E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাংবাদিক হত্যার বিচার হয় না ঐক্যের অভাবে

২০১৬ নভেম্বর ১৭ ১৬:৫৯:৫৪
সাংবাদিক হত্যার বিচার হয় না ঐক্যের অভাবে

স্টাফ রিপোর্টার : গত ১০ বছরে দেশ-বিদেশে মোট ৮২৭ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪-১৫ সালেই নিহত হয়েছেন ২১৩ জন। সবচেয়ে বেশি ৭৮ জন খুন হয়েছেন আরব বিশ্বে।

সংঘাতপূর্ণ এলাকায়ই সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক হত্যার শিকার হন। আর এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে সাংবাদিকদের অনৈক্য।

সম্প্রতি ইউনেস্কোর ডিরেক্টর জেনারেলের ‘সেফটি অব জার্নালিস্টস অ্যান্ড দ্য ডেনজার অব ইমপিউনিটি’ শীর্ষক এক গবেষণায় প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে আসে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রতিবেদনটির আংশিক অংশ তুলে ধরেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স এডিটর জাহিদ হোসাইন।

‘ইউনাইট অ্যাজেনিস্ট ইমপিউনিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইনস্টিটিউশন অব কমিউনিকেশন স্টাডিজ ও ইউনেস্কো। সভা সঞ্চালনা করেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক খালিদ মহিউদ্দিন।

বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম ফজলুল হক, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, শাবান মাহমুদ, নাসিমুন আরা মিমু প্রমুখ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রে নয়, নারীদের ওপরও হামলা বাড়ছে নিয়মিতভাবে। ২০১৫ সালে ৯ নারী সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। গত দশকে গড়ে চারজন নারী সাংবাদিককে হত্যা করা হয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ৮২৭টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে মাত্র ৫৯টি দেশ ৪০২টি হত্যা মামলার বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৩টি। তদন্ত চলছে ৩৩৯টির। আর ৪২৫টি মামলার বিষয়ে সদস্য দেশগুলো কোনো তথ্যই দেয়নি। সব মিলিয়ে সাংবাদিক হত্যায় বিশ্বব্যাপী ৯২ ভাগ মামলার নিষ্পত্তি হয় না। বাংলাদেশেও ১৯৯২ সাল থেকে অধ্যাবদি নিহত ২০ সাংবাদিক পরিবারের অধিকাংশই বিচার পায়নি।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ সাংবাদিকদের অনৈক্য। নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করতে না পারলে এসব হত্যাকাণ্ড চলতেই থাকবে, বিচার হবে না। এছাড়াও দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে না উঠা, অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার দুর্বোধ্যতা, যোগ্য লোকের অভাব, বিভিন্ন উদ্দেশ্য থাকা, বিচারক সংকট অন্যতম।

তাই নিজেরা ঐক্যবদ্ধ না হলে সাংবাদিক নির্যাতন চলতেই থাকবে। শুধু সংগঠন থেকে নয়, এসবের প্রতিবাদ একজন সাংবাদিক পেশাগত জায়গা থেকেও করতে পারেন বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। তারা বলেন, নিজেদের নৈতিকতা, সাহসিকতা দিয়ে ধারাবাহিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যেটি নিজের নয়, পেশার সম্মানেই করা উচিত বলে মনে করেন আলোচকরা।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test