সাংবাদিক নির্মল সেনের ৮৪তম জন্মদিন

ডেস্ক রিপোর্ট : ৩ আগস্ট সাংবাদিকতা জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র নির্মল সেনের ৮৪তম জন্মদিন।

বিশিষ্ট এ সাংবাদিক, কলামিস্ট, বাম রাজনীতির পুরোধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ১৯৩০ সালের ৩ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

নির্মল সেনের বাবার নাম সুরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ও মাতার নাম লাবণ্য প্রভা সেনগুপ্ত। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে নির্মল সেন ছিলেন পঞ্চম। ১৯৪৬ সালে নির্মল সেনের পিতা-মাতা পরিবারের সবাইকে নিয়ে কলকাতা চলে গেলেও তিনি এ দেশে থেকে যান।

ঝালকাঠি জেলার কলসকাঠি বিএম একাডেমি থেকে ১৯৪৪ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি। পিসির বাড়িতে যাওয়ার আগে নির্মল সেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার জিটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে এক বছর লেখাপড়া করেন। তিনি বরিশাল বিএম কলেজ থেকে আইএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ও এমএ পাস করেন।

দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু ১৯৫৯ সালে। তারপর দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

লেখক হিসেবেও নির্মল সেনের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তার লেখা ‘পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ’, ‘মানুষ সমাজ রাষ্ট্র’, ‘বার্লিন থেকে মস্কো’, ‘মা জন্মভূমি’, ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’ ও ‘আমার জবানবন্দী’ উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের মাধ্যমে স্কুলজীবন থেকে।

কলেজজীবনে তিনি অনুশীলন সমিতির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সভাপতি ছিলেন।

২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাতে নির্মল সেন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরদিন ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ১৮ দিন চিকিৎসার পর ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নির্মল সেন মারা যান। মৃত্যুর আগে নির্মল সেন তার দেহ পিজি হাসপাতালে দান করে যান।

(ওএস/এইচআর/আগস্ট ০৩, ২০১৪)