E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অতলান্ত পিতৃস্মৃতি দ্বিতীয় অধ্যায়, পর্ব ৭

২০১৪ জুলাই ১৭ ১৭:৫২:৩৩
অতলান্ত পিতৃস্মৃতি দ্বিতীয় অধ্যায়, পর্ব ৭

প্রবীর বিকাশ সরকার : [ভূমিকা : আমার ৫৫ বছরের জীবনে বাবার সঙ্গে কেটেছে মাত্র ২৪-২৫টি বছর! জ্ঞান হওয়ার পর থেকে যেভাবে বাবাকে দেখেছি, চিনেছি, জেনেছি এবং বুঝেছি তার মূল্যায়নই হচ্ছে এই আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস বা স্মৃতিকথা ‘অতলান্ত পিতৃস্মৃতি’---এমন করে খোলামেলা খুঁটিনাটি কোনো স্মৃতিকথা আর কোনো বাঙালি লিখেছেন তার জন্মদাতা পিতৃদেবকে নিয়ে আমার অন্তত জানা নেই।]

আমি সেদিন সংকলনটি হাতে নিয়ে নির্বাক দাঁড়িয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। কী বলে গেল বাবা! এই কথা বলার অর্থ আমাকে কঠিন সাধনা করতে হবে। আজও আমি সেই সাধনাই করে চলেছি। প্রচন্ড উৎসাহে চাঁদের হাটের কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রায়ই আলোচনা সভা, গানবাজনা চলতে লাগলো। সেই থেকে আমার ছড়ালেখাও নেশায় পরিণত হলো। কুমিল্লার প্রাচীন ‘সাপ্তাহিক আমোদ’ কাগজে ডাকে একটি ছড়া পাঠালাম। সেটি যথারীতি ছাপা হলো। দুরু দুরু বুকে আমি ও স্বপন গেলাম আমোদ অফিসে। তখন সম্পাদক ফজলে রাব্বী সাহেব অফিসে ছিলেন, নাম বলতে বললেন, ‘ও তোমার একটি ছড়া প্রকাশিত হয়েছে এই সপ্তাহে সাহিত্যের পাতায়। একটি সৌজন্য কপি পাবে।’ একটি কপি দিয়ে বললেন, ‘লিখে যাও। তোমার লেখায় হাত আছে।’ আমি তাঁকে ধন্যবাদ ও সালাম জানিয়ে পত্রিকা নিয়ে সোজা বাবার অফিসে। বাবা হেসে বললো, ‘সকালেই পড়েছি তোমার ছড়া।’ তারপর স্বপন ও আমাকে নিয়ে ক্যান্টিনে গেল। সিঙ্গারা ও চা খেয়ে চলে এলাম।

এরপর একদিন হানিফ সংকেত বললেন, ‘আমি একটি ছড়া পত্রিকা বার করবো ‘ঘোড়ার ডিম’ নামে, একটি ছড়া লিখে দাও।’ লিখলাম। যথাসময়ে সত্যি সত্যি বিশাল বড় এক ডিমের আকৃতি নিয়ে পাতলা হলুদ কাগজে ছড়া পত্রিকা বের হলো। সাড়া পড়ে গেল শহরে। বাবাকেও দেখালাম। বললো, ‘বাহ্ বড় অদ্ভুত তো! অভিনব! এই না হলে তারুণ্য! তোমার ছড়াটিও ভালো হয়েছে, কোথাও ছন্দপতন হয়নি। লিখে যাও।’ এভাবে বাবার অনুপ্রেরণা পেয়ে আমার লেখালেখির সংগ্রাম শুরু হলো। জেলাবোর্ড অফিস থেকে একটি মাসিক ট্যাবলয়েড কাগজ প্রকাশিত হতো সেখানে কয়েক মাস ‘চাঁদের হাট’ নামে একটি পৃষ্ঠা বরাদ্দ নিয়ে সম্পাদনা করেছিলাম। এ ছাড়াও বিভিন্ন ছড়া ও কবিতা সংকলনে নিয়মিত ছড়া লিখতে লাগলাম। যখন একটু একটু নাম ছড়াতে থাকলো তখন একদিন হানিফ সংকেত বললেন, ‘পটু এখন তোমার ছন্দে হাত এসে গেছে। এবার ঢাকার জাতীয় কাগজে ছড়া পাঠাও। আর আমি ঢাকা যাবার সময় তোমার কিছু ছড়া নিয়ে যাবো, লিখে রেখো।’ আমি হেসে বললাম, ‘কী যে বলেন হানিফভাই! জাতীয় পত্রিকাতে ছড়া পাঠানোর মতো ছড়াকার এখনো হয়ে উঠিনি। আরও পরে।’

