ইবিতে ‘নদী অর্থনীতি উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিসংখ্যান বিভাগ ও অর্থনীতি বিভাগের যৌথ আয়োজনে ‘নদী অর্থনীতি উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিাত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়নে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রওশন আরা সেতুর সঞ্চালনয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্কুল অব ইকনোমির চেয়ারম্যান ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সেলিম তোহা, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জসিম উদ্দীন, পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দীন, অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর আব্দুল মুঈদ।

সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিভারাইন পিপল বাংলাদেশে’র মহাসচিব শেখ রোকন। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি আলতাফ হোসেন রাসেল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘আমরা হলাম ভাটির দেশের মানুষ। নদীর উজানে যদি বাঁধ বা অন্য কোন ভাবে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ যদি আটকানোর চেষ্ঠা না করা হয় তবে নদীগুলো মরে যাবে না। অভিন্ন নদী ব্যবস্থাপনা হবে একসঙ্গে। একটি নদীর উৎপত্তিস্থল হতে শেষ পর্যন্ত সেসব দেশের উপর দিয়ে নদীগুলো প্রবাহিত হয় সেই সব দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে নদীর পানি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনের জন্য।’

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘পৃথিবীতে ভুগর্ভস্থ পানি সবচেয়ে বেশি মজুদ আছে কানাডায় আর সবচেয়ে কম পানির মজুদ আছে কাতারে। সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা না হলে জীব বৈচিত্র হারাবে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ঠ হবে দেশে দেশে খরা, অনাবৃষ্টি ও দুরভিক্ষ দেখা দেবে। পৃথিবীতে কোন কারনে যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধে তা হবে শুধুমাত্র পানির জন্য অন্য কোন কারনে নই।’

(এসআই/এসপি/মার্চ ১২, ২০১৮)