E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বর্তমান যুক্ত ফ্রন্ট ও ব্যক্তি বিচার

২০১৮ সেপ্টেম্বর ০৫ ২৩:৫৮:৩৯
বর্তমান যুক্ত ফ্রন্ট ও ব্যক্তি বিচার

মানিক বৈরাগী


সমসাময়িক রাষ্ট্র, রাজনীতি নিয়ে মাঝে মাঝে আমি ফেইসবুকে আত্মমত ব্যক্ত করি ক্ষুদ্র আকারে। সপ্তাহ ধরে দৈহিক ভাবে অসুস্থ। প্রছন্ড জ্বর, দাঁত ও নাসারন্ধ্র সমস্যায় কাহিল আছি। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম মিলিয়ে ডাক্তার বন্ধুদের মহানুভবতায় কিছুটা স্বস্থি ফিরে পেয়েছি।আমার কিছু পাঠক আছে, এর মধ্যে সুশীল, রাজনৈতিক কর্মী, সংস্কৃতি কর্মী বান্ধব আছেন।

গতকাল এক শুভার্থী ফোনে কহিল ইদানিং টক ঝাল মিষ্টি মাখা কোন চনাচুর পাচ্ছি না আপনার পোষ্টে।আমি তাকে আমার দৈহিক অবস্থা জানিয়ে ঐহিক দোয়া চাইলাম। তিনি কহিলেন সাম্প্রতিক যুক্তফ্রন্ট নিয়ে একটি পোষ্ট লিখতে কইল। এখন একটু সুস্থ আছি, তাই তার অনুরোধ রক্ষা। এই পোষ্ট বিগত পাঠ স্মৃতি থেকে।

যুক্তফ্রন্ট রাজনৈতিক জোটটি আসলে সোহরাওয়ার্দি, মাওলানা ভাসানি, ফাতেমা জিন্না, শেখ মুজিবুর রহমান সহ অনেকের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল। বর্তমান যুক্ত ফ্রন্টটি এমন হলে খুব ভালো হতো। ঐ যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মাইল ফলক ছিলো। ৫৪র যুক্তফ্রন্ট্র নির্বাচন ও সরকারের মন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তখোন মন্ত্রী হয়ে শেখ মুজিবুর রহমান কক্সবাজার কে বিশ্বের অন্যতম একটি স্বাস্থ্যকর নগরিতে পরিনত করার উদ্যোগ হিসাবে সৈকতে ঝাউবাগান সৃষ্টি করেছিলেন, পর্যটন লজ তৈরি করেছিলেন।সেই পর্যটন লজটি একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনী টর্সার সেল হিসাবে অপরাধ কাজে ব্যবহার করতো। সেই সময়ের আওয়ামীলীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধারা আমার থেকে আরো ভালো জানবেন। বর্তমান যুক্তফ্রন্টের নেতারা কি? কেন? কারা? এসব প্রশ্ন করলে পাঠকের মগজে অনেক তথ্য উদিত হবে।

প্রথম-ড.কামাল হোসেন, বিজ্ঞ আইনজীবী, সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক। বঙ্গবন্ধু একটি সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছিলেন। ড.কামাল হোসেন কে ঐ কমিটির প্রধান বানিয়েছিলেন। তখোন বঙ্গবন্ধু যদি ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম কেও প্রধান করতেন, তাহলে আজকে হয়ত আমরা আমিরুল ইসলাম কে ই আবেগী ভাবে বলতাম বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা। এখন অনেকেই যারা ড. কামাল হোসেন সাহেব কে সংবিধান প্রণেতা হিসাবে জাহির করি। এই কথা টি ড. কামাল হোসেনের উপস্থিতিতেই তাঁকে সম্ভোধন করে থাকেন। প্রশ্ন হচ্ছে ড. কামাল হোসেন যদি নৈতিক ভাবে মহৎ ও সৎ হতেন তাহলে তিনি বলতেন "আমি একক ভাবে সংবিধান প্রণয়ন করিনি, আমি মুলত দেখবাল ও সমন্বয় করেছি। প্রয়োজনে মতামত ব্যক্ত করেছি, সম্পাদনা, সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন করেছি মাত্র। কিন্ত তিনি তা কখনো বলেছেন কি না কেউ কি বলতে পারবেন? আমার মতো নাখান্দা নালায়েক মুর্খ, ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে একটি কু সু কথাও মানায় না। এই অভদ্রতার জন্য পাঠক পাঠিকারা আমাকে মার্জনা করবেন, এই উদ্যতপনার জন্য, ক্ষমাও চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু যাহা সত্য ও ন্যায় তা বাপের কোলে বসে বলার জন্য নবীজির হুকুম আছে।