অভ্যেসবশত হানিফভাই তাঁর মাথার চুল আঙুলে পাকাতে পাকাতে বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আরে বাবা কে বললো? তুমি অনেকের চেয়ে ভালো ছড়া লিখো। থীম খুব চমৎকার। পাঠাও না। ছাপবে কোনো ভুল নেই।’ বললাম, ‘আপনি আমার গুরু। ঠিক আছে আপনি যখন বলছেন চেষ্টা করে দেখবো।’ বাবাকে বললাম হানিফভাইয়ের কথা। বাবা বললো, ‘ঠিকই বলেছে হানিফউল্লাহ। চ্যালেঞ্জ না নিলে বড় হওয়া যায় না। পাঠিয়ে দেখো ভালো বিবেচিত হলে নিশ্চয়ই ছাপা হবে। জাতীয় কাগজে ছড়া ছাপা হলে স্বীকৃতি পেতে তোমার বেশি দিন লাগবে না। গেট রেডি ফর ফাইটিং ইয়ং ম্যান!’ বাবার কথায় উৎসাহিত হয়ে দুটি ছড়া লিখে ডাকে পাঠিয়ে দিলাম সরকারি পত্রিকা দৈনিক বাংলার অফিসে। তখন দৈনিক বাংলায় প্রতি বুধবারে ‘সাতভাইচম্পা’ নামে মাত্র অর্ধপাতার একটি শিশু-কিশোর বিভাগ ছিল। ছড়া, কবিতা ও মিনি গল্প ছাড়া আর কিছুই ছাপা হতো না। আর অসম্ভব জনপ্রিয় এই পাতাটিতে লিখতেন দেশের প্রথিতযশা ছড়াকার, কবি ও গল্পকাররা। নতুনদের চান্স নেই বললেই চলে।

সম্পাদনা করতেন কড়ামেজাজী শিশুসাহিত্যিক মো. আফলাতুন। হানিফভাই তাঁকে ভালো করে চিনতেন। আমার সঙ্গে কোনোদিন তাঁর জীবদ্দশায় আলাপ বা সাক্ষাৎ হয়নি। অবশ্য আমি বরাবরই লেখা পাঠাতাম ডাকে, লেখা নিয়ে শুধু দু-একবার অনুরোধ করেছিলাম দাদুভাইকে ঢাকায় চাঁদের হাটের কাজে গিয়ে। দাদুভাই তখন জাতীয় সাপ্তাহিক ‘কিশোরবাংলা’র সম্পাদক। এই কাগজটি এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান। তবে ‘কিশোরবাংলা’কে অতি অল্পদিনেই হারাতে হলো যা দুঃখজনক। সে যাইহোক, ঢাকার কাগজে লেখা পাঠানোর কথা আর কাউকে বলিনি। অপেক্ষা করতে লাগলাম। পরবর্তী বুধবারের প্রতীক্ষায় অধীর হয়ে থাকলাম। দুরু দুরু বক্ষে সেকি অস্থির মুহূর্তগুলোকে পার করা! স্বপন ও মানিক বললো, ‘কী ব্যাপার, তোকে খুব অস্থির অস্থির লাগছে আজকাল! কিছু হয়েছে নাকি?’ বললাম, ‘না। ঠিকই আছি। নতুন ছড়ার আইডিয়া চিন্তা করছি তো তাই।’ মানিক বললো, ‘ভালো রোগেই ধরেছে তোমাকে!’ স্বপন রহস্যময় মুচকি হেসে দুকলি গান গাইলো: ‘এ ব্যথা কী যে ব্যথা/ বোঝে কি আনজনে/ সজনী আমি বুঝি/ মরেছি মনে মনে........।’

