E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

জাবিতে পাঁচ দফা দাবিতে সংহতি সমাবেশ

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১১ ১৪:০৪:২২
জাবিতে পাঁচ দফা দাবিতে সংহতি সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার : ধর্ষণ, নিপীড়ন ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাসসহ পাঁচ দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সংহতি সমাবেশ করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে শিক্ষক—শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হলো— ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করতে হবে ও র‌্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত করতে হবে ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করতে হবে এবং মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সমাবেশে সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, এতো সব ঘটনার পরও প্রশাসন কতটা নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে মাদকের ব্যবহার পুরোপুরি কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু সেল গঠন করে বসে থাকলেই চলবে না। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত জড়িত। এখনো বিভিন্ন হলে যাদের ছাত্রত্ব অনেক আগেই সম্পূর্ণ হয়েছে, তারা বহাল তবিয়তে আছেন। যারা নন অ্যালোটেড কিংবা যারা রাজনীতিকভাবে সম্পৃক্ত নয়, তাদেরই কেবল হল—ছাড়া করার মাধ্যমে আই ওয়াশ করা হচ্ছে।

অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, গত ৭ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম, নিপীড়ক শিক্ষককে শাস্তি দিতে হবে। উপাচার্য বলেছিলেন স্ট্রাকচারাল কমিটির তদন্ত শেষ হয়নি, পরবর্তী সিন্ডিকেটে করতে হবে। একজন নিপীড়ক শিক্ষককে বাঁচিয়ে রাখার যে পায়তারা চলছে, আমরা তা রুখে দাঁড়িয়েছি। তাকে বাঁচানো যাবে না। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে শিক্ষাঙ্গনে মাদক এবং ধর্ষণের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে।

প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ৪২তম ব্যাচকে বগলদাবা করে ৪৫, ৪৬, ৪৭ ব্যাচকে বের করে দেওয়ার এই নাটক কি আমরা বুঝি না? আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। এই ক্যাম্পাসকে আমরা অবৈধ ছাত্রমুক্ত, ধর্ষক মুক্ত ও মাদক মুক্ত করতে চাই।

অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবির উপর গ্রাফিতি অঙ্কন করে এ আন্দোলনকে ডাইভার্ট করার নানা চেষ্টা চলছে। এই গ্রাফিতি মুছে দেওয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ইউজিসি তদন্ত কমিটি গঠন করার পরও প্রশাসনের বোধোদয় হয় নাই। তারা ভাবছে কিছুদিন পর ভর্তি পরীক্ষার কারণে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যাবে। আপাতত তারা রুমগুলোতে যাচ্ছে, আর ফিরে আসছে। হল খালি করার নামে আমাদের আইওয়াশ করছে।

ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি বলেন, সাধারণ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কখনো দাঁড়ায়নি। ধর্ষক মানিক থেকে মোস্তাফিজ পর্যন্ত— সব জায়গায় ছাত্রলীগের নাম এসেছে। যতই বলেন মোস্তাফিজ আমাদের দলের কেউ না, তাতে ছাত্রলীগ এই ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না। যারা ছাত্রজীবনে নিপীড়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তারাই হলগুলোতে প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পাচ্ছেন। তারা কিভাবে হলের নির্যাতন বন্ধ করবেন? অছাত্রদের হল থেকে বের করার নামে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছেন।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, অধ্যাপক গোলাম রব্বানীসহ বিভিন্ন সামাজিক—সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test