E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অতলান্ত পিতৃস্মৃতি দ্বিতীয় অধ্যায়, পর্ব ১১

২০১৪ জুলাই ২১ ১৭:৫০:৩৭
অতলান্ত পিতৃস্মৃতি দ্বিতীয় অধ্যায়, পর্ব ১১

প্রবীর বিকাশ সরকার : [ভূমিকা : আমার ৫৫ বছরের জীবনে বাবার সঙ্গে কেটেছে মাত্র ২৪-২৫টি বছর! জ্ঞান হওয়ার পর থেকে যেভাবে বাবাকে দেখেছি, চিনেছি, জেনেছি এবং বুঝেছি তার মূল্যায়নই হচ্ছে এই আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস বা স্মৃতিকথা ‘অতলান্ত পিতৃস্মৃতি’---এমন করে খোলামেলা খুঁটিনাটি কোনো স্মৃতিকথা আর কোনো বাঙালি লিখেছেন তার জন্মদাতা পিতৃদেবকে নিয়ে আমার অন্তত জানা নেই।]

কিসলুরা চলে গেল আমাদেরকে বিচ্ছিন্নতার সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে। মানিক সবচেয়ে বেশি দুঃখ পেলো। দুঃখের চেয়েও বলা ভালো মানসিকভাবে যথেষ্ট আঘাত পেলো। মীনার সঙ্গে সম্পর্কটা কতদূর এগিয়ে ছিল জানি না। গাড়িতে উঠার পর মীনার দুচোখও সজল হতে দেখেছি। বেশ কয়েকদিন বাসাটি ছিল ফাঁকা। আসা-যাওয়ার পথে কিংবা পার্কে যখন যেতাম বাসাটির দিকে চোখ পড়লেই বুকের ভেতরটা কেমন করে উঠতো। আহা, দুদিন আগেও কিসলু, মীনা, মিঠুরা ছিল এখানে! ঢাকায় পৌঁছে কিসলু মানিকের ঠিকানায় চিঠি দিয়েছিল। মানিকও কিসলু ও মীনাকে লিখেছিল। কিসলুর উত্তর এলেও মীনার কাছ থেকে কোনোদিনই সেই চিঠির জবাব আসেনি। তার এই মনোবেদনা আমাকেও আচ্ছন্ন করেছিল। এদিকে শিখাকে একটি নজর দেখার জন্য আমার সমস্ত আকাশ জুড়ে সেকি নীরব বিলাপ, হাহাকার কাকে বলি! কতদিন যে সন্ধের পর মানিক, স্বপন, বিষ্ণুকে ফাঁকি দিয়ে চা-স্টলে রেখে হেঁটে হেঁটে চলে গিয়েছি বজ্রপুরের ভেতর দিয়ে, নানুয়া দীঘি ঘুরে ডিগম্বরিতলায়---যদি দেখা হয়ে যায় আচমকা সেই আশায়। দেখা হয়নি। যে হতে যাচ্ছে রাজপ্রাসাদের ফুল সে কি আর ফুটপাতে দেখা দেয়!

শিখার বিয়ের সপ্তাহ খানিক পূর্বে বাবা একদিন অফিস থেকে ফেরার সময় নিমন্ত্রণপত্র নিয়ে এলো। মাকে বললো, ‘হরেনবাবু আজকে অফিসে এসেছিলেন। বেশ দুর্বল হয়ে গেছেন আগের চেয়ে। মেয়েটির বিয়ে এই মাসেই। এত অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে মেয়েটির ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিলেন। মহিলা কলেজে পড়ছে। বিয়ের পর নাকি পড়া চালিয়ে যাবে, সেই রকম কথা নাকি হয়েছে বরপক্ষের সঙ্গে। হরেনবাবু শিক্ষিত মানুষ হয়ে মেয়েটিকে জলে ফেলে দিচ্ছেন না তো?’ আমি নিজের ঘরে থেকে সব শুনছিলাম শুয়ে শুয়ে। অন্ধকার ঘরও আলোকিত হয়ে আছে শুল্কাদের উঠোন থেকে বিদ্যুতের আলো এসে। বাবার কথাগুলো শুনে মনটা বড়বেশি বিষণ্ন হয়ে পড়লো। একবার ভাবলাম, আচ্ছা, আমি এত ভাবছি কেন মেয়েটির জন্য? সে কে? সে আমার কে হয়? সেই কবেকার ছেলেবেলার খেলার সাথী বা প্রতিবেশী ছাড়া তো ওর সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক নেই আমার! প্রেমহীন একটি সম্পর্কের জন্য এত হা-হুতাশ করা নিছক ছেলেমানুষি নয় কি! একি উটকো ভাবনা এসে মাথায় চেপে বসলো!’ হ্যাঁ, সব যুক্তিই ঠিক আছে। কিন্তু মনের গহীন ভিতরে যে মুখটি আঁকা হয়ে গেছে সেই শৈশবে সেটা বিস্মৃত হতে পারছিলাম না বলেই এত কষ্ট, এত অশান্তি। কে যেন মনের পর্দা তুলে বললো, ‘এসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই। এটা একটা মায়া সময় হলে আপনা থেকেই মুছে যাবে। কিন্তু না সেটা কোনোদিন মুছে যায়নি আমার মন থেকে। পরে শুনেছিলাম ওর বরটা নাকি বয়স্ক ছিল। হায়, বাধ্য হয়েই কি শিখা অন্তর্জলি যাত্রায় পা রাখলো? অবশ্য বরের ছবিও দেখা হয়নি। সত্যিমিথ্যে জানি না। আর দেখার আগ্রহও নেই।’

