E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জগলুল আহমেদের মৃত্যুতে হবিগঞ্জের সাংবাদিকরা শোকাহত

২০১৪ নভেম্বর ৩০ ১৮:০২:৪৪
জগলুল আহমেদের মৃত্যুতে হবিগঞ্জের সাংবাদিকরা শোকাহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : সড়ক দুর্ঘটনায় দেশের খ্যাতিমান সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকাহত তার নিজ জেলা হবিগঞ্জ। হবিগঞ্জের সাংবাদিকরা এই মৃত্যুকে জাতীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করেন। তার অকাল মৃত্যুতে হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত সকল সংবাদপত্রে বলা হয়, হবিগঞ্জবাসী তার কৃতি সন্তানকে হারিয়েছে।

সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরী একজন জাতীয় পর্যায়ের ব্যাক্তিত্ব ছিলেন। ঢাকাতেই তার কর্মস্থল হলেও পিতৃভূমি হবিগঞ্জের সাথে ছিল তার নাড়ির টান। সুযোগ পেলেই তিনি চলে আসতেন হবিগঞ্জে। ঘুরে বেড়াতেন শহরের বিভিন্ন জায়গায়। হবিগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছে তিনি ছিলেন পথপ্রদর্শক। স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোর বিকাশেও ছিল তার অবদান। হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা ও এর উন্নয়নেও ছিল তার ভূমিকা। তার মৃত্যুতে হবিগঞ্জবাসীর বড় ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।


হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল বলেন, জগলুল আহমেদ এর সাথে আমাদের অনেক স্মৃতি। ঢাকায় তার কাছে গেলে তিনি অনেক খুশি হতেন। তার মত জ্ঞানী ও দক্ষ সাংবাদিক দেশে বিরল।

হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আমীর হোসেন বলেন, তিনি ঢাকায় থাকলেও হবিগঞ্জের সাংবাদিকদের যে কোন প্রয়োজনে এগিয়ে আসতেন। তার মৃত্যুতে হবিগঞ্জের সাংবাদিকরা তাদের অভিবাবককে হারিয়েছে।

জগলুল আহমেদ চৌধুরীর এ ধরণের মৃত্যু কাম্য ছিল না। কি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ নাহিজ। তিনি জানান, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব তার মৃত্যুতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে এবং চেষ্টা করা হবে তার স্মৃতি ধরে রাখার।
দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব হলেও হবিগঞ্জে জগলুল আহমেদ এর চলাফেরা ছিল সাধারণ মানুষের মত। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পিয়াম গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পরিবারে তার জন্ম। তার বাবা নাসিরউদ্দিন চৌধুরী ’৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকারের আইনমন্ত্রী ছিলেন। তার কোন অহমিকা ছিল না। তার মৃত্যুতে শোকাহত হবিগঞ্জবাসী।

(পিডিএস/এএস/নভেম্বর ৩০,২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test