E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বেরোবিতে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৩ মাসে বরখাস্ত ১০

২০১৯ অক্টোবর ৩০ ১৬:৫৭:৫৩
বেরোবিতে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৩ মাসে বরখাস্ত ১০

বেরোবি প্রতিনিধি : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) গত ৩ মাসে ৯ জনকে সাময়িক এবং ১ জনকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন কর্মকর্তা এবং বাকি ৭ জন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারী। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য, প্রকাশ্যে শিক্ষককে গালিগালাজ করাসহ জুয়া, মদ, গাঁজা আর ফেন্সিডিল কারবারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদেরকে বরখাস্থ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা (সেকশন অফিসার গ্রেড-১) মোক্তারুল ইসলামকে দুই বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন ২৮ জুলাই রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে তাকে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়। সেই মামলায় তিনি গ্রেফতার হলেও এখন জামিনে আছেন বলে জানা যায়। এছাড়াও মাদকের সাথে জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা কর্মচারী হাবিলদার সোহেল রানাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এরপর গত ২৪ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়া থেকে জুয়া মামলায় আটক হন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পরিবহন পুলের উপ-রেজিস্ট্রার মো. তারিকুল ইসলাম এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের সহকারী রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুর রহিম। কাউনিয়া থানা পুলিশ তাদেরকে জুয়ার স্থান নিজপাড়া মৌজার বাসস্ট্যান্ডের নিকটস্থ টিনের ঘর থেকে গ্রেফতার করে সরাসরি জেল হাজতে পাঠায়। এ অপরাধের দায়ে এই দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিস্কারের আদেশ দিয়ে এক অফিস আদেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল। এছাড়াও মাদকের সাথে জড়িত থাকায় সাময়িক বহিস্কার হযেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের কর্মচারী রায়হান পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে কর্মরত কর্মচারী এনায়েত এবং পরিসংখ্যান বিভাগের কর্মচারি রুবেল।

অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বিনষ্টের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত চার জন কর্মচারীকে সাময়িক বহিস্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা হলেন, সিনিয়র পিএ কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. রবিউল ইসলাম, নিরাপত্তা শাখার নিরাপত্তা প্রহরী এবং কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম মিয়া ও রসায়ন বিভাগের ল্যাব এটেন্ডেন্ট মো. মালেক মিয়া। এছাড়াও ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে সেমিনার সহকারী মাসুম খানকে সাময়িক বহিস্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বহিস্কৃতদের সম্পর্কে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বহিস্কৃতদের কাউকে এখনো কর্মস্থলে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়গুলো তদন্ত করবার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী এবং যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের জন্য আদালতের আদেশক্রমেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(এম/এসপি/অক্টোবর ৩০, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test