E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ডাকসুতে কারচুপির বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা : ঢাবি

২০১৯ মার্চ ১৬ ১৮:১২:২৯
ডাকসুতে কারচুপির বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা : ঢাবি

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে যদি ভোটের কোনো অনিয়ম, অসততা, কারচুপি, জালিয়াতির বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণ কারো কাছে থাকে, তাহলে সেসব সুনির্দিষ্টভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করলে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী/প্যানেল থেকে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত থাকা অবস্থায় এ ঘোষণা দিলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ডাকসু নিয়ে কিছু ‘সম্মানিত ব্যক্তির’ টকশোতে এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জনমনে বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষ্যে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

নির্বাচনকে ঘিরে ‘লাশের রাজনীতি’ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায়, অনুপ্রেরণা দেয়; কিন্তু বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক আচরণকে গ্রহণ করে না। সুশৃঙ্খলভাবে, আনন্দঘন পরিবেশে, লাইনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময়, বিচ্ছিন্ন দু’একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ছাড়া, ক্যাম্পাসের সার্বিক শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থানের অসাধারণ দৃষ্টান্তকে প্রশংসা করার উদার মানবিক মূল্যবোধ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে বিরাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতি গভীরভাবে উপকৃত হবে।

দীর্ঘ প্রায় তিন দশক পর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের মতো এক বিরাট কর্মযজ্ঞের আয়োজনে ও ব্যবস্থাপনায় অনিচ্ছাকৃত কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে; যা নিখুঁত নয়। ব্যবস্থাপনার নীতিমালায় কিছু অস্পষ্টতা ও অপর্যাপ্ততা ছিল। ভবিষ্যতের জন্য ভাবনার অনেক সুযোগ করে দিলো এবারের অভিজ্ঞতা।

ভোটারের কৃত্রিম লাইন নিয়ে বলা হয়েছে, ভোট দেওয়ার সময় ও ভোটার সংখ্যা আমলে নিয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক বুথ তৈরি ও ব্যালট পেপার সরবরাহ-টেবিল স্থাপন করা হয়েছিল। সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার মধ্যেই সব ভোটকেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনের অবসান ঘটে এবং উপস্থিত সব শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের, কম-বেশি, আগে-পরে স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়। কেউ ভোট দিতে পারেননি, কারো ভোট অন্য কেউ দিয়েছেন, কেউ হেনস্তার শিকার হয়েছেন, এমন কোনো অভিযোগ কোনো রিটার্নিং অফিসার পাননি। কুয়েত মৈত্রী হলের ঘটনাকে অপ্রত্যাশিত দাবি করে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

রোকেয়া হলের ঘটনা নিয়ে বলা হয়, উদ্ধারকৃত ব্যালট পেপারে কোনো সিল মারা ছিল না; ছিল প্যাকেট ভর্তি, অব্যবহৃত। নিয়ম অনুযায়ী ব্যালট পেপার নির্ধারিত টেবিল থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মাধ্যমে ভোটারদের সরবরাহ করা হয়। নির্বাচনে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে সব কাজ করায় এককভাবে কোনো ধরনের অনিয়ম বা কোনো কাজের সুযোগ ছিল না।

ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল বিলম্বে প্রকাশ করা নিয়ে বলা হয়েছে, কুয়েত মৈত্রী হল ও রোকেয়া হলের উত্থাপিত কতিপয় প্রশ্নের স্পষ্টীকরণ ও সমাধান করার প্রক্রিয়ায় এ দু’টো হলে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ভোট গণনার মেশিন সংখ্যা কম থাকায় এক হলের ভোট গণনার পর অন্য হলের ভোট গণনা করতে হয়েছে বিধায় কোনো কোনো হলের ভোট গণনা সম্পন্ন করতে দেরি হয়েছে। সর্বশেষ সুফিয়া কামাল হলের ফলাফল পাওয়া গেছে রাত প্রায় ১২টায়। এভাবে ১৮টি হলের প্রাপ্ত ফলাফল সমন্বয় করে ডাকসুর চূড়ান্ত ফল তৈরি করতে সময় লাগে।

ডাকসুর মাধ্যমে এক নতুন গণতান্ত্রিক যাত্রার বিকাশে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সদয় সহযোগিতা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test