E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মাদকের অভয়ারণ্য, ঝুঁকিতে জাবি ছাত্রদের শিক্ষাজীবন

২০১৪ আগস্ট ১৬ ১৪:০৪:৪২
মাদকের অভয়ারণ্য, ঝুঁকিতে জাবি ছাত্রদের শিক্ষাজীবন

জাবি প্রতিনিধি : জীবনের বড় বিপর্যয় এটা। চেষ্টা করে এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারছি না। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুম থেকে ধূমপান শুরু করি। এর পর বড় ভাইদের কথামতো ক্যাম্পাসে মহড়া দেওয়ার নামে গাঁজা, ফেনসিডিল ও মদপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। সেই যে প্রথমবর্ষ থেকে শুরু। এখন আর ছাড়তে পারছি না।

এভাবে নিজের অভিমত প্রকাশ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মেধাবী ছাত্র। আর মাদকের এ ভয়াল থাবায় ধ্বংস হতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ। ক্যাম্পাস ঘিরে গড়ে উঠেছে মাদকের জাল। হাত বাড়ালেই মিলছে মাদকদ্রব্য। ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবাসহ বেশ কিছু উচ্চমূল্যের মাদক। এতে করে শিক্ষার্থীদের জীবন চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। বাড়ছে নৈতিক অবক্ষয়। মাদকের এ বিষাক্ত ছোবলে জড়িয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। আর এসব মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নেই কোনো উদ্যোগ ও তৎপরতা। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে এর কেনাবেচার সঙ্গে জড়িতদের তথ্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন প্রচার-প্রচারণা না থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীদের অনেকেই বিষয়টি জানে না বলে জানায়। অভিযোগ বাক্স সম্পর্কে জানতে চাইলে একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, বিষয়টি সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না।

অনুসন্ধানে দেখা দেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর বাধ্য হয়েই ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গণরুমে থাকা অবস্থায় সিনিয়রদের ডাকে ক্যাম্পাস মহড়া হয়ে ওঠে প্রত্যহিক বিকেলের রুটিন। এখান থেকেই শুরু হয় ধূমপান। এরপর ধীরে ধীরে গাঁজা, ফেনসিডিল ও মদপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়া। বাড়ি থেকে পাঠানো অর্থের সিংহভাগ ব্যয় হয় নেশার পেছনে। এছাড়া রাজনীতি করার শর্তে সিনিয়রদের সহযোগিতা তো আছেই। দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর নেশার হাতেখড়ি অনেকটা এভাবেই। যেসব শিক্ষার্থী ইতিপূর্বে সিগারেট পর্যন্ত ছুঁয়ে দেখেনি, তাদের হাতে এখন হরহামেশা থাকছে গাঁজার স্টিক।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি অনেকটা অকার্যকর। ফলে একক রাজনৈতিক দলের আধিপত্য বিস্তারের কারণে নেশাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠছে বন্ধু সার্কেল। কনিষ্ঠদের কাছে রাখার কৌশল হিসেবে জ্যেষ্ঠদের অনেকেই করছে মাদকের সরবরাহ। পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকেই কৌতূহল, বন্ধুর উৎসাহ, প্রেমে ব্যর্থতা ও হতাশায় পড়ে মাদক নিলেও পরবর্তী সময়ে আর ফিরে আসতে পারছে না। মাদকের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে চুরিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। হুমকির মুখে পড়ছে তাদের শিক্ষাজীবন। মাদকাসক্তরা বিঘিœত করছে হলগুলোর লেখাপড়ার পরিবেশ। সম্প্রতি জানা গেছে, ছাত্রীদের একটি অংশও মাদকাসক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রকাশ্যে বন্ধুদের সঙ্গে সিগারেট-গাঁজা সেবন করে তারা। প্রশাসনের নজরদারির অভাব, মাদকের সহজলভ্যতার কারণে এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের মনোবিজ্ঞানী সুভাশীষ কুমার চ্যাটার্জি বলেন, ‘মাদক সেবনে মন ফুরফুরে থাকে, কষ্ট ভুলে থাকা যায় এ জাতীয় কিছু ভ্রান্ত ধারণা মাদকাসক্তরা লালন করে থাকে।’ সচেতনতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে মাদকাসক্তের এই চিকিৎসক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে আরো সম্পর্ক বাড়াতে হবে।’

