কই
আলম খোরশেদ

আষাঢ় গিয়ে শ্রাবন এলো
সেই বর্ষা কই
বৃষ্টি ঝরা রাত্রি দুপুর
খুঁজে মরে সই।

আকাশ কালো মেঘে ঢাকা
পুকুর ভরা জল
খালের পানি ¯্রােতে ভরা
কোথায় আছে বল।

ব্যাঙ ডাকে অস্থির হয়ে
মাছ ধরার রাত
হারিয়ে গেলো কোথায় আজ
নাও না তোমার সাথ।

বাবা মায়ের শতবারণ
লুকিয়ে গেছি ক্ষেতে
রাতের বেলায় মাছ ধরার
সেই মজাটা পেতে।

আষাঢ় গিয়ে শ্রাবণ যায়
সেই বর্ষা কই
কদম দিবো তাহার হাতে
অপেক্ষাতে রই।



ছড়ার দেশে
আলাউদ্দিন হোসেন

ছড়ার দেশে যাবো আমি
লিখবো শুধু ছড়া,
ছড়া লিখে থাকবো বেঁচে
বাচবো না ছড়া ছারা ।

ছড়া আমার জীবন সাধন
ছড়া আমার জান,
ছড়া লিখেই বেঁেচ আছে
আমার দেহে প্রাণ ।

ছড়ার দেশে চলে যাবো
আসবো না আর ফিরে,
সারা-জীবন থাকবো আমি
ছড়ার দেশকে ঘিরে ।

ছড়া লিখে ইতিহাসে থাকবো
আমি অমর,
ছড়ার দেশে চলে যাবো
বাাঁধবো ওখানে ঘর ।

সাদা মেঘের ভেলায় চেপে
সোহেল রানা

সাদা মেঘের ভেলায় চেপে
শরৎ এলে তুমি
কাশফুলেতে রাঙিয়ে দিলে
আমার জন্মভূমি।

তোমায় পেয়ে ধন্য হলো
আকাশ এবং মাটি
সবুজ ঘাসের শিশির পরে
করি হাঁটাহাঁটি।

আনলে তুমি হাসনাহেনা
সাথে শিউলি বেলী
জোনাকিদের আলো মেখে
আমরা খেলা খেলি।

বর্ষা শেষে এসে তুমি
রাঙালে যে মন-
শরৎ তোমায় দিবানিশি
ভাবি সারাক্ষণ।

সবুজের হাতছানি
আলমগীর কবির

এতো ফুল এতো পাখি এতো প্রজাপতি,
রঙে রূপে কাড়ে মন গাঁও রূপবতী।
এতো ঢেউ ধানখেতে, ঘাসে মাখামাখি,
ডানা মেলে করে খেলা হাওয়ার পাখি।

এতো হাসি সবুজের মাঠে মাঠে দোলে,
এতো আলো জোনাকির আঁধারের কোলে।
ছোট নদী এঁকেবেঁকে ছুটে কোন দূরে?
সবুজের হাতছানি দোলা মন জুড়ে।


শরত্ এলো
মাঈনুদ্দিন মাহমুদ

উতাল হাওয়া ঢেউ খেলে যায়
শুভ্র সাদা কাশবনে
এইতো শরত্ এলো বাটে
দোয়েল নাচে বাঁশবনে।

চারদিকে আজ প্রকৃতিরা
সাজে নতুন সাজ
বিধাতারই গড়া যেন
নিপূণ কাকাজ।

শরত্ রাণী এলেই দেখি
শোভা বাড়ে প্রকৃতির
হয় আগমন বিনদেশিয়া
পাখ-পাখালি অথিতির।

হিজল তলির মাঠ পেরিয়ে
ছোট্ট সে গাঁও বাড্ডা
বিকেল বেলায় শিউলি তলায়
জমবে তো বেশ আড্ডা।


শরতের আকাশ
সৈয়দ মাশহুদুল হক

শরতের আকাশে সাদা সাদা মেঘ
সারাবেলা ঘুরে,
মনে হয় এই বুঝি বাদল ঝরবে
পৃথিবী জুড়ে।

কাশফুল দোলে শনশন তালে
মৃদু সমীরণ পেয়ে,
গাঙচিল উড়ে নদীর মোহনায়
ডানকিনা মাছ খেয়ে।

শরৎ হাসে
স্বপন শর্মা

চাঁদও হাসে মেঘও হাসে, হাসে রাতের তারা
বিলের জলে পদ্ম হাসে, হাসে আমন চারা।
মেঘের ফাঁকে রৌদ্র হাসে আহা কি ঝলমল!
সেই হাসিতে ঝিলের মাঝে ফোটে রক্ত কমল।
শিউলি হাসে মালতি হাসে হাসে কাঁশের বন,
নীল আকাশে সাদা মেঘের উদাস হয় মন।
শরৎ এলে সরল মনে হাসির ধারাবয়,
এমনি করে বছর ধরে হাসে জগৎময়।


(জীবনী)

