E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

সিলেটে মুক্তিবাহিনী সুতারকান্দি পাকঘাঁটি আক্রমণ করে

২০১৭ সেপ্টেম্বর ১৮ ১১:১১:৫৭
সিলেটে মুক্তিবাহিনী সুতারকান্দি পাকঘাঁটি আক্রমণ করে

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রশ্নে আলোচনার জন্য বিশ্বের ২৪টি দেশ থেকে ১৫০ জন প্রতিনিধি দিল্লী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে বাংলাদেশ সমস্যার সন্তোষজনক সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়। আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকল দেশ বাংলাদেশের জনগণের মুক্তিসংগ্রাম সমর্থন করেন। বাংলাদেশ সরকারের কর্মকান্ড ও ভারতে শরণার্থীদের আশ্রয়দানকে তারা অভিনন্দন জানান। সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস দেয়া হয়।

রাতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঘোষণা করেন, ভবিষৎ শাসনতন্ত্র জাতীয় পরিষদে পেশ করা হবে এবং জাতীয় পরিষদ তা সংশোধন করতে পারবে।

সিলেটে মুক্তিবাহিনী সুতারকান্দি পাকঘাঁটি আক্রমণ করে। পাকসেনারা পাল্টা গুলি শুরু করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত হয়।

মুক্তিবাহিনী যশোরের টুঙ্গী এলাকায় পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকসেনাদের একটি বাঙ্কার ধ্বংস হয় এবং ২ জন পাকসেনা নিহত হয়।

সিলেটের জৈন্তাপুরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালালে ২ জন পাকসেনা নিহত হয়।

পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমীর গোলাম আযম নতুন প্রাদেশিক মন্ত্রীসভাকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এই সংকটকালে মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে মন্ত্রীসভার সদস্যরা শুধু যে বিপদের ঝুঁকি নিয়েছেন তাই নয়, তারা পাকিস্তানের শত্রুদের (মুক্তিবাহিনী) নির্মুল করার কাজে নিয়োজিত পাকিস্তানের বীর সেনাবাহিনীর প্রতি হতাশ ও আকাঙ্খিত মানুষের মধ্যে আস্থার ভাব ফিরিয়ে আনারও গুরু দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।

পিডিপি প্রধান নুরুল আমিন ও পিপিপি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো করাচীতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে পৃথক পৃথক আলোচনা বৈঠকে মিলিত হন।

২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর টহলদার দল চারগাছা বাজারের কাছে পাকবাহিনীর একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ২০ জন পাকসেনা হতাহত হয়। এ সংবাদ পেয়ে পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী দল তিন নৌকা বোঝাই করে টহলদার দলের সাহায্যার্থে অগ্রসর হয়। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের পৌঁছার আগেই শিমরাইলের কাছে এ্যামবুশ করে দু‘টি নৌকা ডুবিয়ে দেয়। এতে নৌকা দু‘টির সকল পাকসেনা নিহত হয়। এই সংঘর্ষে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী ইপিআর কমান্ডার সালেক, বেঙ্গল রেজিমেন্টের মান্নান, ঢাকা পুলিশের হাবিলদার রজব আলী এবং ছাত্র রঞ্জিত কুমার মহন্ত, প্রদীপ কুমার কর প্রমুখের নেতৃত্বে হিলির কাছে পাকসেনাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সংঘর্ষে বহু পাকসৈন্য হতাহত হয়।

রাজশাহীর ফারসিপাড়ায় মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিবাহিনী কোন ক্ষতি ছাড়াই নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test