গণিত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীর দায়িত্ব অনেক। যারা এসব অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে তাদের কাছে এমনটা অপ্রত্যাশিত। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সব শিক্ষকের এ ব্যাপারে নজর দেওয়া জরুরি।’

মূলহোতা কর্মচারী ও ছাত্রলীগ নেতারা

নেশাজাতীয় দ্রব্য প্রকাশ্যে সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মচারী, তাদের সন্তান ও ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

অনুসন্ধানে দেখা দেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল সরবরাহ করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারী মো. আনোয়ার ও রসায়ন বিভাগের ঝাড়–দার জাসন আলীর ছেলে মো. শরিফ মিয়া। এছাড়া শাখা ছাত্রলীগের ৪ সহ-সভাপতি, ৪ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ৬ সাংগঠনিক সম্পাদকসহ দায়িত্বে থাকা প্রায় ১২ জন নেতা এ কাজের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত ৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বটতলা এলাকা থেকে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। আটককৃতরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীর সন্তান। মোবাইল ফোনে বটতলা বাজারে ইয়াবা বিক্রি করছে এমন অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহানারা ইমাম হলের ঝাড়–দার রোকেয়া আক্তারের ছেলে মহসিন (২০) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের মালি আবুল হোসেনের ছেলে আবদুল হালিমকে (২৫) পাথালিয়া ইউনিয়নের বটতলা এলাকা থেকে স্থানীয়রা আটক করে। পরে তাদের আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।

আটক মহসিন ও হালিম জানায়, তাদের ৬ জনের একটি গ্রুপ আছে। এই গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারী আনোয়ার ও রসায়ন বিভাগের ঝাড়–দার জাসন আলীর ছেলে শরিফ মিয়া। তারা মোবাইল ফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ইয়াবা বিক্রি ও সরবরাহ করে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাদের অনুমতি নিয়ে কিছুসংখ্যক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের কাছে গাঁজা সরবরাহ করে থাকে আলী নামের আরেক কর্মচারী। সে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ‘দাদু’ নামে পরিচিত। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পুরনো কলা ভবন, অগ্রণী ব্যাংকের পাশে ও বিশমাইল এলাকায় সে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে থাকে। এসব অবৈধ মাদকদ্রব্য সরবরাহের দায়ে সে অনেকবার জেলে গেলেও সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই আবার বের হয়ে আসে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও রেজিস্ট্রার ভবনের এক কর্মকর্তা, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পরিবহন কর্মচারী, হলের গার্ড, ঝাড়–দারদেরও এ কাজে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারী আনোয়ারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে ফোন কেটে দেয় সে। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেনি। অন্যদিকে রসায়ন বিভাগের ঝাড়–দার জাসন আলীর ছেলে শরিফ মিয়ার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

আশুলিয়া থানার এসআই মো. আমিনুল বলেন, যারা এসব ঘটনায় আটক রয়েছে তাদের তথ্য অনুযায়ী যাদের নাম পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারত থেকে আসে নেশাজাতীয় দ্রব্য