৭৫র ১৫আগস্ট এর পূর্বে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের সাথে বাকশাল বিতর্কে জমিয়ে, মইনুল হোসেন আওয়ামীলীগ থেকে অনেক আগেই পদত্যাগ ও বঙ্গবন্ধুর সাথে অসৌজন্য মুলক আচরণ করে চলেছেন। আর আগষ্টের কয়েকমাস আগে ড. কামাল হোসেন কড়াইয়ে ঘি ঢেলে বিদেশ চলে যান। ফিরেন ৭৫র এর পর। আওয়ামী রাজনীতির চরম বিরোধী সমাজতন্ত্রী কথা সাহিত্যিক, দার্শনিক আহমদ ছফা,দৈনিক মানব জমিনে তাঁর এক স্বাক্ষাতকারে বলেছেন ড.কামাল হোসেন মীর জাফরের বংশধর এবং তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তাঁর কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে। ড.কামাল হোসেন কে বাম পন্থিরা সি আই এর এজেন্ট হিসাবে কথায় কথায় গাল মন্দ পাড়তেন। তাঁর স্ত্রী ও পাকিস্তানি, উর্দু ভাষি হামিদা হোসেন। তিনি বাংলাদেশে এনজিও কার্যক্রমে জড়িত। সুতরাং এবার ড. কামাল হোসেনের বাসায় বৈঠকের সময়, যুক্ত ফ্রন্টের অপরাপর নেতাদের বিনয়ের সহিত আকুল আবেদন করেন তিনি আর গরম বক্তব্য রেখে যেনো বিদেশ চলে না যান। তাঁর কন্যা ব্যারিস্টার সারা হোসেন, দারুন বিনয়ী ও মেধাবী আইনজীবী। কিন্তু সারার স্বামী বাংলাদেশে একজন বিতর্কিত বিদেশি সাংবাদিক। ইহুদি বংশোদ্ভূত ইসায়ি ধর্ম বিশ্বাসি ডেভিড ভার্গম্যান।

অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, পেশায় সু চিকিৎসক ও রাজনীতিবিদ। ওনার পিতা কফিল উদ্দিন চৌধুরী ভাসানি অনুসারী আওয়ামীলীগ নেতা ও এমপি। ডাক্তার সাহেব ছাত্রাবস্থায় ছাত্র ইউনিয়ন, মাও ইষ্ট ভাবধারার ছাত্রনেতা ছিলেন। ছাত্রাবস্থায় সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও যুক্ত ছিলেন। সুপাঠক মার্জিত রুচি সম্পন্ন একজন মানুষ। ৭৫র এর পর যাদু মিয়া ও জিয়ার হাতধরে জাগদল থেকে বিএনপি নেতা। যেদিন জিয়া সামরিক উভ্যুত্থান ঘটে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে তখোন তিনি গভির ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। সামরিক সেনারা তাঁর কেশাগ্র ও স্পর্শ করল না। তিনি নিরাপদে বাড়ী ফিরলেন, চৌধুরী ক্লিনিকে। তখোন কথা রটেছিল তিনি ডাবল স্ট্যান্ড ম্যান্টেন ((Double Stand Maintained ) করেন, আইএসআই ও র’এর সাথে। তাই তারা তাঁর নিরাপদ ঘুমের যেনো ব্যাঘাত না হয় সেদিকে সতর্ক ছিলো। বন্ধুত্ব ছিলো এরশাদের সাথে। যেমন ছিলো জাতিয় পার্টি ও বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর শওকত আলীর। ডাক্তার বি চৌধুরী বিএনপির জন্য বিশাল অবদানটি হলো সালসা (সাহাবুদ্দিন, লতিফুর, সাইদ)র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এটিএন (ড.মাহফুজ)এর টিভি চ্যানেলে তিনি একটি ম্যাগাজিন অনুষ্টান পরিচালনা ও উপস্থাপনা করতেন। যার টাইটেল নাম শাবাশ বাংলাদেশ। এই ম্যাগাজিন অনুষ্টানের মাধ্যমে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বিশোধঘার করতেন। আর একহাতে কোরান ও গীতা নিয়ে সারা দেশে চরম সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প ছড়াতেন। সাম্পদায়িক হামলা নির্যাতন বৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদান রাখেন। তারই ফলস্বরুপ চার দলিয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসেন। এর পর চারদলিয় জোট তার অবদান কে সম্মান জানিয়ে তাকে রাষ্ট্রপতি বানান। তাঁর গুণধর সন্তান মাহি বি চৌধুরী বিটিভি তে পিতার উত্তর সুরি হিসাব এক ঘন্টার একটি ম্যাগাজিন অনুষ্টান করতেন প্রতিদিন রাত ৮টার সংবাদের পর। মাহি বিটিভি ও অন্যান্য টিভি চ্যানেলের একচ্ছত্র বিজ্ঞাপন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে। এতেই বিপত্তি ঘটে হাওয়া ভবনের সাথে। তখোন বেগম জিয়ার আর এক গুণধর পুত্র আরাফাত রহমান কোকোও বিজ্ঞাপন ব্যবসা শুরু করে। এর পরে ঘটনা আপনারা জানেন।