মা অবাক কন্ঠে বললো, ‘তাই নাকি! এতকিছু তো জানি না। জানবো কোথা’ থেকে স্বাধীনতার পর তো আর দেখাই হলো না! মেয়েটাকে পড়ালেখা শিখিয়ে তারপর বিয়ে দিলেই পারতেন তারা।’ মা একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে আবার বললো, ‘শিখাটার কপালটাই মন্দ বলতে হবে। আমাদেরই বা কি করার আছে? দেখি দু/একদিনের মধ্যে একবার যাবো ওদের ওখানে। বিয়েতে তো যাবোই, আশীর্বাদ তো করতে হবে।’ বাবা বললো, ‘আমি তো ওই দিন নেই তার আগেই সিলেট যেতে হবে। মনে হচ্ছে সামনে সিলেটে বদলি হবে আমার।’ মা আবারও অবাক, ‘কবে! সিলেট কোন্ জায়গায়?’ ‘বর্তমান সরকার পাইলট স্কিম করেছে, পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে নিজ নিজ জেলা বা থানায় কাজ করতে হবে কয়েক বছর। তুমি যখন যাবে শিখাদের বাসায় পটুকেও সঙ্গে করে নিয়ে যেও।’ ‘কেন? ও গিয়ে কি করবে? বিয়ের দিন নাহয় যাবে ‘ মা বললো। ‘বিয়ের দিনও যাবে। তার আগেও গেলে ক্ষতি কী! হরেনবাবু যেতে বলেছেন, পটুকে অনেকদিন দেখেন না। তুমি তো জানো ভদ্রলোক খুব স্নেহ করেন ওকে।’ একটু থেমে যে কথাটি বাবা পরে বললো সেটা শুনে আমি আবার সজল হয়ে উঠলাম। বাবা একটু উষ্মা মিশিয়ে বললো, ‘সব কেন’র উত্তর নেই। মানুষের সঙ্গে মানুষের এমন কিছু সম্পর্ক থাকে যা দেখা যায় না বুঝে নিতে হয়। বললাম নিয়ে যেতে নিয়ে যাবে!’

বাবার কথা শুনে মনে হলো পুলিশের খাকি রঙের মোটা খসখসে ইউনিফর্মের আড়ালে এমন একজন সংবেদনশীল মানুষও থাকতে পারে, আশ্চর্য! একদিন দুপুরের পর কলেজ থেকে ফিরে এলে মা ভাত বেড়ে দিতে দিতে বললো, ‘শিখার বিয়ে আর কয়েকদিন পর। স্বাধীনতার পর ওদের সঙ্গে আর দেখা হয়নি। আজকে যাবো। তুইও চল্ আমার সঙ্গে। দেখে আসবি। ছোটবেলায় কত খেলেছিস, ঝগড়াঝাঁটি করেছিস মনে নেই?’ আমি যেন কিছুই জানি না এমন সাবলীল কন্ঠে বললাম, ‘আমি গিয়ে কি করবো। মুক্তিযুদ্ধের আগের কথা, আমি তো সব ভুলেই গেছি। তুমি যাও। মা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো। তারপর বললো, ‘তোর বাবাকে নাকি শিখার বাবা বলেছে নিয়ে যাবার জন্য, অনেকদিন দেখেন না। তোকে ওরা সবাই খুব ভালোবাসতো। .......তাছাড়া শিখার বিয়ে হয়ে গেলে আর কোনোদিন কথা বলার সুযোগ আসবে না। মানুষ কোথা’ থেকে কোথায় চলে যায়!’ বলে একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো মা। আমি বললাম, ‘জেঠুমশাই যখন দেখতে চান চলো যাই।

