E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

১ এপ্রিল, ১৯৭১

বগুড়া ও কুষ্টিয়া সম্পূর্ণরূপে শত্রুমুক্ত হয়

২০২০ এপ্রিল ০১ ১২:২৯:২১
বগুড়া ও কুষ্টিয়া সম্পূর্ণরূপে শত্রুমুক্ত হয়

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও পাহাড়ের ওপর অবস্থানকারী পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর সংঘাত মারাত্মক আকার ধারণ করে। তীব্র আক্রমণের মুখে মুক্তিসেনাদের অবস্থান ছেড়ে দিতে হয় এবং রাতে মুক্তিসেনারা কালুরঘাট চলে আসে।

সন্ধ্যায় ইপিআর-সহ মুক্তিবাহিনী টাঙ্গাইল থেকে নাটিয়াপাড়া গিয়ে ঘাঁটি স্থাপন করে।

পাকবাহিনীর অত্যাচারের মুখে দলে দলে লোক নিজ মাতৃভূমি বাংলার সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেয়।

সিনেটের এডওয়ার্ড কেনেডি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাকিস্তান কর্তৃক সামরিক সাহায্য চুক্তির শর্তাবলি লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও জাতিসংঘকে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও মানবিক সমস্যাগুলোর সমাধানকল্পে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

যুক্তরাজ্যের কমন্সসভার সদস্য রাসেল জন্সটন লন্ডনে এক বিবৃতিতে পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারণের স্বাধীনতার দাবি এবং পাকিস্তান সরকারের হত্যাযজ্ঞকে উপেক্ষা না করে বৃটেনকে কমনওয়েলথের প্রবীন সদস্য হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিল্ডিং এলাকাতে পাকবাহিনীর সাথে ক্যাপ্টেন রফিকের নেতৃত্বাধীন ইপিআর বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে।

নায়ের সুবেদার মোহাম্মদ আলী আকবরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বগুড়ার আড়িয়াল বাজারে অবস্থিত পাকবাহিনীর ‘এ্যামুনিশন-ডাম্প’ আক্রমন করে। এতে পাক সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন-সহ ২৪ জন সৈন্য ও তাদের পরিবার আত্মসমর্পণ করে।

বগুড়া সম্পূর্ণরূপে শত্রুমুক্ত হয়।

পাকবাহিনীর কাছ থেকে কুষ্টিয়াকে মুক্তিবাহিনীরা মুক্ত করে।

রাতে ক্যাপ্টেন মতিয়ুর, সুবেদার ফরিদ, ইপিআর বাহিনীর ৬০ জনের মতো জোয়ান ও অন্যান্য সৈন্য নিয়ে ‘ডাঙ্গা’ নামক স্থানে ‘হাউস আউট’ বসিয়ে ৩ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে রামপুরাতে অবস্থানকারী পাকবাহিনীর উপর গোলাবর্ষণ শুরু করে।

ভারতের ৭৫তম বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল ব্যানার্জী ঠাকুরগাঁও-এ মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রবর্তী ঘাঁটিগুলি পরিদর্শন করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সবরকমের সাহায্য প্রদানের আশ্বাস দেন।

পাকবাহিনীর এফ.এফ রেজিমেন্টের একটি প্লাটুনের সাথে তিস্তা ব্রিজের উপর এবং নদীর তীরে ক্যাপ্টেন নওজেশ এর অধীনস্থ ইপিআর বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ হয়। এতে পাকবাহিনীর মেজর এজাজ মোস্তফা ও তার ১৫ জন সিপাই এবং কাউনিয়ার ওসি মৃত্যুবরণ করে।

মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত রশীদপুর থেকে মৌলবীবাজারে ‘রিয়ার হেড কোয়ার্টার’ স্থানান্তর করেন।

চাঁদপুর শহরের উপকন্ঠে পালপাড়ার এক বাড়িতে বোমা তৈরি করার সময় আকস্মিক বিস্ফোরণে মুক্তিযোদ্ধা সুনীল, শঙ্কর ও কামাল মৃত্যুবরণ করেন। চাঁদপুরের মাটিতে মুক্তিযুদ্ধে এটাই প্রথম রক্ত বিসর্জনের ঘটনা।

ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলে তৎপরতায় লিপ্ত দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলের মুক্তিযোদ্ধারা একটি বিরাট পাকসামরিক বহরকে ময়মনসিংহের দিকে যেতে দেখলে টাঙ্গাইল সড়কে আকস্মিকভাবে আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে পাকসৈন্যরা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়।

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/পিএস/এপ্রিল ০১, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test