পরে তিনি বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে বা বের করে দেয়ার পর গড়ে তোলেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল। এই বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব বা সাধারণ সম্পাদক মেজর(অব:)আব্দুল মান্নান সুবেশধারি একজন যুদ্ধাপরাধী। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন। ভারত বাংলাদেশ যৌথবাহিনীর হাতে পরাজয়ের সময় পাকি বাহিনীর প্রধান নিয়াজির সাথে আত্মসমর্পন করেন। ফিরে যান পাকিস্তানে। পরবর্তীতে পাকিস্তানে যুদ্ধবন্দি বাঙ্গালি সৈনিকদের সাথে দেশে ফেরেন। যেমন ফিরেছেন প্রাণ গ্রুপের মেজর আমজাদ তেমনি মেজর মান্নান। তিনি পচাত্তর ষড়যন্ত্রের সময় সহ গোত্রীয় বলে অনেকেই ধারনা করে থাকেন। সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর গড়ে তোলেন শিল্প গ্রুপ, মেজর আমজাদ যেমন প্রাণ পানিয় ব্যাবসা ঠিক তেমনি মান্নান সাহেবও সানক্রেস্ট পানিয় ব্যাবসা শুরু করেন। জোট সরকারের সময় তারেক রহমান অনুসারিরা সাভারে তাঁর শিল্প প্রতিষ্টানে হামলা চালায়। এই মেজর মান্নান আবার ডাক্তার সাহেবের পারিবারিক আত্মিয়। তিনি সংসদের এমপি ও মন্ত্রী হয়েছিলেন, বিএনপির টিকেটে।

জাসদ (রব) বহুদা বিভক্ত জাসদের একটি অংশের নেতা আসম আব্দুর রব। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর নেতা ছিলেন, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর নেতা ছিলেন। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর উদ্যোগে অনুষ্টিত বাংলাদেশের পতা উত্তোলনের সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর নেতা হিসাবে সংগ্রাম পরিষদ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের পতকা উত্তোলন করেন। এটি তাঁর একক কৃতিত্ব নয়। স্বাধীনতার পর তাহারা আওয়ামীলীগ ও পিতা মুজিবের সাথে বিরোধীতা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কে দ্বিধাবিভক্ত করেন। পরবর্তীতে জাসদ নাম দিয়ে একটি প্রতিবিপ্লবী রাজনৈতিক দল গঠন করেন। জার্মানের হিটলারের পার্টির নামানুসারে, এই পার্টির নাম হয় জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জাসদ)। এর তাত্তিক গুরু ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর আর এক নেতা সিরাজুল আলম খান। তিনি পাকিস্তানের বিরাট এক আমলার সন্তান।

