E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাবিতে দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষা বাতিল শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

২০১৫ ডিসেম্বর ২১ ১৬:৩৯:২০
রাবিতে দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষা বাতিল শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

রাবি প্রতিনিধি : ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা বাতিলে পরে আগামী ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে দ্বিতীয়বারের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রশাসন।

আর এ নিয়ে যে সকল শিক্ষার্থীরা এ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের মেধা দিয়ে একটি আসন নিশ্চিত করতে পারে নাই তাদের বুক ভরা লালিত আশা একবোইরে বিনষ্ট হয়ে গেল। তবে এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার কমতি নেই। বিষয়টিকে বিভিন্ন মহল বিভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছে। কোন মহল এ সিদ্ধান্তকে জানিয়েছে সাধুবাত আবার কেউ এ বিষয়কে বাতিলের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্যই এনিয়ম চালু করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে অনেকটাই চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

এবাবারে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন কারীদের মধ্যে আসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নিয়ম চালু করা হবে তা আমি কখনো ভাবতেই পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আমার খুবই স্বপ্ন ছিলো। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বার ভর্তি হওয়ার যে সুযোগ ছিল এ সিদ্ধান্তের ফলে সেই আশা বিনষ্ট হয়ে গেছে। আবার এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ নেয়া ছাড়া আর কোন পথ দেখছিনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রথম বার ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে তেমন প্রস্তুতি নিতে পারিনি। তারপরেও ওয়েটিং লিষ্টে থাকার পরে ভাবছিলাম দ্বিতীয়বার ভালোভাবে প্রস্ততি নিয়ে পরীক্ষা দিবো। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হলো না। তবে ভর্তি পরীক্ষা যদি বাতিল করা হয় তাহলে আমাদেরকে আগে জানালো না কেন?

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রফেডারেশনের সভাপতি কিংসুক কিঞ্জল বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তের কারনে অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ করা হয়েছে। সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার যে সঙ্কট এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যে অপর্যাপ্ত আসন সংখ্যা এই সিদ্ধান্ত কোনভাবেই সুফল বয়ে আনতে পারেনা।

তবে এ বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর নীলুফার সুলতানা ভিন্ন মত প্রকাশ করে বলেন, এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই ভালো হয়েছে। এর দুইটা দিক আছে, প্রথম যারা দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষা দেয় তারা দুই বছর ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেয়। কিন্তু যারা প্রথম বার ভর্তি পরীক্ষা দেয় তারা খুব অল্প সময় পায়। ফলে তাদের প্রস্তুতিও কম থাকে। আবার যারা প্রথম বার পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় তারা দ্বিতীয় বর্ষে উঠেই আবার অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যায়। যার ফলে প্রচুর পরিমানে সিট খালি থাকে এবং তা আর কখোন পুরন করা সম্ভব হয়না।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনন্দ কুমার শাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়নি। আমিও সেখানে ছিলাম কিন্তু ভিসি স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি। তবে আমি এখন ভিসি বরাবর চিঠি দিচ্ছি যাতে তিনি এই ধরনের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এন্তাজুল হক বলেন, দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার ফলে প্রতিবছর অধিকাংশ বিভাগের বেশকিছু আসন ফাঁকা হয়ে যায়, যার ফলে মেধানুসারে পিছনে থাকা শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়। এছাড়া দ্বিতীয় পরীক্ষার সুযোগ থাকায় জালিয়াতির চক্র অসাধুপায় অবলম্বনের এই সুযোগ গ্রহণ করে। এই সব বিষয় বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা পরিষদে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন কার হয়েছে বলে জানান তিনি।

(ইএইচএস/এএস/ডিসেম্বর ২১, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test