E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ক্ষমা চাইলেন প্রথম আলো সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক

২০১৫ জানুয়ারি ০৫ ১১:৩৯:৪২
ক্ষমা চাইলেন প্রথম আলো সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক

স্টাফ রিপোর্টার : আদালত অবমাননার অভিযোগে তলব করার পর প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান নিশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন।

প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সোমবার সকালে তারা নিশর্ত ক্ষমা চান।

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে মন্তব্য প্রতিবেদন লেখা এবং তা প্রকাশ করায় তাদেরকে তলব ও রুল জারি করেছিলেন আপিল বিভাগ। এ তলবে সোমবার সকালে হাজির হন মতিউর রহমান ও মিজানুর রহমান খান। তাদের পক্ষে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন ড. কামাল হোসেন। পরে আদালত তাদেরকে নি:শর্তভাবে ক্ষমা চাইবেন কি-না জানতে চাইলে তারা মৌখিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপর লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে বলে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মতিউর রহমান ও মিজানুর রহমান খানকে সময় দেন আপিল বিভাগ। এজন্য আদালত কার্যক্রমে বিরতি দেওয়া হয়।

বিরতির পর মতিউর ও মিজানুর লিখিতভাবে নি:শর্ত ক্ষমা চাইলে তাদেরকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন আপিল বিভাগ।

দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান এবং যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানকে গত ১৫ ডিসেম্বর তলব করেন আপিল বিভাগ। সোমবার তাদেরকে আদালতে হাজির হয়ে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তলবের পাশাপাশি মতিউর রহমান ও মিজানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে রুলও জারি করেন আপিল বিভাগ। রুলে কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

গত ১৫ ডিসেম্বরের প্রথম আলোতে ‘প্রধান বিচারপতিকে বেছে নেওয়া’ শিরোনামে কলাম লেখেন মিজানুর রহমান খান। এটি তুলে ধরে ব্যারিস্টার সিরাজুম মুনিরের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ এ সংক্রান্ত আবেদন করার পর তলবাদেশ ও রুল জারি করেন আপিল বিভাগ।

আদেশ দেওয়ার আগে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম, আজমালুল হোসেন কিউসি ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের অভিমত জানতে চান আদালত।

মাহমুদুল ইসলাম আদালতকে বলেন, যদি এ কলামে আদালত অবমাননার কোনো বিষয় থাকে তবে তাদেরকে শোকজ বা তলব করেন।

আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, তিনি (মিজানুর রহমান খান) বারবার এ ধরনের আদালত অবমাননাকর কাজ করে আসছেন। সম্প্রতি আদালত অবমাননার জন্য তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রায়ও হয়েছে। আদালত অবমাননার কার্যক্রম গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।

কলামের একটি অংশ পড়ে শুনিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, কলামটি লেখা ও প্রকাশের জন্য এমন একটি সময় বেছে নেওয়া হয়েছে, যখন বর্তমান প্রধান বিচারপতির মেয়াদ শেষের দিকে। এ কলামের কারণে জনমনে বিচারাঙ্গন নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হতে পারে। আদালতের প্রতি অনাস্থা সৃষ্টির জন্য এ কলাম যথেষ্ট।

(ওএস/এটিআর/জানুয়ারি ০৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test