E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অতলান্ত পিতৃস্মৃতি পর্ব ৫

২০১৪ জুলাই ০২ ১৭:৪৪:১৫
অতলান্ত পিতৃস্মৃতি পর্ব ৫

প্রবীর বিকাশ সরকার : [ভূমিকা : আমার ৫৫ বছরের জীবনে বাবার সঙ্গে কেটেছে মাত্র ২৪-২৫টি বছর! জ্ঞান হওয়ার পর থেকে যেভাবে বাবাকে দেখেছি, চিনেছি, জেনেছি এবং বুঝেছি তার মূল্যায়নই হচ্ছে এই আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস বা স্মৃতিকথা ‘অতলান্ত পিতৃস্মৃতি’---এমন করে খোলামেলা খুঁটিনাটি কোনো স্মৃতিকথা আর কোনো বাঙালি লিখেছেন তার জন্মদাতা পিতৃদেবকে নিয়ে আমার অন্তত জানা নেই।]

প্রাণবৃক্ষের পুষ্পপাতায় যে কিছু শিশির ছিল তা এক অভাবনীয়, বিজাতীয় ঝড়োবাতাসে উবে গেছে। ধর্মীয় সংস্কৃতি ঈশ্বরকর্তৃক সৃষ্ট জিনিস নয়, এটা মানুষের সৃষ্ট পার্থিব একটা ব্যাপার এবং মহাপ্রকৃতির প্রচ্ছন্ন প্রভাব বা শক্তি থেকে উৎসারিত। যখন একটি শ্রেণীর বা সম্প্রদায়ের মানুষ এই গভীর মনন থেকে উৎসারিত সংস্কৃতি লালনে অদৃশ্য কিন্তু তীব্রতর অগ্নিস্ফুলিঙ্গসম অভিযাত্রার দ্বারা আক্রান্ত হতে থাকে তখন সে থমকে দাঁড়াতে বাধ্য হয়। স্বশ্রেণীগত সাংস্কৃতিক স্বাধীনতাহীনতার আশঙ্কা তাকে ক্রমাগত শঙ্কিত, বিব্রত, বিপর্যস্ত সর্বোপরি একসময় পলায়নপর মানসিক রোগী করে তোলে---সেই চাপের বহিঃপ্রকাশই হল জন্মভূমিত্যাগ। বাংলাদেশে পঁচাত্তর পরবর্তীকালে এই ধারা এত বেশি ক্ষিপ্র এবং অপ্রতিরোধ্য হয়ে দেখা দিয়েছে যে সংখ্যালঘুরা একে পাশ কাটাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলা চলে। বাবার বদ্ধমূল ধারণা ছিল: সাময়িক নিরাপত্তাহীনতার কারণে হয়তো হিন্দুরা ওপারে চলে যাচ্ছে। আবার ফিরে আসবে। এ নিয়ে বাবা মাথা খামায়নি। বালক বয়সে আমারও তাই মনে হয়েছিল পিতৃপ্রভাবের কারণেই: আসলেই তো এদেশ আমার, আমিও এদেশের একজন মালিকানার অংশীদার। আমি এদেশ ছেড়ে চলে যাবো কেন? যারা চলে যাচ্ছে তারা দেশকে ভালোবাসে না। অঞ্জনার উপর প্রচন্ড অভিমান হয়েছিল আমার এজন্য যে, অঞ্জনা যদি না যাবার বায়না ধরতো তাহলে ভানুমামা নিশ্চয়ই যেতেন না। কই, তাঁর আপন ছোটবোন লক্ষ্মী মাসি তো গেলেন না! তবে অনেক বছর পরে তাঁর এই দেশত্যাগের আসল কারণটি জেনেছিলাম: এই জায়গাটির উপর প্রভাবশালী স্থানীয় কারো কারো লোভ ছিল। তাঁদের কাছ থেকে মানসিক চাপ, প্ররোচনায় উত্যক্ত হয়ে সহজ-সরল ভানুমামা গোপনে এই বাড়ি, জমিসহ আদর্শ হিন্দু হোটেল বিক্রি করে ওপারে চলে যান। এবং এই পবিত্র পিতৃসম্পত্তি হাতছাড়ার শোকেই ওপারে গিয়ে বেশিদিন তিনি বাঁচেননি। অথচ কী সুদর্শন, তাগড়াই না ছিলেন ভানুমামা! আজও তাঁর মুখ মানসচক্ষে ভাসে। কতবার যে আমরা ছেলেমেয়েরা দল বেঁধে কাঠের তৈরি তাঁর দুতলাবিশিষ্ট হিন্দু হোটেলে দুপুরবেলা খেতে গিয়েছি! বিশাল ভুড়িভাসানো বৃদ্ধপাচক ঠাকুরমশাই নিরামিষ, কড়কড়ে মাছভাজি, মাছের ঝোল আর তরল মসুরি ডাল কাঁসারের বড় থালায় ঢেলে দিয়েছেন। সঙ্গে লেবুর ফালি। কী রং, কী সুগন্ধ আর কী সুস্বাদু ছিল ঠাকুরমশায়ের রান্না! খাওয়ার পর থালায় ঢেলে দিত থকথকে দই। হাপুশহুপুশ করে চেটেপুটে মিষ্টি দই খেয়ে হোটেলের পেছনে রেজ্জাক মিয়ার প্রাচীন ভূতুড়ে পুকুরের ঘাটে হাত ধুয়ে