E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁকে ভয়ংকর নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার নেপথ্য

পুলিশের বিরুদ্ধে লিখলে ধরে এনে ট্রাকের চাকার তলায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন পুলিশ সুপার

২০২৩ ফেব্রুয়ারি ০১ ১৫:৪১:৪১
পুলিশের বিরুদ্ধে লিখলে ধরে এনে ট্রাকের চাকার তলায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন পুলিশ সুপার

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিষাখালিতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে থাকা ১৩১৮ বিঘা জমিতে ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ভূমিহীনরা বসবাস শুরু করে। এরপর থেকে ওই জমির মালিক দাবিদাররা ভূমিহীনদের নামে একের পর এক ফৌজদারি মামলা দেন। ওই জমি খাস জমি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দেওয়ার দাবিতে খলিষাখালি শেখ মুজিবনগর ভূমিহীন আন্দোলন সংগ্রাম কমিটির ডাকে সাড়া দিয়ে সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁসহ বিভিন্ন বামপন্থী নেতাগণ আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করেন।

২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক জরুরী সভায় সাতক্ষীরার তৎকালিন পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খলিষাখালির ৪৩৯ দশমিক ২০ একর জমি নিয়ে জনৈক জোনাব আলীর এসএ রেকর্ড সংশোধন ও খাস জমি হিসেবে পরিণত করার দেঃ ১৮/১০ নং টাইটেলশুটের মামলায় সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা জজ আদালত-২ এর বিচারক ওই জমি লাওয়ারিশ জমি হিসেবে ঘোষণা করে খাস সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করে দেখভাল করার জন্য ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি মাননাীয় ভূমি সচীব ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়কে নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে এপিলেড ডিভিশনে ২৫৬৮/১৭ আপিল মামলার ০২/০২/২০২১ তারিখের রায় ডাঃ নজরুল ইসলাম, কাজী গোলাম ওয়ারেশ, আহছানিয়া মিশনের ইকবাল মাসুদসহ অন্যদের বিপক্ষে যাওয়াসহ ওই জমি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশনার বিষয়টি উপস্থাপন করেন। কথিত জমির মালিকরা ০৮/০৪/২১ তারিখে ১৬৮/২১ নং রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছেন। মামলার কারণে বাংলা-১৪১৮ সালের পরবর্তী ১০ বছরে তারা খাজনা দিতে পারেনি বলে উল্লেখ করেন। জমির মালিক দাবিদারদের সুপ্রিম কোর্টের সিভিল রিভিউ ১৬৮/২১ মামলাটি শুনানী না হওয়া পর্যন্ত তাদের জমিতে কোন স্বত্ব নেই দাবি করে সেখানে বসবাসরত আট শতাধিক ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ করা যাবে না মর্মে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন পুলিশ সুপার।

ভূমিহীন নেতা আনারুল ইসলাম ওই জমিতে বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য ৯৫৩৯/২১ নং রিট পিটিশন দাখিল করলে ২০২১ সালের পহেলা নভেম্বর আদেশ প্রাপ্তির দুই মাসের মধ্যে ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন মহামান্য হাইকোর্ট। এরপরও সরকারি কৌশুলী শম্ভুনাথ সিং এর মতামত অনুযায়ি ওই জমি কথিত জমির মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে রেজুলেশন করা হয়। বাধ্য হয়ে ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি খলিষাখালি ভূমিহীন সমিতির সভাপতি আনারুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সাতজনকে বিবাদী করে মহামান্য হাইকোর্টে ১৫০০/২২ নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি শুনানী শেষে আদালত ওই জমি থেকে ভূমিহীনদের উচ্ছেদ না করে ছয় মাসের জন্য স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দেন। ৩১ জানুয়ারি খলিষাখালির ভূমিহীনদের উচ্ছেদের জন্য দুই প্লাটুন পুলিশ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ৪৩ জন জমির মালিক দাবিবাররা আনারুলের দায়েরকৃত ১৫০০/২২ নং রিট পিটিশনে পক্ষভুক্ত হয়ে মামলা খারিজের আবেদন করলে আদালত ২০২২ সালের ২৪ আগষ্ট শুনানী শেষে মালিক দাবিদারদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে ১৭ নং বেঞ্চে রিট এর শুনানী করার জন্য নির্দেশনা দেন। একই আদালত ৩১ আগষ্ট ভূমিহীন নেতা আনারুলের আইনজীবী আনারুলের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থিতাবস্থা জারির মেয়াদ আরো ছয় মাস বৃদ্ধির আদেশ দেন। স্থিতাবস্থা থাকালিন ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর পুলিশের উপস্থিতিতে কথিত জমির মালিকরা ৭৮৫ টি ভূমিহীন পরিবারের ঘরবাড়িতে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করে বিরান ভূমিতে পরিণত করে। একইসাথে নোড়ারচকের আবুল হোসেন, ইসমাইল মেম্বর, ইয়াদ আলীসহ কমপক্ষে ১৫টি পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুর ওে লুটপাট করে জমির মালিক দাবিদারদের ভাড়াটিয়া মোকরেম শেখের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা। এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা থানায় কোন মামলা করতে পারেনি।

