E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হ-য-ব-র-ল ইবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

২০১৮ নভেম্বর ০৫ ১৫:০০:০৫
হ-য-ব-র-ল ইবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্রের ক্রমিক সংখ্যায় অসঙ্গতি থাকায় পরীক্ষা বাতিলের আশঙ্কা করছেন অনেক শিক্ষক। এতে বিপাকে পড়েছে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার ভর্তিচ্ছু।

সোমাবার প্রথম শিফটে সকাল সাড়ে ৯টায় ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যেই প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রের ক্রম বিন্যাসে অমিল পাওয়া যায়।

এ সময় পরীক্ষার হলে কর্তব্যরত শিক্ষকরা ‘সি’ ইউনিটের কন্ট্রোল রুমের দ্বারস্থ হন। কিন্তু কন্ট্রোল রুম একেক পরীক্ষার হলে একেক ধরনের নির্দেশনা দেয়। এতে উত্তরপত্র মূল্যায়ণে ভর্তিচ্ছুরা বৈষম্যের শিকরা হবে বলে ধারণা শিক্ষকদের।

আবার অনুষদ ভবনের কয়েকটি কক্ষে উত্তরপত্রে হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা অংশের উপরের শিরোনাম কলম দিয়ে কেটে পরিবর্তনের নির্দেশ দেন কর্তব্যরত শিক্ষকরা। এতে ওমএমআর শিটে অপ্রয়োজনীয় দাগ দেয়ায় মেশিন ওই উত্তরপত্রগুলো বাতিল করে দেবে। এতে ওইসব কক্ষের ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যাবে। ফলে এই ইউনিটের পরীক্ষা বতিলের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গেছে।

ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই ইউনিটের প্রশ্নপত্র বণ্টনের ২-৩ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার হলে হৈ-চৈ শুরু হয়। প্রশ্নপত্রে হিসাববিজ্ঞান অংশের প্রশ্নের ক্রমিক নম্বর রয়েছে ৪৬-৬০ কিন্তু উত্তরপত্রে এই অংশের ক্রমিক নম্বর ৩১-৪৫। আবার ব্যবসায় শিক্ষা অংশের প্রশ্নের ক্রমকি নম্বর ৩১-৪৫ কিন্তু উত্তরপত্রের ক্রম ৪৬-৬০।

এছড়াও লিখিত অংশের প্রশ্নের নম্বর ৬১-৮০ কিন্তু উত্তরপত্রে লিখিত অংশের ক্রম ১-২০। এ সব অসঙ্গতি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পরে পরীক্ষার হলে কর্তব্যরত শিক্ষকরা কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় কন্ট্রোল রুম বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত দেয়। প্রথমে কন্ট্রোলরুম অনেক কক্ষের শিক্ষকদের উত্তরপত্রের ক্রম অনুযায়ী উত্তর দিতে ভর্তিচ্ছুদের নির্দেশনা দিতে বলে। এ অনুযায়ী ওইসব রুমের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। আবার কন্ট্রোলরুম থেকে অনেক কক্ষের শিক্ষকদের প্রশ্নপত্রের ক্রম অনুযায়ী উত্তর দিতে বলে। সে অনুযায়ী ওইসব কক্ষের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এছাড়াও অনেক কক্ষ কোনো ধরনের নির্দেশনা ছাড়াই পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের ১০১নং কক্ষের পরীক্ষার্থী প্রান্ত জানায়,‘প্রথমে এক ধরনের সিদ্ধান্তের আলোকে উত্তরপত্রের বৃত্ত ভরাট করি। কিন্তু ৫ মিনিটি পর আবার সিদ্ধান্ত চেঞ্জ করেন তারা। পরে আমার উত্তরপত্র চেঞ্জ করে নতুন উত্তরপত্র দেন। কিন্তু আমাকে সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়নি।’

রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের ২০৫নং কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘কন্ট্রোল রুমকে অসঙ্গতি জানালে পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় উত্তরপত্র অনুযায়ী পরীক্ষা সম্পন্নের নির্দেশ দেয়। কিন্তু এর প্রায় ১০ মিনিট পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে প্রশ্নের ক্রম অনুযায়ী পরিক্ষা নেয়ার জন্য বলে। কিন্তু ইতোমধ্যে পরীক্ষার ১৫ মিনিট অতিবাহিত হওয়ায় আমি আগের সিদ্ধান্তে পরীক্ষা নিই। তাদের সিদ্ধান্তহীনতার দায় ভর্তিচ্ছুদের উপর চাপাতে পারি না।’

উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমারা আলোচনায় বসব। শিক্ষার্থীরা যাতে শতভাগ জাস্টিস পায় তার জন্য যা করার দরকার তাই করব।’

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test