বাসায় ফিরেছি। দুর্গাপুজো, সরস্বতী পুজো, লক্ষ্মীপুজো এবং কালিপুজো ঘটা করে আয়োজন করতেন ভানুমামা। সবসময় তাকে খোশমেজাজে থাকতে দেখেছি। কত রকম দুষ্টুমি যে করতেন ছোটদের সঙ্গে! বাবাকে খুব সমীহ করতেন ভানুমামা। বড্ড সুখী মানুষ ছিলেন তিনি। একজন পুলিশ অফিসার আছে এই বাড়িতে এটা তাঁর জন্য ছিল এক ধরনের স্বস্তি অন্ততপক্ষে চুরি-ডাকাতির দিক থেকে। তবে ছোটখাটো চুরিডাকাতি যে হয়নি তা নয়, কিন্তু বড় অঘটন কখনো ঘটেনি দরজায় তালা না লাগালেও, তখন সেরকম একটি সময় ছিল, সামাজিক নিরাপত্তা ছিল। পুলিশদের সমাজে অনেক সম্মান ও প্রভাব ছিল। পুলিশের সততা এবং কর্মদক্ষতা নিয়ে কারো প্রশ্ন ছিল না আমার দেখা ও জানামতে। ভানুমামার এই গোপন দেশত্যাগ বাবাকে যুগপৎ হতাশ ও ক্রোধান্বিত করেছিল। কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। কিন্তু আকস্মিকভাবে পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পট পরিবর্তেনের পর বাবা ভীষণ চমকে উঠেছিল! মায়াময় চিত্র আঁকা একটি স্বচ্ছ বেলুনের ভিতর থেকে যেন বাবা বেরিয়ে এসে ভিন্ন দৃশ্যে অবতরণ করলো! এ পর্যন্ত তাঁর স্বাদেশিক বিশ্বাস, অহঙ্কারের ভিত্ বা ঘোরটা তাসের ঘরের মতো ধ্বসে পড়লো! যাইহোক, ভানুমামার বাড়ির মালিক হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ঈমান আলী। তিনি একটি মুদির দোকানের মালিক এবং ভালো মানুষ ছিলেন। বাবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল আগে থেকেই। পরবর্তীকালে তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমাদের খুব ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল। আমাকে জাপান সম্পর্কে আগ্রহ তাঁর বড় ছেলে আবদুল লতিফই জাগিয়েছিলেন এবং তাঁর সাহায্যও নিয়েছিলাম। তাঁকে আমরা লতিফমামা বলে ডাকতাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির এমএ ডিগ্রিধারী লতিফমামা খুবই আধুনিক এবং উদার মনের মানুষ ছিলেন এই অঞ্চলে। পিতার হঠাৎ মৃত্যুতে অনেকগুলো ভাইবোনের দায়দায়িত্ব, বিয়ে দেয়া, জমিজমা নিয়ে চাচা ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে লাগাতার খিটিমিটি শেষ পর্যন্ত তাঁকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলেছিল, জাপানে আসার পর শুনেছিলাম তিনি কোথায় যেন চলে গেছেন! কুমিল্লায় গিয়ে অনেক খোঁজ-খবর করেও দেখা পাইনি। খুব খারাপ লেগেছে। বাবা নানাভাবে তাঁকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে। কারো বিপদ-আপদেই বাবা স্থির থাকতে পারে না। কত দরিদ্র লোকের ছেলেমেয়ের পড়ার জন্য খরচ, পরীক্ষার ফি পরিশোধ, বিয়ের খরচ, চাকরি দেয়া কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা দিয়ে বসিয়ে দিয়েছে তার হিসেব নেই। সেসব তো নিজের চোখেই দেখা ঘটনা। তখনো বহুতলা ডিসি ভবন বা কালেক্টরেট ভবন স্থাপিত হয়নি পুলিশ কোর্টের পাশে। বাঁশের বেড়ার দেয়াল ও টিনের বিশাল একটি চালাঘর, তার পাশে লাল ইটের মেজিস্ট্রেটের অফিস এবং বিচারের এজলাস। তারপর মুহুরিদের জন্য হলুদরঙা রেভিনিউ স্ট্যাম্প বিক্রির ঘর। একটি পোস্টাপিস এবং রেজ্জাক মিয়ার পুকুরঘেঁষা একটি চায়ের ক্যান্টিন মিলিয়ে এই ছিল