E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভয়ানক সেশন জটে বেরোবির ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ!

২০১৯ নভেম্বর ২৩ ১৬:৫৮:১৩
ভয়ানক সেশন জটে বেরোবির ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ!

বেরোবি প্রতিনিধি : ভয়ানক সেশনজটে পড়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একদিকে অন্যান্য বিভাগগুলেকে যখন সেশনজট মুক্ত বিভাগ ঘোষণা করা হচ্ছে তখন এই বিভাগ চলছে ছয় মাস থেকে তিন বছরের সেশনজট নিয়ে। ফলে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করতে করতেই চাকরির বয়সসীমা পার হয়ে যাচ্ছে এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের।

২০০৯ সালে চালু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগটিতে ৯ জন শিক্ষক ও পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ থাকলেও চার বছরের অনার্স সম্পন্ন করতেই লেগে যাচ্ছে সাত বছর। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগে ধীরে ধীরে সেশনজট মুক্ত হচ্ছে সেখানে এই বিভাগে দিন দিন লাগামহীনভাবে বাড়ছে সেশনজটের মাত্রা। এই বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা চার বছরের অনার্স সম্পন্ন করতে সময় লাগে সাত বছর। চলতি বছরের ১৯ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত চতুর্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা হয়।

নিয়মানুযায়ী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের বিধান থাকলেও প্রায় ৫ মাস পরও তাদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। ফলাফল প্রকাশ না হওয়ার ফলে কোনো ধরনের চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না তারা।

একই দশা ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের। ২০১৬ সালে মাস্টার্স শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৯ সালেও তা শেষ হয়নি। গত ১১ সেপ্টেম্বর ২য় সেমিস্টারের ভর্তি কার্যক্রম এবং ১৬ অক্টোবর ফরম পূরণ সম্পন্ন হয়। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দফতর থেকে ৭ দিনের মধ্যে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশনা থাকলেও এখনও মাস্টার্সের শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এছাড়াও ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা চার বছরের অনার্স কোর্স শেষ করতে পারেনি ছয় বছরেও।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দফতর জানায়, এক বছরে দুটি সেমিস্টার (জানুয়ারি-জুন এবং জুলাই- ডিসেম্বর) মিলিয়ে একটি শিক্ষাবর্ষ শেষ হবে। এক সেমিস্টারের মেয়াদ ছয় মাস হওয়ায় সাড়ে চার মাসের মধ্যেই সমস্ত ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, মিডটার্ম এবং প্রেজেন্টেশন শেষ করে পরবর্তী ছয় সপ্তাহের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করবেন কিন্তু বেশির ভাগ বিভাগের শিক্ষকেরা এই নিয়মের তোয়াক্কা করেন না।

কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অধিকাংশ শিক্ষকই ব্যক্তিগত কাজ নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন। সেমিস্টার পদ্ধতির নিয়মও তারা যথাযথ অনুসরণ করেন না।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, সেশনজটে যাঁতাকলে পিষ্ট হয়েও তারা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারেন না। সময়মতো ক্লাস-পরীক্ষার কথা বললেই উল্টো হয়রানির হুমকি দেন শিক্ষকরা।

সেশনজটের ব্যাপারে জানতে চাইলে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মো. আতিউর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এই বিভাগের সেশনজটের বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বলেন, ‘এটা ন্যক্কারজনক, অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বর্তমানে সৃষ্ট সেশনজট নিরসন ও নতুন করে সেশনজট যেন সৃষ্টি না হতে পারে সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি।’

(এম/এসপি/নভেম্বর ২৩, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test