E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পিছিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা

২০২০ আগস্ট ২০ ১৭:১৬:৩১
পিছিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা

বদরুন নাহার : করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা। এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে এখনও প্রস্তুতিই সম্পন্ন করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কবে এসব পরীক্ষার আয়োজন করা হবে সে বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে পরবর্তী ১৫ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিলেও এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে জানা গেছে।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘চলতি বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও সব প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হয়নি। কিছু কিছু করা সম্ভব হলেও এ সংক্রান্ত কমিটির সদস্যরা একত্রিত হতে না পারায় সব প্রস্তুতি শেষ করা সম্ভব হয়নি বলে চলতি বছর এ কার্যক্রম পিছিয়ে যেতে পারে।’

আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, সরকার পর্যায়ক্রমে সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করছে। এর জন্য ছকও রেডি করছে। স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করে কীভাবে ক্লাস চালু করা যায় সেটিরও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ক্ষেত্রে বড় বাধা হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো। যেখানে একই রুমে একাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে, গণরুম সমস্যাও থাকছে। সেখানে ক্লাসগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হলেও হলের রুমগুলোতে এর বাস্তবায়ন অনেকটাই অসম্ভব।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে চারজনের নির্দিষ্ট রুমে ৮ থেকে ১২ জন থাকছেন। প্রতিটি সিটে দুজন করে শিক্ষার্থী থাকার পর মেঝেতেও থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। বলা যায়, অনেকটা গাদাগাদি করে সবাই হলগুলোতে অবস্থান করেন। যে কারণে সংক্রমণের ঝুঁকিটাও বেশি। এছাড়া গণরুমে একসঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অবস্থান করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শুধু খুলে দিলেই হবে না এক্ষেত্রে অনেক বিষয় বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।’

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়েই বাস্তবতার আলোকেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল নেই। তারা চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় আঙিনায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নানাভাবে নিশ্চিত করতে পারবে। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সেটি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। যেখানে অনেক শিক্ষার্থী একসঙ্গে থাকেন, একই ডাইনিংয়ে খান, এ ক্ষেত্রে অনেকটা ঝুঁকির বিষয় রয়েছে। সবদিক বিবেচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২০, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test