আন্দোলন সংগ্রামের একপর্যায়ে নোড়ারচকের ভূমিহীন মুজাহিদ ও পারুলিয়ার প্রাইভেটকার চালক আনারুল ইসলামকে মোবাইল কোর্টে আটক করে দেবহাটা থানায় আটক রাখার সময় তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। ওসি শেখ ওবায়দুল্লাহ হকি স্টিক দিয়ে ফাটিয়ে দেন মুজাহিদের ডান পা। ভূমিহীন ফজলু মোড়ল ও বাবলুকে রাতে যথাক্রমে খলিষাখালি ও নোড়ারচকের বাাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পরদিন সকালে পারুলিয়া জেলেপাড়া এলাকা থেকে ৫৪ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠান দেবহাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ ওবায়দুল্লাহ। খলিষাখালির ভূমিহীন সাইফুলকে আশাশুনির রদরতলা মাছের সেট থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর ৮০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর আশাশুনির বদরতলা মাছের সেট থেকে ব্যবসায়ি ইউনুস আলীকে দেবহাটা থানার পুলিশ জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে করে তুলে এনে দেবহাটার পারুলিয়া জেলেপাড়ার পার্শ্ববর্তী একটি ইটভাটার পাশ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও দুই রাউণ্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওইদিন জেলে পাঠায় দেবহাটা থানা। খলিষাখালির জমির মাালিক দাবিদারের দায়েরকৃত দ্রুত বিচার আইনের মামলায় একই দিন অর্থাৎ ৩ নভেম্বর ভূমিহীন ও স্বেচ্ছাস্বেক লীগের নেতা শরিফুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও মুর্শিদকে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল কোর্টের তিনতলা থেকে ডেকে এনে নিরাপত্তা দেওয়ার নাম করে ডিবি পুলিশ কোর্ট চত্ত্বর থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। বিকেলে তাদেরকে দেবহাটা থানায় নিয়ে রাত ১২টার দিকে দেবহাটার অনিল স্বর্ণকারের পরিত্যক্ত আমবাগানে ডাকাতির চেষ্টাকালে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে একটি ওয়ান শুটার গান ও সাত রাউণ্ড গুলিসহ অস্ত্র আইনে ও ডাকাতির চেষ্টার পৃথক মামলা দিয়ে ৪ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়। এসব ঘটনা সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ তার পত্রিকা দৈনিক বাংলা’৭১ এ প্রকাশ করেন। যদিও পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার বিষয়টি সর্বদাই অস্বীকার করেছে।

৩ নভেম্বর ইউনুস আলী, শরিফুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও মুর্শিদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মোঃ মহিউদ্দিনকে পরদিন অবহিত করেন সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ওই সাংবাদিককে রাতে হুমকি ধামকি দেন। ৫ নভেম্বর সাতক্ষীরায় পুলিশের বিভাগীয় তদেন্ত আদলত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া খালাসপ্রাপ্ত আসামীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. অজয় সরকার, অ্যাড. মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী ও আইনজীবী সহকারি কবীর হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হওয়ায় ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর ঢাকায় ইউএনডিপির কর্মশালা চলাকালে বিকেল তিনটা ১৩ মিনিট ও তিনটা ৩৯ মিনিটে মোবাইলে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি ও জীবননাশের হমুকিসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। বিষয়টি তাৎক্ষণিক জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউণ্ডেশন এবং আইন ও শালিস কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।

