E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ডিআরইউর শাহেদ চৌধুরী ও ইলিয়াস খানকে হাইকোর্টে তলব

২০১৪ মার্চ ১২ ১৪:৩২:৫৫
ডিআরইউর শাহেদ চৌধুরী ও ইলিয়াস খানকে হাইকোর্টে তলব

স্টাফ রির্পোটার, ঢাকা : ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের (ডিআরইউ) সাংবাদিক নেতাদের দেওয়া বিবৃতি দৈনিক নয়া দিগন্ত ও সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় ওই দুই পত্রিকার বিরুদ্ধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ডিআরইউর সভাপতি   ও সাধারণ সম্পাদক  তলব করেছেন হাইকোর্ট।

 

রোববার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

 

দৈনিক নয়া দিগন্ত ও সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত বিবৃতি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলো পত্রিকার বিরুদ্ধে রুল শুনানিতে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা পেশা সম্পর্কে সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদের বিষোদাগার করার প্রতিবাদে বিবৃতি দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিক নেতারা।

আগামী বুধবার তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা পেশাকে জড়িয়ে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদের বক্তব্য অসত্য, মানহানিকর ও চরম বিদ্বেষমূলক। ‘টাকা দিলে সাংবাদিকরা এক রকম লেখেন, না দিলে অন্য রকম লেখেন, সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নেই’ এই বক্তব্য ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদকে প্রমাণ করতে হবে। তা না হলে তাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার ও দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। নইলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে ডিআরইউ। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিও এর প্রতিবাদ করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এম এম জসিম ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তারা। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামতে বিলম্ব করবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেন নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে তারা বলেন, রোকন উদ্দিন মাহমুদের এমন বক্তব্য সাংবাদিকার সঙ্গে জড়িতদের জন্য খুবই অবমাননাকর। ঢালাওভাবে একটি পেশার মানুষের প্রতি এমন মন্তব্য চরম ধৃষ্টতার সামিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি মনে করে, কিছু আইনজীবী সাংবাদিকদের সঙ্গে আইনজীবীদের সম্পর্ক সাংঘর্ষিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করছে। এটি তারই বহিঃপ্রকাশ।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মার্চ হাইকোর্টে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে রুলের শুনানি চলাকালে রোকন উদ্দিন বলেন, ‘টাকা দিলে সাংবাদিকেরা এক রকম লেখেন, না দিলে অন্য রকম লেখেন। সাংবাদিকদের পড়াশোনা পুলিশের চেয়েও কম। তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। এই হচ্ছে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার লেভেল।

(এএস/ওএস/মার্চ ০৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test