সদর পুলিশ কোর্টবিল্ডিং। সত্যিই বড্ড রোম্যান্টিক ছিল তখন এই জায়গাটা। জজকোর্ট ছিল অন্য জায়গায়। পাকিস্তান আমলে রোববার ছিল ছুটির দিন। একমাত্র ছুটির দিন ছাড়া সপ্তাহের ছ’টি দিনই সকাল-সন্ধ্যে পর্যন্ত এখানটা গ্রাম থেকে আসা মানুষে গমগম করতো, একেবারে অরণ্য হয়ে যেতো কোর্ট চত্বর। খাবারদাবার, চানাচুর, চা-বিক্রি, পান-সিগারেট, ফলফসারি, বাঁশের তৈরি কঞ্চিতে লাঠিতে লুঙ্গি-গামছা-শার্ট-গেঞ্জি বিক্রি, ভেন্ডার, পত্রিকার হকার, তাবিজ-মাদুলি বিক্রি, বানরখেলা, সাপখেলা, শারীরিক কসরৎ প্রদর্শন করে পয়সা তোলা মোদ্দাকথা আরেকটি ঢাকার হাইকোর্টের মাজার যেন! এসব প্রত্যক্ষ করেছি যখন আমি প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র। এখনো মনে আছে, সোনাঝরা রোদালো একটি সকালে গিয়ে বাবা ভর্তি করালো আমাকে তৃতীয় শ্রেণীতে পুলিশলাইন প্রাইমারি স্কুলে ১৯৬৬ সালে। প্রথাগতভাবে আমি ক্লাস ওয়ান-টুতে পড়িনি। বাবা ও মার কাছে বাসায় পড়েছি। ইংরেজিটা বাবা শৈশবকালেই শেখানো শুরু করেছিল। বাংলা শিখেছি মার কাছে। দুজনেই খুব পড়ুয়া বলে তাঁদের প্রভাব পড়েছে আমার উপর। শৈশব থেকেই বইয়ের দিকে ঝোঁক। এখনো মনে পড়ে প্রথম যেদিন স্কুলের ক্লাস শেষ হলো বিকেল ৪টার দিকে সবাই এক এক করে চলে গেল। আমি স্কুলের মাঠের মধ্যে একা বাবার আসার পথ চেয়ে বসেছিলাম। মনে মনে ছিল ছেলেধরার ভয়। কিন্তু আমাকে ব্যারাকের অনেক পুলিশই চিনতো। কয়েক জন এসে বললেন, ‘খোকাবাবু চলো বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি।’ আমি রাজি হয়নি এই কারণে যে, বাবা এসে নিয়ে যাবে সেরকম কথা হয়েছে সকালবেলা। প্রায় ঘন্টাখানেক পর বাবাকে দ্রুত পায়ে হেঁটে আসতে দেখে দারুণ ভালো লাগলো। ফুরফুরে স্বস্তি এলো মনে। বাবা এসে হাত ধরে বললো, ‘দেরি হয়ে গেল আসতে। তোমার কোনো অসুবিধে হয়নি তো? কেমন লাগলো বাবা স্কুল?’ আমি বললাম, ‘খুব ভালো। হেডমাস্টার সাহেব খুব ভালো।’ একটি রিক্সা ডেকে বাবা আমাকে নিয়ে উঠে বসে বলল, ‘রাস্তাটা চিনে রাখো আগামীকাল থেকে তোমাকে একাই আসতে-যেতে হবে। ব্যস্ততার জন্য আমি তোমাকে নিয়ে আসা-যাওয়া করতে পারবো না বাবা। পারবে তো একা একা? ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারো কথা শোনার দরকার নেই। কেউ জোরাজুরি করলে সোজা আমার নাম বলে দেবে।’ বাবার কথায় মাথা নেড়ে সায় দিলাম। ভালো করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে পথটা চিনে নিলাম। আসলে একটি সোজা পথ। শিশুকালে স্মরণশক্তি প্রখর থাকে তাই পরের দিন সত্যি সত্যি একাই গেলাম স্কুলে এবং বাবার অফিস হয়ে বাসায় ফিরলাম বিকেলবেলা। মা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো, দেখলাম মা খালপাড়ে একা দাঁড়িয়ে আছে শুকনো মুখে। আমাকে দেখেই মা ফিক করে হেসে ফেললো, এখনো মায়ের সেই মুখ, সেই দৃশ্য কত জীবন্ত মনের পর্দায়! এভাবে এক বছর পার হলো। পরীক্ষায় পাশ করে যখন ক্লাস ফোরে উঠলাম মা বাবাকে বললো, ‘পুলিশ লাইনের চেয়ে ফরিদা বিদ্যায়তন ভালো হবে। মেয়েদের স্কুল হলেও ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়া যাবে। তাছাড়া দীপু (উত্তরের ঘরের দীপক) ঐ স্কুলে যায় একইসঙ্গে যাবে।’ তাই হলো। মা আমাকে ফরিদা বিদ্যায়তনে ভর্তি করিয়ে দিল। দীপু তো সঙ্গী ছিলই। তাছাড়া ছোটরা কলোনী থেকেও বেশ কিছু ছেলেমেয়ে ঐ স্কুলে যেতো। আমরা দল বেঁধে বাবার অফিসের পাশ দিয়ে পৌরউদ্যানের ভিতর দিয়ে ধর্মসাগর দীঘির পাড় ধরে বাদুরতলা পেরিয়ে নাক বরাবর হেঁটে মডার্ণ স্কুল রোড পর্যন্ত গিয়ে ডানদিকে মোড় নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করতাম। স্কুলের গেটের ভিতরে সারা বছরই পেড়া ও সন্দেশ বিক্রি করতেন একজন হিন্দু বিধবা মহিলা---দুলালের মা নামে পরিচিত ছিলেন। আমরা তাঁকে দিদিমণি সম্বোধন করতাম। আসলে তিনি আমাদের একই বাড়িতেই ছেলে ও ছেলের বৌ কল্যাণী মামীর সঙ্গে একটি দুকক্ষের ঘরে থাকতেন। দুলাল ছিলেন আমাদের সকলের কমন মামা। তিনি ঘড়ি দোকানের মিস্ত্রি ছিলেন। অভাবের সংসারে ছেলেকে সাহায্য করতেন পেড়া বানিয়ে বিক্রি করে দিদিমণি। এই স্কুলেই শুধু নয়, দুর্গা-সরস্বতী পুজোর সময়; রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে, রাজেশ্বরী কালিবাড়িতে, মহেশাঙ্গনে রাসউৎসব, কাত্যায়নী কালিবাড়িতে ধর্মীয় কীর্তনের আসর বসলে সেখানে তিনি বাঁশের তৈরি ডালার দোকান খুলে বসতেন। অনেকদিন তিনি পেড়া দিয়েছেন বিনে পয়সায় আমাকে, দীপুকে। মাঝেমাঝে একসঙ্গে স্কুলেও গিয়েছি দিদিমণির সঙ্গে। খুব পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন তিনি। এই স্কুলটি দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছিল বিধায় প্রচুর ছাত্রী। মেয়েলি চিৎকার, হৈচৈতে সরগরম থাকতো স্কুলটি। এখানেই ছিল জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন কচি-কাঁচার মেলার দপ্তর। আমি সদস্য না হলেও মাঝেমাঝে যেতাম। রোববারে গানবাজনা, খেলাধুলা এবং ছবি আঁকার ক্লাস নিতেন শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে জড়িত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। বেশ আনন্দেই কাটতো সময়। মেলার প্রধান সংগঠক ছিলেন বিশাল গোঁফওয়ালা গোলাম মোস্তফা চৌধুরী তথা শহরের আবালবৃদ্ধবনিতার সুপ্রিয় ‘মোস্তফাভাই’, তিনি দৈনিক ইত্তেফাক সংবাদপত্রের সাংবাদিক হওয়া সত্ত্বেও শিশু সংগঠক হিসেবে এক কিংবদন্তিতুল্য পুরুষ ছিলেন। আরও ছিলেন প্রখ্যাত আওয়ামী রাজনীতিবিদ অধ্যাপক আবদুর রৌফ তিনিও বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, ফরিদা বিদ্যায়তনের শিক্ষক অনিমা মজুমদার তথা সবারপ্রিয় অনিমাদি প্রমুখ। চলবে

আলোকচিত্র : [ডানদিক থেকে ঘড়ির কাঁটায়] বাবা শেষ পেনশন তুলতে প্রাক্তন ফৌজদারি পুলিশ কোর্ট বা ডিসি অফিসে সঙ্গে জিয়াউদ্দিন ঠাকুর এবং তার বহুবছরের পুরনো দুজন ভক্ত। প্রাক্তন ফৌজদারির যেখানে বাবার টিনের চালাঘরের অফিস ছিল সেখানে আমি দাঁড়িয়ে। বাল্যবন্ধু দীপক ওরফে দীপ বর্তমানে দলিল রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা। কুমিল্লায় টিকে থাকা গুটকয়েক হিন্দু প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্মাশিয়াল ইনস্টিটিউট যার মালিক ভূতুদা, ১৯৩১ সালে প্রতিষ্ঠিত।

লেখক : জাপানপ্রবাসী

(এএস/জুলাই ০২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test