E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

২০১৭ অক্টোবর ১৫ ১৭:০০:৫১
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  : ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি ট্রেজারার এ এম এম শামসুর রহমান এর পদত্যাগ, নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমীনের শোকজ প্রত্যাহারের  দাবিতে আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেলা ১২টায় থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা এই আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক রেজওয়ান আহমেদ শুভ্র, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমীন প্রমূখ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি নিজেকে রাষ্ট্রপতির ভাগিনা পরিদয় দিয়ে নানা অনিয়ম অভিযোগের সংবাদ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর এবং তার আত্মস্বীকৃত দূর্নীতির খবর মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন মহলে থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।

এই আন্দোলনে কর্মসূচিতে অংশ নেন সহকারী অধ্যাপক মাসুম হাওলাদার, রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র, মুহাম্মদ রুহুল আমিন, সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, মোঃ তুহিনুর রহমান, সুশান্ত কুমার সরকার, দেবাশীষ বেপারী, মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন বিভিন্ন বিভাগের প্রভাষক সাধারণ শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সহকারী অধ্যাপক রেজওয়ান আহমেদ শুভ্র বলেন, মিডিয়াতে নিজের মুখে নিজের দুর্নীতির এমন স্বীকারোক্তির পরও ঐ পদে এমন অযোগ্য প্রশাসক পুরো জাতির জন্য ঘৃনিত । তিনি আরো বলেন পুরো জাককানইবি ক্যাম্পাস আজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।

লোক প্রসশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার মুখার্জী বলেন, জাতীয় কবির নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব দুর্নীতি অনিয়ম আমাদের জাতীয় কবির সম্মানকে পদদলিত করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের সম্মান হানি করছে অতিদ্রুত ট্রেজারারের পদত্যাগ দাবি করছি তা না হলে জাতির বিবেক শিক্ষার্থীরা আরো বড় ধরনের আন্দোলনের ডাক দেবে।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এখানে আমাদের কিছু করার নাই যেহেতু মিডিয়াতে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এসেছে এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে শুনেছি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলনেও নেমেছে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং সরকারের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটাই বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করবে।

(এমএন/এসপি/অক্টোবর ১৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test