মানিক যেমন মীনার প্রেমে পড়েছে তুইও আবার কারো.......তাই তো মনে হচ্ছে।’ এই কথায় মানিক হো হো করে হেসে উঠলো। আমি বললাম, ‘সেসব কিছুই নয়। প্রেমে পড়লে আকাশে চাঁদ ওঠার মতো সবাই জানবে। পোয়াতী বৌয়ের উদর ঢেকে রাখা মুশকিল। এসব গোপন রাখা যায় না।’ অবশেষে বুধবার এলে পরে সকালে গিয়ে সংবাদপত্র বিক্রেতা জ্যোৎস্না স্টোর্সে ‘দৈনিক বাংলা’ কিনলাম এক কপি। বুকের ধুকধুকুনি শব্দটা থামছে না। এ হচ্ছে মফস্বলবাসী একজন নতুন লেখকের মানসিক অবস্থা। পত্রিকাটি খুলে ‘সাতাভাইচম্পা’র পাতাটি চোখের সামনে মেলে ধরতেই দেখলাম প্রধান লেখা হিসেবে আমার একটি ছড়া ‘কবি’ ছাপা হয়েছে বেশ বড় করে! চিত্রশিল্পী অলোকেশ ঘোষের ইলাস্ট্রেশনসহ। দেখে অবিশ্বাস্য রকম ভালো লাগলো! আহ্ কী আনন্দ! বাজিমাত করা ব্যাপার! জাতীয় পত্রিকা ‘দৈনিক বাংলা’ বলে কথা! কুমিল্লা থেকে একমাত্র হানিফ সংকেত আর আমার ছড়া ছাড়া তখন কুমিল্লার আর কারো ছড়া/কবিতা ছাপা হয়নি। এটাতে দারুণ এক আত্মপ্রসাদ অনুভব করলাম। আরও একটি কপি কিনে ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখলাম।

