E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অতলান্ত পিতৃস্মৃতি দ্বিতীয় অধ্যায়, পর্ব ১৮

২০১৪ জুলাই ২৯ ০৯:৪১:০২
অতলান্ত পিতৃস্মৃতি দ্বিতীয় অধ্যায়, পর্ব ১৮

প্রবীর বিকাশ সরকার : [ভূমিকা : আমার ৫৫ বছরের জীবনে বাবার সঙ্গে কেটেছে মাত্র ২৪-২৫টি বছর! জ্ঞান হওয়ার পর থেকে যেভাবে বাবাকে দেখেছি, চিনেছি, জেনেছি এবং বুঝেছি তার মূল্যায়নই হচ্ছে এই আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস বা স্মৃতিকথা ‘অতলান্ত পিতৃস্মৃতি’---এমন করে খোলামেলা খুঁটিনাটি কোনো স্মৃতিকথা আর কোনো বাঙালি লিখেছেন তার জন্মদাতা পিতৃদেবকে নিয়ে আমার অন্তত জানা নেই।]

কোমল প্রকৃতির আমি কিছুতেই মন থেকে দূর করতে পারলাম না ঘটনাটি। ওই গানটি আর শোনার প্রবৃত্তিই হলো না। ভুলতে চাইলাম। রেকর্ডটি মার স্টিলের ওয়ারড্রবের ড্রয়ারেই রেখে দিলাম। ‘স’র থমথমে রাগতো মুখটি বার বার এসে মনের পর্দায় ভেসে উঠতে লাগলো। সত্যি অনুতপ্ত মন আমার একসময় গভীর রাতের শিশিরের জলে সিক্ত হয়ে উঠলো। এর পর স্বপনও আর কিছু বললো না, আমিও প্রসঙ্গটি তুললাম না। জানতে খুব ইচ্ছে হয়েছিল, ‘স’ আর এসেছিল কিনা? কিছু বলেছিল কিনা? ঠিক সাতদিন পরের ঘটনা। স্বপন স্টেডিয়ামের যে দোকানে পার্টটাইম কাজ করে সেখানেই আড্ডা দিই সকাল এবং সন্ধেবেলা। খসরুভাই, শাহজাহানভাই, বাবুলভাই, শিমুলভাই, ফারুকভাই আরো অনেকে। স্বপনের দোকানটি ইলেকট্রনিক্সের দোকান।

ইলেকট্রনিক্সের মালামাল খুব একটা নেই তবে গানের রেকর্ড, গানের ক্যাসেট বিক্রি হয়। সম্প্রতি জাপানি ক্যাসেট ও হালকা রেকর্ড প্লেয়ার আসতে শুরু করেছে। রেকর্ড থেকে ক্যাসেটে গান তুলে বিক্রি করা হয় আবার কাস্টমারের অর্ডার অনুযায়ী গান রেকর্ড করে দেয়া হয়। মন্দ নয় কাজটি। সারাদিন ভারতীয় গানই বেশি বাজে। এই দোকানের পাশেই একটি ছোট্ট ঘরে অবসরপ্রাপ্ত এক ক্যাপ্টেন সাহেবের চা-স্টল। একটি টেবিলকে ঘিরে তিন দিকে তিনটি কাঠের বেঞ্চি। সেদিন সকাল বেলা বেবীসহ ‘স’ এলো গানের ক্যাসেট নিতে। তাদের আসতে দেখে আমি বেরিয়ে ক্যাপ্টেন সাহেবের দোকানে গিয়ে একটি চা নিয়ে বেঞ্চিতে বসে পান করছি। আজকে পরেছে কলেজগামী লাল পেড়ে সাদা শাড়ি দুজনেই। মনে হয় কলেজে কোনো অনুষ্ঠান আছে। কিছুক্ষণ পরেই আমার সামনে দিয়ে একই রিক্সায় করে দুজনে চলে গেল। এক ঝলক শুধু তাকালো, কিন্তু মুখে কোনো বিরাগ দেখলাম না।

