E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২৩ নভেম্বর, ১৯৭১

পাকবাহিনীর তীব্র আক্রমণে চন্দ্রপুর (কসবা) মুক্তিযোদ্ধাদের হাতছাড়া হয়

২০১৯ নভেম্বর ২৩ ০০:২২:১৯
পাকবাহিনীর তীব্র আক্রমণে চন্দ্রপুর (কসবা) মুক্তিযোদ্ধাদের হাতছাড়া হয়

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকবাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে ইয়াহিয়া খান জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। ইয়াহিয়া খান বলেন, পাকিস্তান বৈদেশিক আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে এবং দেশে মারাত্মক জরুরি অবস্থা বিরাজ করছে।

পাকবাহিনীর তীব্র আক্রমণে চন্দ্রপুর (কসবা) মুক্তিযোদ্ধাদের হাতছাড়া হয়। এই যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ এবং আহত মুক্তিযোদ্ধাদের আনার জন্য মেজর আইনউদ্দিন বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে পাঠান। কিন্তু তাদের মধ্য থেকেও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা পাক সেনাদের আক্রমণে শহীদ হন। এই যুদ্ধে ভারতীয় গান পজিশনে ৬জন সৈন্য শহীদ হন।

মন্দভাগ অবস্থান পুনর্দখল করার জন্য পাকবাহিনী একত্র হলে মুক্তিবাহিনী সুযোগ বুঝে পাক অবস্থানের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করে। এতে পাকবাহিনীর অনেক সৈন্য হতাহত হয়। পরে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। মন্দভাগ পুনর্দখল করতে অসমর্থ হয়ে পাকবাহিনী সালদা নদীর কাছে মনোরা রেল সেতুর নিকটবর্তী মুক্তিবাহিনী অবস্থানের ওপর হামলা চালায়। ১০৬ আর. আর গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর একটি বাঙ্কার ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। মুক্তিবাহিনী সমস্ত শক্তি দিয়ে পাকবাহিনীকে প্রতিরোধ করলে শেষ পর্যন্ত শত্রুবাহিনী পর্যুদস্ত হয়ে বুড়িচং এবং কুর্মিটলার দিকে সরে যায়। যুদ্ধে কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর একজন শহীদ এবং ৪ জন আহত হয়।

খুলনার শ্রীরামপুরে মুক্তিবাহিনী পাকসৈন্যদের অবস্থানের ওপর মর্টার আক্রমণ চালিয়ে ৬জন শত্রুসেনা ও রাজাকারকে হত্যা করে।

কেন্দ্রীয় জামাত নেতা মাওলানা আবদুর রহিম, অধ্যাপক গোলাম আজম, এ.কে.এম. উইসুফ ও আবদুল খালেক সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ জাতির উদ্দেশে এক বেতার ভাষণ দেন। ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত আড়াই মাস পূর্বে আপনাদের কাছে মুক্তি সংগ্রামের পর্যালোচনা করেছিলাম। গত আড়াই মাসে আমাদের সাফল্য এসেছে নানা দিক থেকে। তিনি বলেন, অশ্রু ও রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতার জন্য আমরা লড়ছি সে স্বাধীনতা লাভের দিনটি নিকটতর হয়েছে। তিনি জনগণের কাছে আহবান জানিয়ে বলেন, মুক্তি সংগ্রামের বর্তমান পর্যায়কে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৩, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test