বেশিক্ষণ থাকতে পারবো না কিন্তু।’ ঠিক আছে কিছুক্ষণ থেকে চলে আসিস, আমি ছাতিপট্টি তোর সুধীর মামার বাসায়ও একটু যাবো ফেরার পথে, কাছাকাছিই তো। এখন তিনটা বাজে। পাঁচটার দিকে চল্। একটু বিশ্রাম করে নে। আমি রেডি হয়ে তোকে ডাকবো।’ কিছুতেই সুস্থির থাকতে পারছিলাম না আমি। শুয়ে, বসে, ঘরবার করে সময় কাটালাম। দুরু দুরু করছে বুকের ভেতরটা, কিছুতেই থামছে না। কী অদ্ভুত তীক্ষ্ণ এক যন্ত্রণা! কিছুতেই নিজেকে এই অনাহুত যন্ত্রণা থেকে বিযুক্ত করতে পারলাম না। রিক্সায় মার সঙ্গে বসে এটা সেটা নানা কথা বলে বুকের ধুকধুকুনিটা স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছিলাম। মুখের রং যাতে গাঢ় বা ফ্যাকাসে না হয় সেটাও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছিলাম ভেতর থেকে। এক সময় শিখাদের বাসার গেটের সামনে এসে দাঁড়ালো রিক্সা। সন্ধে হয়ে আসছে। গাছগাছালিতে অন্ধকারাচ্ছন্ন দোতলা বাড়িটিতে আলো জ্বলে ওঠেনি তখনো। সবুজ ঘাসের মাঝখানে একটি সরু পাকাপথ হেঁটে মা আগে আগে আর আমি পেছনে গিয়ে বারান্দায় উঠলাম। বারান্দায় একটি ডিভানের মতো রাখা। দরজা জানালা খোলা। পর্দা ঝুলছে। মানুষজনের কোনো সাড়াশব্দ নেই। সুনসান চারদিক।

আমি দম আটকে কঠিনভাবে দাঁড়িয়ে আছি। মা ডাকলো, ‘শিখা......ও শিখা। তোমরা কোথায়?’ ডাক শুনে পর্দা তুলে হালকা কমলা রঙের শাড়ি পরে, বিপুল কুঁকড়ানো খোলা চুলের একটি মেয়ে এসে দাঁড়ালো। সেই চিরচেনা কন্ঠে বললো, ‘ওমা কাকিমা!’ বলে টুক্ করে প্রণাম করলো মাকে। স্তম্ভিত হয়ে গেলাম সেই হাস্কি ভয়েস শুনে! কত বছর পর! গলার স্বরের একটুও পরিবর্তন হয়নি। প্রায় অন্ধকারে হলদেরঙা মুখটা দেখা গেল। শরীরও বেড়েছে নজরে পড়লো। হলুদমাখানোর অনুষ্ঠান হয়ে গেছে নিশ্চয়ই। মা পেছন ফিরে বললো, ‘পটু আয়। একটু দূরেই প্রায় অন্ধকারে দাঁড়িয়েছিলাম আমি। শিখা হয়তো দেখতে পায়নি আমাকে। এবার চমকে আমার দিকে তাকালো। এবং আমার বুকের ভেতরের সমস্ত শব্দ শান্ত হয়ে গেল তার এই চাহনিতে। বললো, ‘ও পটু তুমি! একদম বুঝতে পারিনি। এসো এসো ঘরে এসো।’ মনে হলো সহস্র বছর পর সেই আমার নামধরা ডাকটি শুনলাম। এক ঝলকের জন্য মনের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে শিমুল তলে শেষ দেখার দৃশ্যটি ভেসে উঠে মিলিয়ে গেল। মার পেছন পেছন ঘরে প্রবেশ করলাম। শিখা লাইট জ্বালিয়ে দিল কিন্তু বড় অনুজ্জ্বল সে আলো। বেশ বড় একটি ঘর। দুটি বিছানা পাতা। মাঝখানে টেবিল চেয়ার। পরিপাটি করে সাজানো। শিখা তাকালো না আর আমার দিকে, মাকে বললো, ‘কাকিমা বসুন। আমি মাকে ডেকে দিচ্ছি’, বলে অন্যঘরে চলে গেল। দু-এক মিনিটের মধ্যেই জেঠিমা এলেন।