কিছুটা আলো পেলাম, মনটা একটু হালকা হলো, ভোরের অন্ধকার যেমন সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পাতলা হতে থাকে সেরকম। দুপুরে ফেরার পথে স্বপন বললো, ‘দোস্ত্, সত্যি তোর মধ্যে একটা কিছু আছে। মনে হচ্ছে ‘স’ হেলে যাচ্ছে তোর দিকে। বার বার তোর দিকে তাকাচ্ছিল যখন ক্যাপ্টেন সাহেবের দোকানে চা খাচ্ছিলি। সাবধানে পা ফেলিস। তা না হলে ‘গ’ ছুটে যাবে।’ আমি বললাম, ‘আমি খুবই সাধারণ একটি ছেলে এবং মোটেই সুশ্রী নই। যখন কোনো রূপসী মেয়ে আমার দিকে তাকায় তখন ভাবি ঈশ্বরের কারসাজি ছাড়া আর কিছু নয়।’ ‘হ্যাঁ ঠিকই বলেছিস। এও শ্রীকৃষ্ণেরই লীলা। কখন কী যে হয় কে জানে।’ ‘কী আর হবে। নরনারীতে যা হয় তাই হবে,’ আমি কেন যেন হঠাৎ করে খুব উৎফুল্ল হয়ে উঠলাম। আমার প্রিয় কবি ফখরুল হুদা হেলালের কলকি ধরার মতো করে বললাম, ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম, পেট কি দিলে জাগে সদা নূর-এ ইসলাম, আপ ক্যায়া সাচরাইয়ে হরিক চিতারাম, ভোম শঙ্কর টিলা টঙ্কর পাহাড় পর্বত সব সমান......চল্ আজকে ঠাকুরপাড়া শশ্মানে কলকি পার্টি আছে শাহআলমদের। চল্ যাওয়া যাক।’

স্বপন গোঁফে আঙুল বুলিয়ে বিগলিত কন্ঠে বললো, ‘দোস্ত, এতো বড় সুখের খবর! আনন্দের খবর! চিরজীবন তোর কাছ থেকে আমি আর কিছুই চাই না, শুধু ভুইল্যা, শুধু কলকি, শুধু ককটেল পার্টির সুখবর দিবি। ব্যাস্ তাতেই আমার জীবন সার্থক হয়ে যাবে। তোদের মতো শুকনো প্রেমপিরীতি আমার আবার সয় না!’ ‘তাই বুঝি দুবাহুতে দুই সুন্দরী ধরে আছিস? নতুন জোটেনি এর মধ্যে?’ আমি বললাম। ‘আমার কপালে আবার জোটে না বুঝলি, জুটিয়ে নিতে হয়। তোর কথা আলাদা, তুই শ্রীকৃষ্ণের কপাল নিয়ে জন্মেছিস। তবে শ্রীকৃষ্ণ আমাকেও একেবারে নিরাশ করেননি, মাঝে মাঝে দু/একটি অ্যালোট করেন। তাতেই অভাগা খুশি। তাই আমি শ্রীকৃষ্ণের বন্দনা ছাড়া আর কারো ছায়া মাড়াই না।’ স্বপন মুচকি হাসলো। এর কয়েকদিন পরেই স্বপনের দোকানে আবার দেখা। এবার সে একা।