ছড়াকার নাসের মাহমুদ

সত্তরের দশকের পরিচিত ছড়াকার নাসের মাহমুদ শুরু থেকেই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এবং তিনি ছড়ার তিনি কুশলী কারিগর। ছন্দের আধুনিকতা ও বিষয় বৈচিত্রে তাঁর দক্ষতা লক্ষণীয়। নাসের মাহমুদের জন্ম রাওয়ালপিন্ডিতে, ১ জুলাই ১৯৫৬। তাঁর বাবা মরহুম শাহ লুৎফর রহমান। ষাটের প্রথমার্ধে পাংশার কশবামজাইল ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন।বাষট্টিতে এম এন এ পদে প্রার্থী হয়ে হেরে গিয়েছিলেন।তিনি কবিতা লিখতেন।

জীবনের সিংহভাগ সময় কাটিয়েছেন কুষ্টিয়ায়। কুষ্টিয়া তাঁর প্রিয় শহর। পৈতৃক বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশার ভাতশালা। ভাতশালা তাঁর প্রিয় গ্রাম। নাসের মাহমুদের ছেলেবেলা ও কৈশোর কেটেছে করাচী, কোয়েটা, লাহোর, মুলতান, পেশোয়ার, ঢাকা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুরের ধনাগোদা তালতলী ও রাজবাড়ীর ভাতশালা গ্রামে। তিনি ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন– ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, খেলাঘর, উদীচী ও অঙ্গীকার চলচ্চিত্র সংসদ যুক্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জাতীয় কবিতা পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের একনিষ্ঠকর্মীও তিনি। নাসের মাহমুদ বাংলাদেশ ছড়া একাডেমীর উদ্যোক্তা পরিচালক। বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমী (চট্টগ্রাম), বাংলাদেশ লিমেরিক সোসাইটি (চট্টগ্রাম), লালন একাডেমী (কুষ্টিয়া), বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি (কুষ্টিয়া)-র জীবন সদস্য ও বাংলাদেশ রাইটার্স কপিরাইট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক। নাসের মাহমুদ ছড়া সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতিপদক ও বিশেষ সম্মাননা ২০১৪ লাভ করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৭টি। এর মধ্যে , ছড়ার বই ১২টি, কবিতা ও ছড়াকাহিনীর বই একটি করে, যৌথছড়ার বই ৩টি ও সম্পাদিত বই ১০টি।


(গল্প)


ভূত হওয়ার সাধ
--আব্দুস সালাম

ফতেহপুর গ্রামটি খুবই সুন্দর। এ গ্রামে রয়েছে দীঘি, সবুজ গাছপালা, ফাঁকা মাঠ ইত্যাদি। গ্রামের পাশ দিয়ে একটি ছোট্ট নদী বয়ে গেছে। গ্রামটি অজপাড়া গাঁ বললেও ভুল হবে না। শহরের ছোঁয়া নেই বললেই চলে। গ্রামের বেশির ভাগ লোকজন অশিক্ষিত। এই গ্রামেই একটি সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছে আব্দুল কাদের। সে খুব মেধাবী। জেলা শহরের স্কুল-কলেজের পড়াশুনা শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তারপর উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করার জন্যে স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে যায়। বেশ কয়েকবছর পর সম্প্রতি ডিগ্রি নিয়ে কাদের বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছে। এখন সে গ্রামে। তার চালচলন কথাবার্তা আগেরমতই আছে। কোনরকম পাল্টায়নি। সে খুব মিশুক। এখন কাদের কিছুদিন গ্রামে থাকবে। তারপর আবার দেশের বাইরে চলে যাবে। অনেকদিন পর কাদেরকে পেয়ে গ্রামের লোকজন খুব। কাদের গ্রামের গর্ব। তার মত উচ্চ শিক্ষিত ছেলে দশ গ্রামে খুঁজে পাওয়া যাবে না। নানাবিধ কারণে গ্রামের লোকজন তাকে খুব ভালোবাসে।

গ্রামবাসীদের মুখে ইদানিং একটা কথা শুনা যাচ্ছে। আর তা হল- সন্ধ্যার আগে আগে ফাঁকা মাঠে কাউকে যেন উড়তে দেখা যায়। সে উড়তে উড়তে গাছে গিয়ে বসে। তারপর এ গাছ থেকে ও গাছ। যা আগে কখনও দেখা যায়নি। তাদের ধারণা নিশ্চয় সে ভূত। কারণ মানুষতো আর উড়তে পারে না। কিন্তু এই নতুন ভূতকে তো আগে কখনো দেখা যায়নি। এতদিন সে কোথায় ছিল? আর কেনই বা সে ভর সন্ধ্যাবেলায় আকাশে ঘুরে বেড়ায়, গাছে গাছে উড়ে বেড়ায়। ওই ভূত এখন সকলের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু। উড়ন্ত ভূতের ভয়ে অনেকে সন্ধ্যার পর বাইরে বের হতে সাহস পাচ্ছে না। তাদের এখন বড় ভয়, যে কেউ ভূতের কবলে পড়ে প্রাণ হারাতে পারে।

