E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন নীলফামারীর সাংবাদিক শামসুল ইসলাম

২০২২ জুন ০২ ১৫:৫৪:৩৩
বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন নীলফামারীর সাংবাদিক শামসুল ইসলাম

ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : নীলফামারীর জেষ্ঠ্য সাংবাদিক শামসুল ইসলাম লাভ করলেন ‘বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১’। গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবতরী হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি গ্রহণ করেন এই অ্যাওয়ার্ড। এসময় তার গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয় ও সম্মাননা ক্রেস্ট, সম্মাননা সনদ এবং ১ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম, জুরি বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম রহমান এবং বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড এর আহবায়ক সায়েম সোবহান আনভীর ও সুধীজনরা। অনুষ্ঠানে ১১ সাংবাদিককে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য একইভাবে পুরষ্কৃত করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার তৃণমূল পর্যায়ের সাংবাদিকদের এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী দৈনিক ভোরের কাগজের নীলফামারী প্রতিনিধি সাংবাদিক শামসুল ইসলাম অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকদের এভাবে মূল্যায়ন করা হলে তারা আরও বেশী অনুপ্রাণিত হতে পারেন। আমি এই অ্যাওয়ার্ড পেয়ে নিজেই উজ্জীবিত হয়েছি এবং আমার কর্মপ্রেরণা আরও বেড়ে গেল। বসুন্ধরা গ্রুপের এ ধরনের উদ্যোগ দেশের গুণী সাংবাদিক বাছাই করার কাজে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে বলে আমার ধারণা। পুরষ্কার পাওয়ার জন্য নয়, নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে আমরা আরও এগিয়ে যাবার সাহস খুঁজে পেয়েছি।

তৃনমূল পর্যায়ের একজন সাংবাদিক হিসাবে শামসুল ইসলাম গত প্রায় অর্ধ শতাব্দী যাবত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখে আসছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক ভোরের কাগজের নীলফামারী প্রতিনিধির দ্বায়িত্বে আছেন এবং সাংবাদিকতা থেকে অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ক্ষুরধার লেখনীর অধিকারী এই গুণী সাংবাদিক গণমাধ্যম জগতে প্রবেশ করে দৈনিক ভোরের কাগজে দায়িত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছেন। । বর্তমান সময়ে বয়সের ভার ও শারিরীক নানা জটিলতা তার লেখনী শক্তিকে এতটুকু দমাতে পারেনি। তিনি সাড়া জাগানো অগণিত রিপোর্ট করে নিজেকে সাংবাদিকতায় একজন অপরিহার্য ব্যক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

নির্ভীক, সত্যনিষ্ঠ্য এবং সাহসী প্রতিবেদন লিখে তিনি সামাজিক অপশক্তির প্রতিরোধের মুখে পড়েও ক্ষান্ত হননি। তার হাত ধরে বহু সাংবাদিক নিজেদের দাঁড় করাতে পেরেছেন।

সাংবাদিকতাকে আপন প্রাণশক্তি হিসাবে ধরে নিয়ে তার লেখনীর মাধ্যমে তিনি সমাজের সকল ইতিবাচক ও নেতিবাচক চিত্র ধারন করেছেন। এতে তিনি বারবার প্রশংসিত হয়েছেন।

অনুসন্ধানী ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন দাঁড় করতে তিনি এখনও শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলে যেয়ে খবরের ওপর অনুসন্ধান চালিয়ে থাকেন। এভাবেই তিনি সামাজিক জীবনকে সামনে তুলে এনেছেন।

(ওকে/এসপি/জুন ০২, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test