আমি উঠে যাচ্ছিলাম দেখে সে বললো, ‘যাচ্ছেন কেন? আমি বেশিক্ষণ থাকবো না, এখনই চলে যাবো। বসুন।’ আমি অগত্যা বসে পড়লাম। সে কয়েকটি ক্যাসেট নিয়ে চলে গেল। ঠিক একটু পরেই আবার ঘুরে এলো। এসে সরাসরি খুব স্বাভাবিক কন্ঠে বললো, ‘এই রোববারে আসবেন আমাদের বাসায়। স্বপন, বেবীও আসবে।’ স্বপনের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘উনাকে নিয়ে আসিস কিন্তু।’ বলেই চলে গেল। স্বপন বললো, ‘কত যে গান শোনে! সব বিরহের গান। আমার কী, মালিকের ব্যবসা ভালো হচ্ছে।’ আমি বললাম, ‘তাই?’ নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেলাম না আমি। এভাবে চলে যাওয়া যায় না কারো বাসায় হুট করে। আত্মমর্যাদা আমার বরাবরই প্রখর। স্বপন টানাটানি করেছিল আমি যাইনি। রাতে বিষ্ণু, শঙ্কর, মঞ্জুর সঙ্গে পার্কে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। স্বপন ঢেঁকুর তুলতে তুলতে এলো। বললো, ‘মাইরি দারুণ হয়েছে পার্টি। ‘স’র বোনঝির জন্মদিন ছিল।’ পরে ওদের অগোচরে বললো, ‘খুব সুন্দর সেজেছিলরে। মিস করলি চমৎকার একটি সন্ধ্যা। আমাকে বকাঝকা করলো খুব কেন তোকে নিয়ে গেলাম না! তোকে যে মনে ধরেছে তাতে আজ নিঃসন্দেহ হলাম। নে বাবা এবার ঠ্যালা সামলাও। এরপর তোমাকে ধরবে যেখানে পাবে। রেডি থেকো।’ আমি বেশ ঘাবড়েই গেলাম। যত চাই একলা থাকতে ততই জড়িয়ে পড়ি মাকড়াসার জালে। কয়েকদিন আর স্বপনের দোকানে বা বাসায় যাইনি। এর মধ্যে একদিন তাজ্জব ঘটনা ঘটলো।

ছোটরার দীপুর সঙ্গে সকালে আড্ডা মেরে বিকেলের দিকে ওদের বাসায় খাওয়াদাওয়া করে বাসায় ফিরলাম। দীপু আর কলেজে ভর্তি হয়নি। পড়ালেখার প্রতি বরাবরই ছিল উদাসীন। দলিল রেজিস্ট্রি ভবনে চাকরি নিল। চৌধুরী পাড়ায় কালিবাড়ির পেছনে জায়গা কিনে বাড়ি করেছে। জোর করলো বাড়ি দেখার জন্য তাই গিয়েছিলাম। ফিরে যেই বাসার বারান্দায় উঠলাম অমনি শুনতে পেলাম ভিতরে মেয়েলি কথাবার্তা। পর্দা ফাঁক করে দেখলাম মা, ছোটবোন, শুক্লা ও ‘গ’ কি নিয়ে যেন কথা বলছে বেশ জোরেশোরেই। আমাকে দেখে সবাই হঠাৎ চুপ। চোখাচোখি হয়ে ‘গ’র সঙ্গে। মা বললো, ‘কিরে কোথায় ছিলি? দুপুরে যে ফিরলি না?’ বললাম, ‘দীপুর সঙ্গে ছিলাম। ওদের বাসায় খেয়েছি। এককাপ চা দিয়ে তো আমাকে। এখন আর স্নান করবো না। সন্ধ্যায় করবো।’ বলে আমি আমার ঘরে চলে এলাম। কিছুক্ষণ পর মা চা দিয়ে গেল। চা পান করছিলাম। শুক্লা জানালার কাছে এসে বললো, ‘কেমন আছো?’ আমি হাসলাম, ‘হঠাৎ করে এ প্রশ্ন কেন? প্রতিদিনই তো দেখা হচ্ছে। খারাপ কিছু হলে তো জানতে।’ ‘বা--রে। কুশল জিজ্ঞেস করা যায় না! তোমার লেখালেখি কেমন চলছে?’ ‘লিখছি তো। না পড়লে জানবে কি করে?’ ‘হু, এখন তো কলেজ বন্ধ, লাইব্রেরিতে যাওয়া হয় না, পত্রিকা, ম্যাগাজিনও পড়া হচ্ছে না।’ ‘তা হঠাৎ কী মনে করে এ শুভাগমন?’ ‘সেটা তাকে জিজ্ঞেস করলে হতো না? আমি কি ওর প্রাইভেট সেক্রেটারি নাকি! যা বললে আর কি!’ ‘বাহ্। রাগের কী হলো? কারণটা জানা থাকলে বলো, ইফ নাথিং দ্যাটস নাথিং!’ আমি বললাম। ‘তোমাকে দেখতে চেয়েছিল বোধ’য়। তাই অতদূরে মামার বাড়িতে এসেছে। আর তোমাদের ঘর দেখতে?’ শুল্কার মুখে মুচকি হাসি। ‘ঘর দেখতে! সে আবার কী? আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেবে নাকি ওর বাবা-মাকে!’ ‘ছি! ছি! ছি! কী যে বলো না বলো। আমার কথায় কী সেই অর্থই ছিল? তুমি সত্যি একটা গাধা। .....কোথা থেকে শুনেছে তোমরা নাকি এ বাসা ছেড়ে দেবে তাই ওরা মামার বাসার কাছাকাছি আসতে চায়। ভাড়া নিতে আগ্রহী। বাড়ির ভেতরটা কেমন তাই দেখতে এসেছিল।’ ‘তা কেমন দেখলো?’ ‘পছন্দ করেছে। তোমার ঘরেও এসেছিল। কেমন লাগলো ওকে দেখে।’ ‘হুম। আগের মতো অত চঞ্চলতা নেই যেন। বেশ গাম্ভীর্য এসেছে চোখেমুখে। মন্দ নয়।’ ‘আমারও তাই মনে হয়েছে। মনের পরিবর্তন মানুষের বাহ্যিক পরিবর্তনও ঘটায়। এর মধ্যে নাকি বিয়ের প্রস্তাবও আসছে।’ শুক্লা হঠাৎ করে বৃষ্টি নামিয়ে মনটা ভিজিয়ে দিয়ে গেল।

