E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিশ্বমানের গবেষণা প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে চলছে শেকৃবি

২০১৮ মার্চ ১০ ১৫:৩২:৩৮
বিশ্বমানের গবেষণা প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে চলছে শেকৃবি

শেকৃবি প্রতিনিধি : উপমহাদেশে কৃষি শিক্ষার প্রথম উচ্চতর বিদ্যা পীঠ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) প্রায় দেড় বছর ধরে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ। যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও গবেষণায় এনেছেন আধুনিকতার ছোঁয়া।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, বর্তমানে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের আওতায় শেকৃবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উচ্চতর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ শিক্ষকরা অর্জিত জ্ঞান দেশের কল্যাণে বাস্তবায়নের লক্ষ্যেও কাজ করছেন। শেকৃবিতে অন্য সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি মানসম্মত গবেষণা হচ্ছে এখন। শিক্ষকরা দেশের নানা সমস্যা সমাধানের জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তন ও নিরাপদ খাদ্য চাষের উপায় নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। ঢাকা শহরকে সবুজে আচ্ছাদিত করার জন্য ছাদ বাগান নিয়ে চলছে ব্যাপক গবেষণা। সুন্দরবনের সকল ধরনের প্রাণীর জেনেটিক বার কোড নির্ণয় ও বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবনসহ আন্তর্জাতিক মানের মৌলিক ও ফলিত গবেষণা করছেন শিক্ষকরা।

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। প্রকল্পটি শেষ হলে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসবে শেকৃবি। আধুনিক গবেষণাগার স্থাপিত হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রায় শ’খানেক আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গবেষণা চলছে। প্রতি বছরই দেশি ও বিদেশি ছাত্র সংখ্যা বাড়ছে। অত্যাধুনিক ই-লাইব্রেরি গড়ে তোলা হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাস ওয়াই-ফাইয়ের আওতায় আনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট সহজলভ্য করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দুর্বলতা ও ত্রুটিগুলো আমরা শনাক্ত করেছি। প্রায় ৩৬টি কর্মশালার মাধ্যমে তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ফলে ধীরে ধীরে বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছে শেকৃবি। এটাই আমার উপাচার্য হিসেবে সফলতা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও বিসিএস ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় ছেলে-মেয়েরা ভালো করছে। আমি সবসময় ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষার জন্য উদ্বুদ্ধ করি। বৃত্তি প্রাপ্তিতে আমার ছেলেরা পাকিস্তানসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভালো স্কোর করছে। শিক্ষার্থীরা অন্যায় কাজে না জড়িয়ে যাতে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সবসময় নিয়োজিত থাকে, সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চারও ব্যবস্থা করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, বিলুপ্তপ্রায় গাছ দিয়ে পুরো ক্যাম্পাসটিকে একটি মিনি বলধা গার্ডেন বানানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ফুট উচ্চতার বঙ্গবন্ধুর একটি মনুমেন্ট স্থাপন করা হবে। আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে নিকট ভবিষ্যতে যৌথ গবেষণা প্রকল্পও শুরু হবে। ইতোমধ্যে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ বেশ কিছু বিদেশি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা চলছে আরও কিছু নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে। তিনি আরও বলেন, আমি উপাচার্য থাকাকালীন শেকৃবিতে এগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আইসিটি ( তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে আরও কিছু সময়োপযোগী ডিগ্রী চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test