বয়সের ভারে যেন আরও ছোট হয়ে গেছেন মনে হলো, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, পরনে মোটা কালো পেড়ে সাদা শাড়ি, সাদা ব্লাউজ। হেসে বললেন, ‘ওমা এত বছর পর পটুর মার আমাদের কথা মনে পড়লো’, বলে অভিযোগ করলেন। মাও পাল্টা অভিযোগ করে বললো, ‘হ্যাঁ, আমি না হয় ভুলেছিলাম, আপনারাও তো খোঁজখবর নিয়ে যেতে পারতেন। দাদা তো পটুর বাবার অফিসে যান। দাদা কোথায়?’ ‘উনি তো গতকাল একটু চাঁদপুর গেছেন দেশের বাড়িতে, শিখার বিয়ের ব্যাপারে। আগামীকাল থেকে মালামাল, আত্মীয়স্বজন আসা শুরু করবে। হলুদ কোটা শেষ হলো।’ ‘তপন, স্বপন কোথায়? রেখা আসবে না?’ ‘তপন তার বাবার সঙ্গে গেল চাঁদপুরে। স্বপন দুপুরে বেরিয়েছে এখনো ফেরার নামগন্ধ নেই। রেখা আগামীকাল আসবে। আর বড়টা তো কলকাতাতেই আর ফিরেনি এদেশে। খবর তো দেয়া হয়েছে, বিয়েতে আসে কিনা কে জানে। আপনার ছেলেমেয়েরা কে কেমন আছে।’ ‘আছে সবাই ভালো। ওই তো পটু। তারপরে ছেলে, আর তিন মেয়ে।’ জেঠিমা এবার আমার দিকে নজর দিলেন,

‘ওমা তুমি পটু! এত বড় হয়ে গেছো! বাহ্! সেই ছোট্টটি দেখেছিলাম যুদ্ধের আগে। তিনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। আমি তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলাম।’ ‘আশীর্বাাদ করি মানুষ হও বাবা।’ তিনি শিখাকে ডাকলেন, ‘ও শিখা। দ্যাখ্ না পটু কত বড় হয়ে গেছে! দেখেছিস?’ শিখা এসে পর্দা তুলে দাঁড়ালো, ‘দেখলাম তো। ভিক্টোরিয়া কলেজে সেকেন্ড ইয়ার এবার। সাহিত্যচর্চা করে তাও জানি’, বলেই আবার ফিরে চলে গেল। জেঠিমা বললেন, ‘ওমা তাই নাকি! সাহিত্যচর্চা করো, ভালো। ছেলেদের বাড়তি কিছু গুণ না থাকলে কি চলে?’ এরপর দুজনে মুক্তিযুদ্ধ, শরণার্থীজীবন, স্বদেশফেরা, সমস্যা ইত্যাদি বিষয়ে মশুগুল হয়ে গেল। আমি বাইরে এসে ডিভানে বসে রইলাম। বারান্দায় লাইট জ্বলছে এখন। বেশ পরিষ্কার। বাল্বের চারদিকে মশা, নানা রকম গুঁড়ি গুঁড়ি পোকা উড়ছে। গুন গুন শব্দ। একটু পরেই কাপ পেয়ালার শব্দ পেলাম। শিখা তাহলে আমার খবর রাখে! শুনে বিস্মিত যেমন হলাম, তেমনি কী যে ভালো লাগলো! বিষণ্নতা মিশ্রিত শূন্যতাটা আপাতত যেন কোথায় মিলিয়ে গেল। একটা সিগারেট টানতে খুব ইচ্ছে করছিল। এমন সময় ট্রেতে করে চা নিয়ে এলো শিখা। রাখলো আমার সামনে নুয়ে। অস্পষ্ট স্বরে বললো, ‘আর কোনোদিন দেখা হবে ভাবিনি। কেমন আছো?’ চমকে শিখার উজ্জ্বল মুখের দিকে তাকালাম। সহসা মনে হলো একটা তীক্ষ্ণ তীরের ফলা আমার বুক ভেদ করে চলে গেল।

আমি একটু আত্মস্থ হয়ে জবাব দিলাম, ‘ভুলে গিয়েছিলে ভেবেছিলাম। বড্ড দেরিতে আবার দেখা হলো। কেমন আছি কী করে বলি! ......তুমি কেমন আছো?’ একটু চমকে কোনো উত্তর না দিয়ে শুধু বললো, ‘আমি?’ তারপর ত্রস্ত পায়ে চলে গেল ঘরের ভেতরে। আমিও আর বসে থাকতে পারলাম না। গরম চা’টা দ্রুত শেষ করলাম। তারপর মাকে বললাম, ‘আমি যাচ্ছি মা। তুমি এসো পরে।’ মা বললো, ‘আমিও আর বেশিক্ষণ বসবো না। তোর মামার বাসায় যাবো।’ জেঠিমাকে নমস্কার জানিয়ে বললাম, ‘জেঠিমা আসি। আমাদের বাসায় আসবেন কিন্তু!’ ‘এসো বাবা। বিয়ের দিন এসো কিন্তু! না এলে তোমার জেঠু রাগ করবেন’ বলে আমাকে উঠে এসে বারান্দা পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন। আমি পেছন ফিরে এক ঝলক দেখলাম, না আর কেউ নেই। ...চলবে

আলোকচিত্র : বামে, ধর্মসাগর পশ্চিম পাড় দেয়ালের ওপাশে কিসলুদের একদা বসবাসকারী বাড়ি। ডানে, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ যেখানে আমি আইএ পড়েছি।


লেখক : জাপানপ্রবাসী

(এএস/জুলাই ২১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test