মানবেন্দ্রর একটি গান মনে পড়লো, ‘এই মৌসুমি মন / শুধু রঙ বদলায় / এই মৌমাছি মন / মরে মৌ পিয়াসায়......।’ আমার মনে হলো, মন নয়, মৌসুমী জীবন। কতজন আসবে যাবে, কিইবা করার আছে! সন্ধেবেলা মা বললো, বাড়ির মালিক নাকি আগামী বছর বাড়িটা সংস্কার করবেন। তোর বাবাকে নাকি চিঠি দিয়েছে। আবার বাসা বদল না করলে নয়। এই জীবনে আর আমাদের কি নিজের বাড়ি হবে না?’ মা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। মনটা কেমন করে উঠলো আমার। মার একটি বাড়ির স্বপ্ন আছে আমি জানি। সেদিন মনে মনে প্রতীজ্ঞা করেছিলাম, মাকে একটি বাড়ি করে দেবো। গ্রীষ্মের ছুটিও শেষ হয়ে আসছিল। তাড়াতাড়ি ক্যাম্পাসে যেতে মন চাইছিল। এবার গিয়ে হলে উঠবো এই আনন্দাটা প্রবল হচ্ছিল ক্রমশ। কুমিল্লা ছাড়ার কয়েক দিন আগে হঠাৎ করেই স্বপনের বাসায় দেখা হয়ে গেল আবার ‘স’র সঙ্গে। আমি অপ্রস্তুত হয়ে পড়লাম। ক্ষমা চাইবো কিনা ভাবার আগে জেরা শুরু হয়ে গেল, ‘সেদিন আসলেন না যে! সৌজন্যতাবোধও নেই বলেই মনে হয় আপনার আশ্চর্য!’ সবাই তার কথা শুনে অবাক এবং থতমত খেয়ে গেল! আমি তো অভাবনীয় এই ঘটনায় রক্তাক্ত হয়ে গেলাম মরমে।

