E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গণরুম-গেস্টরুম প্রথা বাতিল করবে কোটা আন্দোলনকারীরা

২০১৯ মার্চ ০৭ ১৮:২৯:২২
গণরুম-গেস্টরুম প্রথা বাতিল করবে কোটা আন্দোলনকারীরা

স্টাফ রিপোর্টার : বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স বন্ধ, গণরুম গেস্টরুম প্রথা বাতিল এবং প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক রাজনীতির চর্চা বন্ধসহ বিভিন্ন ছাত্রবান্ধব উদ্যোগের ঘোষণা দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নুর। এসময় জিএস প্রার্থী রাশেদ খান, এজিএস প্রার্থী ফারুক হাসানসহ অন্যান্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

যা আছে কোটা আন্দোলনকারীদের ইশতেহারে-

মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে লিবারেশন ওয়ার স্টাডিজ সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা; হলগুলো থেকে বহিরাগত ও অছাত্রদের বিতাড়িত করে প্রথম বর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীদের বৈধ সিট প্রাপ্তির উদ্যোগ নেয়া; গেস্টরুম, গণরুম ও জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণরূপে বিলোপ সাধন করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যান্টিনে খাবারের গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং ন্যায্যমূল্যে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া, ডাইনিং এবং দোকানে খাবারের মান যাচাইয়ের জন্য খাদ্যমান নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন ও রুটের সংখ্যা বৃদ্ধি করা; পরিবহন সংক্রান্ত খাতে বার্ষিক বাজেটের ন্যুনতম ২ শতাংশ বরাদ্দ রাখা।

লাইব্রেরির সময়সূচির সাথে তাল মিলিয়ে সর্বশেষ বাসের সময় নির্ধারণ করা; বাসে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রত্যেকটি বাসে ওয়াইফাই সেবা নিশ্চিত করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পরিবহন সেবার উন্নয়ন করা; বহিরাগত যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা; ক্যাম্পাসে রিকশাভাড়া নির্ধারণ করা; বিশেষ পরিবহন সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং পরিবেশের উন্নয়নের স্বার্থে গ্রিন ক্যাম্পাস কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করা।

বার্ষিক সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্যাগ গ্রহণ করা; গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বার্ষিক বৃত্তির ব্যবস্থা করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ডাকসুর ‘সেবা ডেস্ক’ চালু করা; বৈশ্বিক জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ বিনির্মাণের স্বার্থে আন্তর্জাতিক সভা-সেমিনার ও বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা; রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ের বাইরে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর স্বাধীন কার্যক্রম আরও গতিশীল করা; শিক্ষার্থীদের নিয়মিত আইটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; প্রথম বর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল বাংলাদেশের আওতায় নিয়ে আসা; চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের পরিধি বৃদ্ধি করা; গবেষণা খাতে বাজেটের ন্যুনতম ২০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা।

জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা; কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের বাণিজ্যিক ব্যবহার সীমিত করা; মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবন বন্ধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া; মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন করা; নামে-বেনামে নেয়া বিবিধ ফি বন্ধ করা; সাত কলেজের অধিভুক্তি সমস্যার যৌক্তিক সমাধান; ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ফার্মেসি স্থাপন করা; বিদেশে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত কনসালটেন্সি স্থাপন করা; বাণিজ্যিক সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করা; অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে যাওয়ার সমস্যার সহজ সমাধান করা; প্রক্টরিয়াল টিমকে আরও শক্তিশালী করা।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৭, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test