গ্রামের মতিন মিয়া বটতলার দোকানের মাচাতে বসে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে গল্প করছে। সে বলছে, “গতকালই সন্ধ্যার আগে হাট থেকে বাড়িতে ফেরার পথে উড়ন্ত ভূতকে দেখেছি। রাস্তায় তখন কেউ ছিল না। ভূতটি একটি মানুষের রূপ ধরে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে ছিল। আমি মানুষ ভেবে ভূতটির পিছন পিছন একটু দূর দিয়ে হাঁটছিলাম। তার গায়ে ছিল একটি জ্যাকেট। সেও আপন মনে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল! কিছুক্ষণ পরেই তার গায়ের জ্যাকেটটি বেশ বড় হয়ে গেল। আস্তে আস্তে সে বেশ খানিকটা উপরে উঠে গেল। তারপর উড়তে উড়তে মাঠের মাঝে যে পাকুড় গাছটা রয়েছে তার উপর গিয়ে বসলো।”

পাশেই বসা ছিল বৃদ্ধ সুরেশ। সে বললো, আমিও একদিন সন্ধ্যার আগে ওই ভূতকে দিঘীর উপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখেছি! আমার সাথে তখন ছিল রইছ উদ্দিন। কী অবাক কান্ড! ভূতটিকে সবসময় সন্ধ্যার আগে আগেই দেখা যায়। গ্রামে তার কী কাজ? এত ঘুরাঘুরি করছে কেন? নানান জনে নানান কথা বলছে। আজকাল গ্রামের লোকজনেরা ভয়ে ভয়ে থাকে। কখন যেন কী ঘটে যায়! অনেকেই কাজ সেরে তাড়াতড়ি বাড়িতে চলে আসছে। খুব জরুরি কাজ না পড়লে কেউই বাইরে যায় না। আস্তে আস্তে ভূতের কথাটি সারাগ্রামে ছড়িয়ে পড়লো।

কী আশ্চর্য! গ্রামের কেউ কেউ বলছে, আব্দুল কাদেরই নাকি সেই ভূত। আব্দুল কাদের নাকি ভূতের রূপ ধরে রাতেরবেলায় আকাশে এবং গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায়। যারা দেখেছে তারা ছাড়া আর কেউই এ কথা বিশ্বাস করতে পারছে না। হালিম মাস্টার জোর দিয়ে বলছে, “আমি দু’দিন আগে মাঠের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। ঠিক তখন দূর থেকে একজনকে গাছ থেকে উড়ে নিচে নামতে দেখলাম। তারপর সে আস্তে আস্তে আমার দিয়ে এগিয়ে আসছিল। তাকে দেখেই চিনতে পেরেছি। সে হল আমাদের গ্রামের আব্দুল কাদের। সে আমার নিকটে আসার পূর্বেই আমি দ্রুত তার কাছ থেকে সরে পড়ি।”

কেউ কেউ আবার বলছে, কাদের তো আমাদের খুব পরিচিত ছেলে। সে কেন ভূত হতে যাবে। না না এটা বিশ্বাস করা যায় না। আবার অনেকে কাদেরকে দেখে ভয়ও পাচ্ছে। দূর থেকে তাকে দেখলেই ভয়ে পালিয়ে যায়। বিশেষ করে ছোট ছেলেমেয়েরা বেশি ভয় পাচ্ছে। আবার অনেকে তার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করাও বন্ধ করে দিয়েছে। তার বাড়ির আশেপাশে কাউকে দেখা যায় না। এতে কাদের ভীষণ সমস্যায় পড়ে গেল। সে এটার একটা বিহিত করতে চায়। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল যে, এই বিষয়টি নিয়ে গ্রামের লোকদের সাথে কথা বলবে।

গ্রামের মানুষের মন থেকে আব্দুল কাদের ভূতের ভয় দূর করতে চায়। এজন্যে সে গ্রামের মোড়লের সাথে দেখা করলো। তার সাথে ভূতের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলো। সবকিছু জানার পর মোড়ল কাদেরের পরিকল্পনাকে সমর্থন করলো। কাদের মোড়লকে বললো, আমি চাই একদিন গ্রামের লোকদের কোন স্থানে জড় করতে। এর জন্য উপযুক্ত স্থান হবে গ্রামের মাঠ। মোড়লের সাথে পরামর্শ করে একটা দিন ধার্য করা হলো। নির্দিষ্ট দিনে সকলকে মাঠে আসার জন্য অনুরোধ করা হলো। তারপর সেই কাঙ্খিত দিনটি যখন চলে আসলো তখন সকালবেলায় গ্রামের নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-যুবক, ছোট-বড় সকলেই মাঠে জড় হলো। তাদের মধ্যে গ্রামের মোড়লও রয়েছে। যথাসময়ে আব্দুল কাদেরও উপস্থিত হলো। তার গায়ে ছিল একটি জ্যাকেট। জ্যাকেটের ভিতর কী যেন রয়েছে। তাকে দেখে তা বেশ পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। যারা ইতঃপূর্বে ভূত দেখেছিল তারা কাদেরকে দেখেই বুঝতে পারলো যে, তারা আসলে কাদেরকেই দেখেছে। কারণ আজকের কাদের আর ভূতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

সম্পাদনা:বদরুল হায়দার

লেখা পাঠান:[email protected]

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test