E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইউসুফকে বেরোবির ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ

২০১৯ জুলাই ০৯ ১৮:০৬:০৮
ইউসুফকে বেরোবির ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ

বেরোবি প্রতিনিধি : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) এর সাংবাদিকতা বিভাগের পর এবার ইতহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে শিক্ষক হিসেবে মো. ইউসুফকে ৩০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী এবং বিচারপতি শশাংক শেখর সরকার এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এক রায়ে এ নির্দেশ দেন। 

বাছাই বোর্ডের সুপারিশপত্রে মেধাক্রমে প্রথম স্থান অধিকারকারী মো. ইউসুফকে নিয়োগ না দিয়ে মেধাক্রমে ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারকারীকে নিয়োগ দেওয়ায় এ রায় দেয়া হয়।

মামলার কাগজপত্র থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্যান্য বিভাগের পাশাপাশি ইতিহাস বিভাগে তিনজন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে সাক্ষাৎকারের জন্য সাত জন আবেদনকারী বাছাই বোর্ডের সম্মুখীন হয়। তাদের মধ্য থেকে তিনজনকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করে বাছাই বোর্ড। কিন্তু ১ম জনকে বাদ দিয়ে ২য় ও ৩য় জনকে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট যা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের লংঘন।

এতে মেধা তালিকার প্রথম স্থানে থাকা ইউসুফ হাইকোর্টে রিট পিটিশন মামলা দায়ের করেন। রিটের প্রেক্ষিতে কেন তাঁর নিয়োগপত্র ইস্যু করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে এবং ওই বিভাগে একটি ‘প্রভাষক’ পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। (রিট পিটিশন নং-৩৫৭২/২০১৪.)

নিয়োগ বঞ্চিত মো: ইউসুফ বলেন, “সাবেক এক উপাচার্যের আমলে বাছাইবোর্ডের সুপারিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করে ১ম স্থান অধিকার করার পরেও আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সাত বছর পর আমি ন্যায়বিচার পেলাম। আমি আশাবাদী বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুতই রায় বাস্তবায়ন করবে।”

ইউসুফের আইনজীবি আব্দুর রহমান জানান, বাছাইবোর্ডের সুপারিশপত্রে যে ধরনের স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ করা হয়েছে তা দেখে মহামান্য আদালত খুবই ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। আমি কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল চাইনি সেজন্য আদালত আমাকে প্রশ্ন করেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যাল সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৯ এর ৩৪/৩ ধারা লংঘন করে মো. ইউসুফকে নিয়োগ প্রদান না করে স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত আইনজীবি উচ্চ আদালতে মামলাটি আপিল করবেন না মর্মে আদালতকে জানানের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত সন্তুষ্ট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে কোন জরিমানা করেননি।

উল্লেখ্য, এর আগে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে একই রকম স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে সুপ্রীম কোর্টের রায় নিয়ে ৭ বছর পর ওই বিভাগে যোগদান করেন নিয়োগ বঞ্চিত মাহামুদুল হক। যদিও আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো বাস্তবায়ন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

(এম/এসপি/জুলাই ০৯, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test