E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্মার্ট প্রযুক্তিতে গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের কার্যক্রম গতিশীল

২০২৪ জানুয়ারি ২৭ ১৩:৫১:৪৫
স্মার্ট প্রযুক্তিতে গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের কার্যক্রম গতিশীল

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ  উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে একটি অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গোপালগঞ্জ, নড়াইল, বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর জেলার শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামাংকিত এ প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করছে। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম গতিশীল করতে এখানে স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। কলেজটিতে ইতিমধ্যে ক্যাশলেস লেনদেন শুরু হয়েছে।

স্মার্ট বাংলাদেশের একটি টুলস বাস্তবায়ন করায় শিক্ষক, কর্মকর্তা,কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সুফল পাচ্ছেন। ভর্তি, প্রবেশপত্র সংগ্রহ, পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করা হচ্ছে। কলেজের সব ধরনের অর্থিক লেনদেন ক্যাশলেস করা হয়েছে। স্মার্ট হাজিরা মেসিন স্থাপন করা হয়েছে। জটিলতা ছাড়াই ঝামেলাহীনভাবে সহজেই সব কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। সেবা গ্রহীতাদের সময় বাঁচছে। স্মার্ট সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কলেজটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে।

সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ১৮ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এরমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে ৫ হাজার শিক্ষার্থী, অনার্সে ৮ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ডিগ্রীতে ৩ হাজার ২০০ ও মাস্টার্সে ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের স্মার্ট সেবা দিতে কালেজের কার্যক্রমে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সহজে কাঙ্খিত সেবা পেয়ে সবাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ওহিদ আলম লস্কার বলেন, আমি ২০২১ সালের ২ অক্টোবর এই কলেজে যোগাদান করি। তারপর আমি কলেজের শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করি। শৃংখলা ফিরিয়ে আনার পর কলেজের কার্যক্রম স্মার্ট করার উদ্যোগ গ্রহন করি। ইতিমধ্যে আমি কলেজের সব আর্থিক লেনদের ক্যাশলেস করে ফেলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের আদলে আমি কলেটির সব কার্যক্রম স্মার্ট করতে চাই। এখানে ভর্তি, হাজিরা, প্রবেশপত্র সংগ্রহ, পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে করা হচ্ছে। এছাড়া স্মার্ট হাজিরার পাশাপাশি স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার এখানে শুরু হয়েছে। অধুনিক ও স্মার্ট সেবা পেয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্টরা উপকৃত হচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আমি আশা করছি।

সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অসীম বাড়ৈ বলেন, ক্যাশলেস লেনদেন শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নগদ, বিকাশ ও ৬টি ব্যাংকের মাধ্যমে ক্যাশলেস লেনদেন করতে পারছে। এতে লাইনে দাড়াতে হচ্ছে না। তাদের সময় বেঁচছে। কলেজের কার্যক্রমে নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে। আমাদের বিভাগেও এ সংক্রান্ত কাজ কমেছে। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও একাডেমিক কাজে বেশি সময় দিতে পারছি। এতে কলেজের শিক্ষার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশা করছি।

সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রিপা মন্ডল ও অনার্স ১ম বর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মিতা বিশ্বাস বলেন, কলেজের প্রায় সব কার্যক্রম অটোমেশন হয়েছে। এখান থেকে আমরা সুফল পাচ্ছি। ফরম পুরণ, ভর্তি, বিভিন্ন ফিস প্রদান, পরীক্ষার ফলাফল থেকে শুরু করে সব কার্যক্রম এখন অনলাইনে হচ্ছে। ক্যাশলেস লেনদেনে অনিয়ম, দুর্নীতি কমে এসেছে। স্মার্ট হাজিরা স্থাপন সহ সবইগুলো উদ্যোগই অধ্যক্ষ মহোদয়ের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতে কলেজের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব সেবা পেতে এখন সময় নষ্ট হচ্ছে না। এখন ভোগান্তি ছাড়াই সহজে সব কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে। এজন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

(এমএস/এএস/জানুয়ারি ২৭, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test