E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ডাকসু নির্বাচন : স্টিলের অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্স নিয়ে প্রশ্ন

২০১৯ মার্চ ১০ ১৪:৪৩:০৮
ডাকসু নির্বাচন : স্টিলের অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্স নিয়ে প্রশ্ন

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল। স্বাধীন দেশে এটি ডাকসুর অষ্টম নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। নির্বাচন আ-দৌ সুষ্ঠু হবে কিনা, এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে এখন আলোচনার বিষয় অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্স।

নির্বাচন উপলক্ষে ১৮ হলে ১১৩টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে এ ক্যামরার ব্যবহার বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে গিয়ে দেখা যায়, সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘নির্বাচনের দিন ১৮টি হলে ১১৩টি সিসি ক্যামেরা থাকবে। এসব ক্যামেরা সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। কেউ যেন সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সে জন্য আমরা সব আয়োজন সম্পন্ন করছি। এ ছাড়াও বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে ডাকসু নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে।’

এদিকে রঙিন স্টিলের বাক্সকে ব্যালট বাক্স হিসেবে ব্যবহার করায় এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রার্থীরা। যদিও ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত ডাকসুসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সব নির্বাচনে এ অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হয়েছে।

ডাকসু নির্বাচন সংশ্লিষ্ট একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনে স্টিলের বাক্সগুলোই ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা নতুন কিছু নয়। ঢাবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচন ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনে এই বাক্সগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এবার ভোটার সংখ্যা বেশি হওয়ায় নতুন কিছু বাক্স তৈরি করা হয়েছে।’

বামজোটের প্রার্থী লিটন নন্দী বলেন, ‘শুধু ব্যালট বাক্স না, পুরো নির্বাচন নিয়ে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হচ্ছে প্রশাসন। নির্বাচনের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহে আসা সাংবাদিকদের সংখ্যা সীমিত করে দেয়া এরই একটি অংশ।’

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, ‘অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহারের ব্যাপারে তারা আগে থেকে কিছুই জানতেন না।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে সুবিধা করে দিতেই অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

(ওএস/এসপি/মার্চ ১০, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test