গত ইংরেজী ২৩ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে আমি শহরের বড় বাজার থেকে কাচা সবজির বাজার করে পুরাতন সাতক্ষীরার কুদ্দুস আলীর মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলাম। পথিমধ্যে দিবানৈশ কলেজ মোড় ও পিএন স্কুল রোডের মাঝামাঝি জায়গা থেকে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক তারেক ইবনে আজিজ ও উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন আমাকে মোটরসাইকেল থেকে নামতে বাধ্য করেন। পরে আমাকে তাদের মোটরসাইকেলে তুলে শহরের ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়। এসময় আমার কাছ থেকে দুটি মোবাইল তারা কেড়ে নেয়। সেখান থেকে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা একটি কালো রংয়ের প্রাইভেট কারে তুলে আমাকে প্রথমে সখিপুর আহছানিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে কিছুক্ষন রাখার পর আমাকে খলিশাখালী ভূমিহীন জনপদের পাশ্ববর্তী বদরতলা-পারুলিয়া সড়কে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েক দফায় গাড়ি থামিয়ে মোবাইলে বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেন পুলিশ পরিদর্শক তারেক। সেখান থেকে আমাকে ৩টার দিকে দেবহাটা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ৮টার দিকে হযরত আলীর মাইক্রোবাসে করে আমাকে ও ঢেবুখালীর রেজাউল ইসলামকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ সময় জরুরী বিভাগের চিকিৎসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ডা. বুশরা। এসময় জরুরী বিভাগে কর্মরত ওয়ার্ড বয় আমার কোন শারিরীক সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলে আমি বলি আমার কোন শারিরীক সমস্যা নেই। অথচ আমি শারিরীকভাবে নির্যাতিত উল্লেখ করে একটি ব্যবস্থাপত্র তৈরী করে এসআই লালচাঁদ ও এসআই শামীমের হাতে দেওয়া হয়। সেখান থেকে আবারও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে আমার থানা লকআপ থেকে মোবাইলে ছবি ধারন করা হয়। ২৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আমাকে ও সমীরন সরকার নামের এক চেক ডিজঅনার মামলার আসামীকে একইসাথে পুলিশ পিকআপে তোলার আগে সামনে হাতকড়া পরিয়ে বিভিন্ন স্টাইলে ভিডিওচিত্র ধারন করা হয়।

এরপর আমাদের দুজনকে পুলিশ পিকআপে সাতক্ষীরা আদালতে নিয়ে যাবার কথা বলা হয়। গাড়িতে তুলেই আমার দুই চোখ বেঁধে ফেলা হয়। সেখান থেকে আমাকে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে একটি ঘরে নিয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, ডিবি পুলিশের ওসি বাবলুর রহমান খান ও সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমানসহ কয়েকজনের উপস্থিতিতে চোখ বেঁধে দু’ পায়ের তলায়, মুখমণ্ডল, ঘাড় ও হাতে নির্যাতন করা হয়। দুই কানে কয়েক দফায় আধ ঘণ্টাব্যাপি ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে লিখলে কারাফটক থেকে ধরে এনে ট্রাকের চাকার তলায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন পুলিশ সুপার। পরে বিকাল ৪টার পর কোর্টে পাঠানো হয়। আদালতে এসে আমি জানতে পারি আমাকে দেবহাটার একটি ঘেরের লুটপাট, বোমা বিস্ফোরনের ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩), ২৫-ডি তৎসহ বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের ৩/৪/৬ ধারায় একটি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আরও একটি মামলা দেওয়া হয়।— ২০১২ সালে কালিগঞ্জের ফতেপুর ও চাকদাহ গ্রামে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ফতেপুর হাইস্কুল মাঠে মঞ্চস্ত “হুজুরে কেবালা” মহানবীকে কটুক্তি করা হয়েছে এমন মিথ্যা খবর ছাপিয়ে ফতেপুর ও চাকদহ গ্রামে ১৫টি হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলামের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ’র গ্রামের বাড়ি কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুরে ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয় কয়েক দফায়। এ সময় হামলাকারিরা রঘুনাথ খাঁ’র মেঝ ভাইকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যাণার্জী, দৈনিক পত্রদূতের অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, আজকের পত্রিকার আবুল কাশেম, বাংলা ’৭১ এর সম্পাদক প্রবীর সিকদার ও ওই পত্রিকার বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধি, এমএসএফ এর নির্বাহী পরিচালক বিশিষ্ঠ মানবাধিকার কর্মী অ্যাড. সুলতানা কামাল, আইন ও শালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা শাখার সম্পাদক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, জাসদ নেতা প্রভাষক ইদ্রিস আলী, বাসদ নেতা শিক্ষক নিত্যানন্দ সরকার, শ্রমিক ফেডারেশন নেতা মকবুল হোসেন, বাবুলিয়া স্মৃতি সংসদের কাওছার আলী, সাংবাদিক চন্দন চৌধুরী, রেজাউল করিম ও দীপ্ত টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের ঐকান্তিক চেষ্টায় রঘুনাথ খাঁকে আটকের ১০ ঘণ্টা পর সন্ধান পাওয়া যায়। একইভাবে তাদেরই উদ্যোগে রঘুনাথ খাঁ ২৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান। নির্যাতনের কারণে মুক্তির পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

(আরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

১০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test