তারপর কলেজের দিকে ছুটলাম। সকালের একটি ক্লাস মিস করলাম। ক্যান্টিনে ঢুকে এক কাপ গরম চা খেয়ে কেবিনে বসে কয়েকবার পড়লাম। না কোনো কিছুই কাটেনি, হুবহু ছাপা হয়েছে। তাহলে মাত্রা, ছন্দ, লয় সব ঠিক আছে! উফ্ এত অল্প সময়ে এমন একটি স্বীকৃতি ভাবতেই পারছিলাম না। মনে হচ্ছে এক্ষুণি বাবার কাছে ছুটে যাই। গিয়ে বলি, ‘বাবা, দ্যাখো, চ্যালেঞ্জে জয়ী হয়েছি আমি!’ সারাদিন ক্লাস করলাম বুকের ভেতর এক ধরনের উষ্ণ উত্তেজনা আর রিমঝিম আনন্দ নিয়ে। সন্ধেবেলা সবাই যখন পার্কে জড়ো হলাম তখন পত্রিকা মেলে ধরলাম। স্বপন, বিষ্ণু, মানিকের সেকি উল্লাস! মানিক পত্রিকা নিয়ে ভোঁ দৌড় দিল কিসলুদের বাসায় মীনাকে দেখানোর জন্য। কী ছেলেমানুষি ছিল তার আহা! মীনাকে তার দারুণ লাগে বলছিল ক’দিন ধরে আমাদেরকে। ববছাট চুলের গোলগাল মুখের ফর্সা মেয়ে মীনাও কিছুটা হেলে গেছে মানিকের দিকে সেটাও ধরা পড়েছে। তাদের মাধ্যমে পাড়ায় ছড়িয়ে গেল খবরটি। কেমন যেন লজ্জা হতে লাগলো বন্ধুদের বাড়াবাড়িতে। রাতে সজল ও শুকা বললো, ‘পটু তোমার ছড়া নাকি ছাপা হয়েছে দৈনিক বাংলায়, কি ঠিক?’ বললাম, ‘হ্যাঁ। দেখো। বলে পত্রিকাটি ওদের দিলাম। ওরা নিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে গেল।’ বাবা যখন বাসায় এলো তখন রাত ১১টার ওপর। বগলে দৈনিক বাংলা। মুখে হাসি। ঘরে ঢুকেই বললো, ‘দেখেছ দৈনিক বাংলা? তোমার ছড়া প্রকাশিত হয়েছে। আমার কথাই কাজে লাগলো। চ্যালেঞ্জ! চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে এবং তাতে বিশ্বাস রাখবে তাহলে সফল হতে পারবে।’ মা জানতো, বিকেলেই ফিরে দেখিয়েছি। ছোটভাইকে দিয়ে মিষ্টি আনিয়ে রেখেছিল তা জানতাম না। এবার বাবা দেরি না করে মিষ্টি খাইয়ে দিল আমাকে।

জানি না এ ধরনের মিষ্টিমুখের ঘটনা আর কোনো পরিবারে ঘটেছে কিনা লেখা প্রকাশ নিয়ে। মজার ব্যাপার এর রেশ শেষ হলো না। পরের দিন হানিফভাই, সুমন্তদা, তারেকভাই, বাবুলভাই অভিনন্দন জানালো আমাকে। এই সপ্তাহেই রোববারে সকালে টিভির নতুন কুঁড়ির আসরে একটি মেয়ে ছড়াটি আবৃত্তি করলো এই সংবাদও পেলাম কিসলুর কাছে। আমাদের তো টিভি নেই। পরের সপ্তাহে দুপুরের পরে একটি সাহিত্যানুষ্ঠান পরিচালনা করতেন কবি আসাদ চৌধুরী বাংলাদেশ বেতারে। সেখানেও একটি মেয়ে আবৃত্তি করেছে, সেটা নিজের কানে শুনেছি। এত কিছু হবে একটি ছড়া নিয়ে এখন ভাবলে কেবল হাসিই পায়। কিন্তু ৩৪-৩৫ বছর আগে বাংলাদেশের মফস্বল শহর কুমিল্লার কথা চিন্তা করলে এটাই স্বাভাবিক মনে না হয়ে উপায় নেই। এরকম একটি সময় ছিল আমার জীবনে ভাবলে ইচ্ছে করে সেদিনের সেখানে চলে যেতে। যখন আমি মাত্র ১৭। এই ঘটনার পর আমি অনুভব করলাম আমার মধ্যে একটা বিরাট পরিবর্তন বা বিপ্লব ঘটানোর জন্য দুরন্ত এক কিশোর অনবরত হাত পা ছুঁড়ে দাপাদাপি করতে শুরু করেছে। আমার সামনে একটা অদৃশ্য বাহন এসে দাঁড়িয়েছে। এটাতে চড়তে হবে আমাকে। এই বাহনটির চালক আমার বাবা। বাবা বললো, ‘গান শোনো তাহলে অনুপ্রেরণা পাবে।’