শুনেই স্বপন দাঁড়িয়ে উঠে ধমকে দিল, ‘এ্যাই কী সব বলছিস! মানুষের সুবিধে-অসুবিধের একটা ব্যাপার আছে ‘স’। এভাবে বলাটা অভদ্রতা।’ ‘এ্যাই! তুই চুপ থাক্!’ বলে স্বপনকে উল্টো ধমকে দিল ‘স’। আমি বললাম, ‘সরি। অন্যকাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম তাই......।’ ‘ব্যস্ত তো সবাই। এদেশে বেকারও ব্যস্ত থাকে। পাগলও ব্যস্ত’, বলে এবার অভিমানমাখা হাসি হাসলো। বিকেল হয়ে গেছে। আড্ডা দিতে দিতে সময় বুঝতে পারিনি। বললাম, ‘যাওয়া দরকার। মা দুচিন্তা করবে সেই সকালে বেরিয়েছি।’ স্বপন বললো, ‘চল্ আমিও দোকানে যাবো। রেডি হয়ে নিই’, বলে পাশের ঘরে চলে গেল। বেবী এর মধ্যে দুপুরের ঘুম দিয়েছে। ঘরে আমি আর সে, বসেছিল চেয়ারে হাতে একটা ম্যাগাজিন। আমি সিগারেট ধরিয়ে বারান্দায় গেলাম। কখন এসে সে পাশে দাঁড়ালো, বললো, ‘এত ঘন ঘন সিগারেট খান কেন বলুন তো? ও আপনি তো আবার লেখক মানুষ। অনেক লেখক সিগারেট ছাড়া থাকতে পারে না শুনেছি।’ অন্যভাবে তাকে ঘায়েল করার জন্য বললাম, ‘আমাদের মতো সৌজন্যতাবোধ যাদের নেই, গেঁয়োভূত তাদের বন্ধু হিসেবে সিগারেট-তামাক ছাড়া আর কিছু কি আছে বলুন?’ তীর্যক চোখে তাকালো আমার দিকে, ‘কথাটি যখন আমাকে ফিরিয়েই দিলেন বলতে বাধা নেই, আপনি সত্যি গেঁয়ো।’ ‘শুনেছি আপনি রাজধানীর মেয়ে। আপনার শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্মার্টনেসের সঙ্গে আমাদের কী তুলনা করে চলে!’ ‘বুঝেছি। আপনাকেই আমার দরকার। আপনার বন্ধু হয়ে আপনাকে মানুষ করে ছাড়বো।’ ‘মানুষ পিটিয়ে গরু করা যায়। গরু কখনো মানুষ হয় না। আর আমার যে লাইফ স্টাইল সে সম্পর্কে আপনার ধারণা নেই।’ এবার রেগে গেল, ‘আচ্ছা। এভাবে কথা বলেন কেন আপনি! আমার সঙ্গে কথা বলতে ঘেন্না করে বুঝি! আমি কী মানুষ নই?’ চমকে উঠলাম আমি। আর কোনো কথা আমার মুখ থেকে সরলো না।

ঘটনাটা এর পর এত দ্রুত নাটকীয়তার দিকে চলে গেল যে আর নিজেকে সামাল দিতে পারলাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাওয়ার মাত্র একদিন আগে আমার নিজের থেকেই ইচ্ছে হলো ওদের বাসায় যাওয়ার। কিন্তু বলতে পারছিলাম না স্বপনকে। বরং উল্টো ঘটনা ঘটলো। স্বপন বললো, ‘দোস্ত্ যাবি নাকি ‘স’দের বাসায়। আজকে দোকান বন্ধু। বিষ্ণুও গ্রামে গেছে। সন্ধ্যেবেলা ‘স’র ওখানে আড্ডা মেরে আসি চল্।’ আমি চাতক পাখির মতো বৃষ্টির জল মুখে লুফে নিলাম।.... চলবে।

আলোকচিত্র: বামে, কুমিল্লা স্টেডিয়ামের এই সেই স্থান যেখানে মেজর সাহেবের দোকানের পাশে ছিল ক্যাপ্টেন সাহেবের চা স্টল। ডানে, কুমিল্লার কবিকুলের শিরোমণি ফখরুল হুদা হেলাল যার মেঘমল্লার কন্ঠস্বর আজও অভিভূত করে যেমনটি করেছিল কৈশোরে।


লেখক : জাপান প্রবাসী

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test