E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পাবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

২০১৯ ডিসেম্বর ১৪ ১৬:১৭:০৩
পাবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি : আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক বেদনাবহ দিন। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ  দিনটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে পালন করেছে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা, বেদনা ও ভালোবাসায় স্মরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

সকালে প্রশাসন ভবন থেকে শোকর‌্যালি বের হয়। র‌্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. রোস্তম আলী, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ।

এরপর শ্রদ্ধা জানান, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, প্রক্টর অফিস, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, কর্মকর্তা পরিষদ. কর্মচারী পরিষদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল কর্তৃপক্ষ, শেখ হাসিনা ছাত্রী হল, বিভিন্ন বিভাগ-সমিতি ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। এরপর এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শেষে শহীদ আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

এদিকে গ্যালারী-২ - শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ড. মোঃ হাবিবুল্লাহর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী বলেন, পরাজয় যখন দৃষ্টি সীমায়, তখন পাকিস্তান ও তাদের এদেশীয় দোসররা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ যাতে সোজা হয়ে দাড়াতে না পারে সেই জন্য জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেছে বেছে হত্যা করার। সারাদেশে তাদের এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। যা পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম, বর্বর হত্যাকান্ড।

মূলত স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু থেকেই বিশেষত ২৫ মার্চের কালোরাত্রি থেকেই এই হত্যা শুরু করে পাক বাহিনী ও তাদের দোসররা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পিছনে একটা নীলনকশা, একটা পরিকল্পনা ছিল তা জানা যায় তাদের টার্গেট থেকে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বরেণ্য ব্যক্তিদের হত্যা করেছে। এখনো তাদের হত্যাকান্ড থামেনি। ভিন্ন নামে তারা এখনো প্রগতিশীল মানুষদের হত্যা করছে। উপাচার্য মহোদয় আরো বলেন, আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। শহীদদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য দেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশপ্রেমিক আদর্শ নাগরিক হতে হবে সবাইকে।

বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ১৪ ডিসেম্বর গভীর বেদনার দিন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানচিত্র ধরে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা সারাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বর্বরভাবে হত্যা করে। মূলত পতিশোধ পরায়নতা থেকে এই হত্যাকান্ড । যারা জয়বাংলাকে বুকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাঙালিকে জাগিয়ে তুলেছিল তাদের টার্গেট করে এই হত্যাকান্ড।

আরেক বিশেষ অতিথি কোষধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের নয়মাসে ১১১১জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে পাকবাহিনী। সকলে একত্রিত হয়ে দেশ গঠনে এগিয়ে আসলেই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।

আরো বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ওমর ফারুক, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বিজন কুমার বহ্ম্র ও কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলম।

(পিএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test