আমি বললাম, ‘বাজারে একটি রেকর্ড প্লেয়ার এসেছে জাপান থেকে। খুব বেশি দাম নয়। যদি কিনে দাও তাহলে ঘর থেকে কম বেরোবো। গান শুনবো আর লিখবো।’ বাবা কী মনে করল কে জানে। তৎক্ষণাৎ কিছু বললো না। এক মাস চলে গেল। এর মধ্যে আমরা সামনের বাসায় উঠে এলাম। কারণ মোর্তুজা চৌধুরীর বাসাটি ভীষণ স্যাঁতস্যাঁতে আর ঠান্ডা। এই বাসাটি একতলা এবং বেশ বড়। এর মালিক আহাম্মদ আলী প্রাক্তন এক মুহুরি আগেই বলেছি, বাবাকে বহু বছর ধরে চেনেন। তিনি সপরিবারে গ্রামেই থাকেন। এতদিন তাঁর এক আত্মীয় এই বাসায় ছিলেন এখন অন্য জায়গায় চলে যাবেন। তাঁর ইচ্ছে যে বাবু এই বাসায় থাকেন। ভাড়া যা ইচ্ছে দেবেন। সত্যি কথা বলতে কী এই বাসাটি ছিল আমার জন্য এক স্বর্গ। লেখালেখির জন্য আদর্শ একটি জায়গা। এটাতেও সর্বমোট চারটি কক্ষ একটি বারান্দা। টয়লেট উঠোনসংলগ্ন আর পুকুরঘেঁষা। দক্ষিণ দিকের জানলা দিয়ে পুকুর, তিন দিক, আকাশ সব দেখা যায়।

উত্তরপূর্ব কোণে শুল্কাদের পুরনো বাড়ি। পূর্ব পাড়ে আমিনুর রহমান অ্যাডভোকেট তথা আনিসভাই ও সিলেট চাবাগানের প্রাক্তন ম্যানেজার আবদুল ওয়াদুদ তথা মনিরভাইদের বাসা। দক্ষিণ পাড়ে একজন প্রফেসর, দুজন ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীর বাসা। পশ্চিম পাড়ে আর একজন আইনজীবী। পশ্চিমউত্তর কোণেই সদ্য ছেড়ে আসা নূরমহল দোতলা দালান বাড়িটি। আমাদের নতুন বাসাটি উত্তরমুখী। সামনে খোলা প্রাঙ্গণ। চমৎকার। রান্নাঘর, বেশ বড় একটি কক্ষ, বারান্দার দুদিকে দুটি ক। আমি নিলাম পূব দিকেরটা, ছোটভাই পশ্চিম দিকেরটা। বড় কক্ষটির দুপাশে দুটি খাট। আর সোফাসেটের মতো স্পনজের তৈরি এক সেট চেয়ার ও টেবিল। বারান্দায়ও একটি টেবিল আর চেয়ার রাখা হলো। আমার কাছে মনে হল মধ্যবিত্তের জন্য চমৎকার এক রাজপ্রাসাদ। তবে একটা সমস্যা ছিল খুব বেশি বৃষ্টি হলে পরে জল চুঁইয়ে ঝরত দেয়াল বেয়ে আর এখানে সেখানে টপ্ টপ্ করে ঝরতো। পরে অবশ্য আহাম্মদ আলী মিস্ত্রি দিয়ে ছাদ মেরামত করে দিয়েছিলেন কিন্তু দেয়াল চুঁইয়ে জলঝরা আর বন্ধ করা যায়নি। চুনসুড়কির তৈরি বহু প্রাচীন দালান বলেই হয়তো কোথাও গুপ্তচিড় ধরেছিল। গুপ্তব্যথার মতো গুপ্তচিড় তো সারানো যায় না। যাই হোক, এখানে কয়েক বছর ছিলাম আমরা। ...চলবে

আলোকচিত্র : উপরে, প্রাচীন সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘আমোদ’ এর অফিস। নিচে, আমার ছড়ালেখার গুরু হানিফ সংকেত।

লেখক : জাপানপ্রবাসী

(এএস/জুলাই ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test