খান ও রব পরস্পর রক্ত সম্পর্কিত আত্মিয়। সর্বহারা পার্টি (আব্দুল হক)বা পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির তরুণ ছাত্রনেতা, কর্মী কবি ফরহাদ মজহার ও সিরাজুল আলম খান, আসম আব্দুর রব পরস্পর আত্মিয়। রব এরশাদ এর গৃহ পালিত ৭০র দলিয় জোটের বিরোধী দলিয় নেতা ছিলেন। ১৯৯৬এ আওয়ামীলীগ জাসদ রব এর ১সিটের সমর্থনে সরকার গঠন করেন। তাঁকে মন্ত্রীও বানানো হয়। মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে জাসদ ইনু আবার রব এর সাথে একিভুত হয়। এই একিভুত জাসদের বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরেফ আহমদকে জাসদ এর সমাবেশে জাসদের প্রাক্তন গণবাহিনীর হাতে প্রকাশ্য স্বস্ত্র হামলাকারীরা কাজী আরেফ আহমদ কে হত্যা করে। আরেফ আহমদ হত্যার মধ্য দিয়ে জাসদ আবার ভেঙ্গে দু টুকরো হয়ে যায়। বিগত জোট সরকারের সময় পূর্ব জাসদ কতৃক প্রকাশিত পত্রিকা গণ কন্ঠের সাবেক সম্পাদক কবি আল মাহমুদের জন্মদিন পালন করে জামাত কতৃক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান সমুহ। এদের উদ্যোগে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এই রব দুরর্ধষ যুদ্ধাপরাধী ধনকুবের মীর কাসেম আলী র সাথে এক সাথে দেখা যায়। নব্বইয়ের গণ ছাত্র আন্দোলনের সময় আমরা শ্লোগান ধরতাম "সুসময়ে সরব, অসময়ে নিরব, তার নাম আসম রব" তার এই রাজনৈতিক পল্টিবাজিতে তিনি বান্দরবানে কয়েকশো একর রাবার বাগান ও কক্সবাজারে চিংড়ী ঘেরের মালিক হন। বর্তমানে তার এসব বাগান ও ঘেরের কি অবস্থা জানিনা।

মাহমুদুর রমান মান্না, বগুড়া নিবাসী। বগুড়াতে জন্মেছেন বিখ্যাত রাজনৈতিক বেইমান মোহাম্মদ আলী, মুসলিম লীগ, আওয়ামী মুসলিম লীগ নেতা। তিনিও পাকিস্তানের বিখ্যাত দালাল হিসাবে খ্যাত। মেজর জেনারেল জিয় উর রহমান আর মাহমুদুর রহমান মান্না। মাহমুদুর রহমান মান্না ইন্টার পর্যন্ত ইসলামী ছাত্র সংঘের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে লোক মুখে শুনা যায়। স্বাধীনতার পর জামাত সহ যুদ্ধাপরাধীদের রাজনৈতিক দল সমুহ বাজেয়াপ্ত হলে অনেকেই ছাত্র সংঘ, এনএস এফ এর নেতারা জাসদের বৈজ্ঞানিক ছাত্রলীগের আশ্রয় নেন। পিকিং পন্থি ছাত্র ইউনিয়নে অংশও জাসদে আশ্রয় নেন। ঠিক তেমনি মান্নাও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে জাসদ ছাত্রলীগ এর কর্মী থেকে নেতায় পরিণত হন। চাকসু নির্বাচন করেন। নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর প্রতিরোধের মুখে গোপনে পালিয়ে আসেন ঢাকায়। ঢাকায় এসে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিহন। ডাকসুর নেতা হন কয়েক বার। জাসদ ছাত্রলীগ এর মাহবুবুল হক মান্না প্যানেলে বিজয়ি হন। পরবর্তীতে জাসদ ভেঙ্গে বাসদ গঠন হলে ওনারা বাসদ গঠন করেন। বাসদ ভেঙ্গে আবার বাসদ মাহবুব গঠন হলে, ওখানে এক নারী কমরেড নিয়ে টানা টানি (এটি কানাঘুষা কথা)র কারনে আবার বাসদ ভেঙ্গে যায়। ফলে মান্না কিছুদিন অবসর, কলাম লেখা লেখি করে সময় কাটান। এর পর মান্না আখতার আওয়ামীলীগ এ যোগদান। ওয়ান ইলাভেনের সময় আওয়ামীলীগ ও দেশ রতœা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। বর্তমানের টা আপনারা জানেন।

ডাকসুতে নেতা থাকাকালিন জিয়ার সাথে ডাকসু নেতৃবৃন্দ সহ দেখা করতে যান। তখন জিয়াও জাসদ-বাসদ থেকে নির্বাচিত ডাকসু নেতারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন এবং সুবিধাও নিতেন। সাথে ছাত্র জনতার রোষানলে পড়ার ভয়ে আন্দোলন বাণিজ্যও করতেন। তার জীবনে আমার দৃষ্টিতে একটিই মহৎ কাজ চোখে পড়েছে, তা হলো কর্ণেল তাহের হত্যা কান্ডের বিচারের সময় জাসদ ইনুর সাথে আদালতে স্বাক্ষ্য দেয়া। এই অবস্থায় এদের জোট হলো রাশিয়ার কমরেড যোগাবু গল্পের মতো।

লেখক : কবি ও লেখক

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test