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সজিবুল আলম (ছদ্মনাম)। তিন মাস আগে সার্ক ট্যুরে ভারত থেকে ঘুরে এসেছে। যাওয়ার সময় বন্ধুরা কিছু টাকা দিয়েছিল নেশাজাতীয় দ্রব্য কিনে আনার জন্য। আসার সময় সে তার বন্ধুদের জন্য ১০ হাজার টাকার মদ কিনে নিয়ে এসেছে। রাত ২টার পর টানা পাঁচ দিন ধরে আল বেরুনী হলের একটি রুমে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সে তা পান করে। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে সে জানায়, প্রতিমাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কোনো না কোনো বিভাগের শিক্ষার্থীরা সার্ক ট্যুর ও শিক্ষা সফরের আয়োজন করে থাকে। এ আয়োজনের স্থান সাধারণত ভারত ও কক্সবাজার হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মাদকাসক্ত কোনো ছাত্র সফরসঙ্গী হলে তার কাছে টাকা দেয় ক্যাম্পাসের মাদকাসক্ত একটি বড় চক্র। আর সে ভারত কিংবা কক্সবাজার থেকে মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ নানা নেশাজাতীয় দ্রব্য নিয়ে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফরের গাড়ি বলে চেকপোস্ট তাদের ছেড়ে দেয়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হরহামেশা নেশাজাতীয় দ্রব্য নিয়ে আসে তারা। পরে মাদকসেবীরা বিভিন্ন কৌশলে নবাগত শিক্ষার্থীদের মাদক সেবনে উৎসাহিত করে। এতে চুরি-ছিনতাই ও বিভিন্ন অনৈতিক-অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে তারা।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা যখন অনিরাপদ

যারা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত থাকে তারাই এখন প্রকাশ্যে মাদক কেনাবেচা ও সেবন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাঙ্গামাটির সুইপার কলোনি, কলাবাগান, ওয়ালিয়া, ইসলামনগর বাজার, আমবাগানসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও গার্ডরা মাদক ক্রয় করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের কর্মচারী রাজা, নাগামার ছেলে এশিও, রাজু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের কাছেও গাঁজা, মদ, ইয়াবা, ফেনসিডিল বিক্রি করে। এদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একাধিকবার সতর্ক করে শাস্তিও দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের কমনরুমের পিয়ন বাদলের ছোট ভাই আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর, বটতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল বিক্রি করে। এসব মাদক বিক্রির অভিযোগে আলীকে একাধিকবার পুুলিশ গ্রেফতার করে। ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক কর্মচারীর ছেলে মিজান ও তার স্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কাছে ইয়াবা, হেরোইন বিক্রি করে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকার হেলাল, টিভির দোকান মালিক খোকন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা পান্দুয়ার মাসুদ, কর্মচারী এলাকা কলাবাগানের মহসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা সরবরাহ করে। এসব এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদকসেবী শিক্ষার্থীরা গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা কিনে ক্যাম্পাসের জাকসু ভবনের বারান্দায়, নিরাপত্তা কর্মকর্তার অফিসের সামনে, প্রকৌশল অফিসের বারান্দায়, পরিবহন চত্বর অফিসের পিছনে, পুরনো কলাভবনের সামনে, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বারান্দায়, ব্যাংকের পিছনে, বটতলার পাবলিক টয়লেটে, বটতলার ইব্রাহিমের চায়ের দোকানের পিছনে, কলেজ মাঠে, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে, বিশমাইল এলাকার কর্মচারী ক্লাবে, টারজান পয়েন্টে দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে মাদক সেবন করে। এসব বিষয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবগত থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না। ফলে ক্রমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মচারী জানায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের যোগসাজশে ক্যাম্পাসে মাদকের সরবরাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘একটি জাতিকে ধ্বংসের জন্য মাদকই যথেষ্ট। যুবসমাজকে এর কালো থাবা থেকে বাঁচানোর জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের বিষয়ে খতিয়ে দেখতে উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা বলেন, ‘মাদকের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তৎপর রয়েছে। প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান বলেন, ‘এ থেকে বাঁচার জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সংঘবদ্ধ প্রতিরোধের প্রয়োজীয়তা রয়েছে। একই সঙ্গে প্রশাসনকে আরো তৎপর হতে হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ১৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test