E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অবৈধ ট্রলি নিয়ে ফেসবুকে স্টাটাস, সাংবাদিকের হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি

২০২৪ এপ্রিল ২০ ২৩:৪৭:২৯
অবৈধ ট্রলি নিয়ে ফেসবুকে স্টাটাস, সাংবাদিকের হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং মুক্ত খবর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আরিফুজ্জামান চাকলাদার আপেল (৪২) এর হাত পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রলি ব্যবসায়ী শামীম মোল্যা (৩৫)।

শনিবার ২০ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে ট্রলি ব্যবসায়ী শামীম তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে সাংবাদিক আপেলকে বাবা মা তুলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনকি হাত, পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

সাংবাদিককে হুমকিদাতা শামিম মোল্যা একজন ট্রলি ও ভেকু ব্যবসায়ী। তিনি উপজেলার পৌর সদরের ৯নং কুসুমদি ওয়ার্ডের ট্রলি সমিতির সভাপতি দাউদ মোল্যার ছেলে।

মূলত গত ১৯ এপ্রিল প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং জাতীয় দৈনিক মুক্ত খবরের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক আপেল তার সামাজিক মাধ্যমে এক স্টাটাসকে কেন্দ্র করে শামীম এই হুমকি দেন। স্টাটাসটি ছিলো " আলফাডাঙ্গায় প্রায় প্রতিদিন মটর সাইকেল পুলিশের হাতে কাগজপাতির জন্য অভিযান হয় কিন্তু ট্রলি ও ড্রাম ট্রাক করতে দেখি না। এর কারণ কি ?"

এর পরে আজ ট্রলি ব্যবসায়ী শামিম তার ব্যক্তিগত ফোন দিয়ে সাংবাদিক আরিফুজ্জামানকে ১মিনিট ২১সেকেন্ডের একটি ভয়েস কলে বলেন, " কোন জায়গায়? আয় আমি আমার অফিসে আছি তোরে হিসাব দিবো তোর হিসাবের দরকার না, এখনো সময় আছে ভালো হ, তোর টেঙ্গিটুঙ্গি ভাইঙ্গে ফেলবানি।" সাংবাদিক এক পর্যায়ে শামিমকে জিজ্ঞাসা সে হুমকি দিচ্ছে কিনা তখন সে আবার বলে, "এই নটির ছেলে আমার বাপের সম্বন্ধে বলবি তোক চাটবো! যদি তুই পারিস ঠেকাস। আমি যেরকম বললাম এরকম পারলে বলিস আমার বাপের সম্বন্ধে, তোর কলিজা ছিড়ে ফেলবো, তোর নলার থেকে খুলে ফেলবো শুয়োরে বাচ্চা"

এ ব্যাপারে সাংবাদিক আরিফুজ্জামান চাকলাদার আপেল জানান বলেন আমি ১ দিন আগে ফেসবুকে সরকারের রাজস্ব ফাকি দেওয়া অবৈধ ট্রলি যান নিয়ে ফেসবুকে পুলিশি তৎপরতা নিয়ে একটা স্টাটাস দিলে ট্রলি সমিতির সভাপতি এবং ট্রলি মালিক শামিম আমাকে শনিবার বিকেলে হাত,পা ভেঙ্গে দেওয়া সহ মেরে ফেলার হুমকি দেয়, এতে আমি এখন জীবন নাশের ভয় পাচ্ছি। এবিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় একটা সাধারণ ডায়েরিও করেছি।

হুমকির বিষয়ে শামিম মোল্যার কাছে জানতে চাওয়া হলে বলেন, আমার বাবার সম্বন্ধে বাজে কথা বলায় আমি তার সাথে কথা বলেছি, কেউ আমার বাবাকে নিয়ে কথা বললে আমি কি তাকে ছেড়ে দিবো?

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার সেলিম রেজার কাছে বক্তব্য জানতে তাকে কল করা হয়, তিনি কল রিসিভ করে হ্যলো বলে কেটে দেন পরবর্তীতে তাকে ২ বার ফোন দিলে একবার কেটে দেন এবং দ্বিতীয়বার ফোন ধরেন নি।

জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-মধুখালী সার্কেল) মিজানুর রহমানকে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি বক্তব্য না দেওয়া এবং সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে বলেন, " বিষয়টি আমার নলেজে নেই, বিয়টা জানবো, শুনবো আমি।"

(টিইউ/এএস/এপ্রিল ২০, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test