E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৬ অক্টোবর, ১৯৭১

মুক্তিসেনারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য হস্তগত করে

২০১৯ অক্টোবর ০৬ ০৮:৪৬:২৫
মুক্তিসেনারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য হস্তগত করে

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : মুক্তিবাহিনী রাজশাহী জেলার সীমান্ত গ্রাম ঘোষপুরে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড গোলাবিনিময় হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর অনেক সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিসেনারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য হস্তগত করে।

রাতে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে গেট প্রহরারত ৩ জন রাজাকার নিহত ও ২ জন আহত হয়।

৮নং সেক্টরের বয়রা সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পীরগাছায় পাকসেনাদের একটি দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ২ জন পাকসৈন্য নিহত ও ২ জন রাজাকার আহত হয়।

ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল গাড়ীতে মাল বোঝাইরত পাকসেনাদের ওপর গ্রেনেডের সাহায্যে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত হয়।

কুমিল্লা রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধারা গোপীনাথপুর, চান্দিনা, শারদানদী ও নয়নপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি পাকিস্তানকে সকল প্রকার সাহায্য দান সম্পর্কিত প্রস্তাব অনুমোদন করেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোজার্স পূর্ব পাকিস্তানের ঘটনাবলীকে সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি হানাদারদের হাত থেকে জীবন নিয়ে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারীদের আবারো হানাদারদের হাতে ছেড়ে দেবার সুপারিশ করেন।

চীনা কনসাল জেনারেল সিয়াও চিউজই বলেন, চীনের সরকার এবং জনগণ বৈদেশিক হামলা এবং অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অন্য দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সব সময়ই পাকিস্তানকে সমর্থন জানাবে।

জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রী আব্বাস আলী খানের সঙ্গে দেখা করেন। মন্ত্রী জমিয়ত নেতাদেরকে নিজ নিজ এলাকায় দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ও দেশ পুনর্গঠনের আহ্বান জানান।

খান আবদুস সবুর খানের বাসায় কাইয়ুম মুসলিম লীগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মুসলিম লীগ (কাইয়ুম) প্রধান কাইয়ুম খান বলেন, ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতীয় প্ররোচনায় ইসলামের বদলে ভাষাকেই রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি বলে প্রচার শুরু করা হয়। ভাষাভিত্তিক শ্লোগানের মূল উদ্দেশ্যই ছিলো পাকিস্তানের ধ্বংস করা।’

‘সংগ্রামী বাংলা’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয় : পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ২২ জন অফিসার ও ৪০০০-এর বেশী সৈন্য, রাজাকার ও বদর বাহিনীর লোক নিহত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন রণাঙ্গণে প্রায় আড়াই হাজার কমান্ডো আক্রমণে উক্ত শত্রুসেনাদের নিহত করেছে।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

(ওএস/পিএস/অক্টোবর ০৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test